পজিটিভ ভাবুন__পজিটিভ বলুন__পজিটিভ কাজ করুন....
অনেক সময় দেখা যায় পেনড্রাইভে করে দরকারি কোনো ফাইল নিয়ে গেলেন দোকানে প্রিন্ট করার জন্য। কিন্তু দোকানের কম্পিউটারে পেনড্রাইভ লাগানোর পর দেখলেন পেনড্রাইভ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গেছে। আপনি যে ফাইল বা ফোল্ডারটি নিয়ে গিয়েছিলেন সেটি আর খুলছে না। অর্থাৎ সেটি নষ্ট হয়ে গেছে। আপনি আর প্রিন্ট করতে পারছেন না।
তখন কী করবেন? তখন আপনার পেনড্রাইভটি নিয়ে ভাল কোনো কম্পিউটারে (যে কম্পিউটারে ভাইরাস নেই এবং লেটেস্ট এন্টিভাইরাস আছে) স্ক্যান করবেন। স্ক্যান করার সময় দেখবেন অনেক ভাইরাস ধরা পড়ছে এবং এন্টিভাইরাস সেগুলোকে ডিলিট করছে। স্ক্যান শেষ হওয়ার পর দেখবেন আপনার পেনড্রাইভ ফাঁকা অর্থাৎ পেনড্রাইভে কিছুই নেই। তখন পেনড্রাইভে মাউস রেখে ডান বাটনে ক্লিক করে প্রপার্টিজ-এ গিয়ে দেখবেন পেনড্রাইভে কিছু ডাটা আছে কিন্তু সেগুলো দেখা যাচ্ছে না। সেগুলো দেখার জন্য My computer -এর মেন্যুবারের Tools থেকে Folder options নির্বাচন করে view তে ক্লিক করুন।
Show hidden files and folders-এ ঠিক চিহ্ন দিন এবং Hide extensions... ও Hide protected... বক্স থেকে টিক চিহ্ন তুলে দিয়ে Ok করুন। এখন দেখবেন পেনড্রাইভ-এ আপনার ফাইল, ফোল্ডারগুলো লুকানো অবস্থায় দেখা যাচ্ছে এবং সেগুলো ভালো আছে, নষ্ট হয়নি। পেনড্রাইভে করে কোনো ফাইল বা ফোল্ডার অন্য কোনো কম্পিউটারে নিতে চাইলে সেগুলো জিপ করে নেবেন। জিপ করা ফাইল বা ফোল্ডারে ভাইরাস আক্রমণ করে না। কোনো ফাইল বা ফোল্ডার জিপ করতে চাইলে সেটিতে মাউস রেখে রাইট বাটনে ক্লিক করে ঝবহফ Send to my computer (zipped)-এ ক্লিক করুন।
দেখবেন জিপ হয়ে গেছে। আবার আনজিপ করতে চাইলে সেটিতে মাউস রেখে রাইট বাটনে ক্লিক করে Extract All-এ ক্লিক করে পরপর দুইবার Next-এ ক্লিক করে দেখবেন আনজিপ হয়ে গেছে। কম্পিউটারে
সবসময় লেটেস্ট অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করবেন এবং কয়েকদিন পরপর তা হালনাগাদ করবেন যাতে ভাইরাস আক্রমণ করতে না পারে। একবার ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গেলে আর অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করে লাভ নেই। তখন পুনরায় আবার অপারেটিং সিস্টেম সেটআপ দিতে হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।