'কিছু মাতাল হাওয়ার দল... শুনে ঝড়ো সময়ের গান... এখানেই শুরু হোক রোজকার রূপকথা... / কিছু বিষাদ হোক পাখি... নগরীর নোনা ধরা দেয়ালে কাঁচ পোকা সারি সারি... নির্বান নির্বান ডেকে যায়...'
আগের পর্বঃ রাজনীতিবিদ যখন ব্লগার!! - ১ ** চুল ও ভ্রু-র যত্ন, লিখেছেন খালেদা জিয়া। ।
** এই সিরিজের পোস্টগুলোকে সিরিয়াসলি না নিলেই বাধিতো হবো।
এক দেশে এক আব্বা ছিলো। তার এক মেয়ে ছিলো।
মেয়েটি ছিলো অনেক দুষ্টু। সারাদিন এপাড়া ওপাড়া জুড়ে ঘুর ঘুর বেড়াতো। ঘুর ঘুর করলে কি হবে! মেয়েটির ছিলো অনেক গুন। মানুষের মন গলানোর জন্য সে নিমিষেই চোখে পানি এনে ফেলতে পারত। খেলাধুলা না খুব একটা না পারলেও কিভাবে কিভাবে জানি সে সব সময় পুরষ্কার পেতো।
এজন্য তাকে প্রায়ই এক পাড়া থেকে অন্য পাড়ায় যেতে হতো। তখন তার সাথে অন্নেকে অন্নেক মানুষ থাকতো।
যাই হোক! একদিন মেয়েটার দেশে খুব খারাপ একটা ভুত আসলো। ভুত এসেই মেয়েটার বাবাকে ধরে নিয়ে গেলো।
মেয়েটার তখন সে কি কান্না! আহা! আহা! আহা!
দিন নেই রাত নেই, খাওয়া নেই দাওয়া নেই মেয়েটা সারাদিন শুধু কাঁদে।
কাদতে যখন তার অবস্থা খুবই শোচনীয়, তখন দেশবাসীর খুব মায়া হলো। তার উপর মেয়েটার বাবা ছিলেন দেশবাসির অনেক আপন লোক।
তারা একদিন মেয়েটার বাসায় গেলো, বললো, কেদোনা ছোট্ট মেয়ে আমরা তোমাকে একটা প্রদিপ এনে দেবো। সে প্রদিপ দিয়ে তুমি যা ইচ্ছা তা করতে পারব। যেখানে খুশি সেখানে যেতে পারবে।
তোমার বাবার শোক ভুলে থাকতে পারবে।
দেশবাসির এ কথা শুনে মেয়েটা বললো; আপনারা আমাকে প্রদিপ এনে দিলে আপনাদের অনেক ভালো হবে। আমি সব ভুতকে মেরে ফেলবো।
তারপর দেশবাসি ছোট্ট মেয়েকে একটা প্রদীপ এনে দিলো।
কিন্তু সে কি! মেয়েটিতো প্রদীপ পেয়ে পুরো বদলে গেলো! কোথায় সে সব ভুতকে ধরবে উলটা "ভুতলীগ" নামক একটা জিনিষ সৃষ্টি করলো।
এই ভুতলীগের অত্যাচারে দেশের মানুষের অবস্থা খারাপ। দেশে খারাপ ভুতের সংখ্যা অনেক বেড়ে গেলো। দেশবাসির মন অন্নেক খারাপ হলো।
কিন্তু সেদিকে আর ছোট্ট মেয়েটির কোন খেয়াল নেই। সে দেশের সব কিছুতেই নিজের বাবার নাম লাগিয়ে দিতে লাগলো।
তাছাড়া আর কতো কি!
যাই হোক, ৫ বছর পরে একদিন দেশবাসি মেয়েটির কাছ থেকে প্রদীপটি কেড়ে নিলো। অতঃপর তারা সুখে শান্তিতে বসবাস করতে লাগলো।
**********************************************
পোস্টটি ৯৯ জনের ভালো লেগেছে, ৯৯ জনের ভালো লাগেনি।
মন্তব্যঃ
খালেদা জিয়া বলেছেনঃ চমৎকার লিখেছেন বুবু। আমিও এনশাল্লাহ একটা লিখবো।
নাম- "ওগো আমার ওগো"।
লেখক বলেছেনঃ লিখে ফেলেন ম্যাডাম। আমার লেখাটাকে একটু এডিট করে দিলেই হয়ে যাবে আপনার লেখাটা।
সাকা চৌধুরী বলেছেনঃ অশ্লিললতার জন্য সাকা-র মন্তব্যটি মুছে দেওয়া হলো।
(কৃতজ্ঞতাঃ ব্লগার রোবট)
সাহারা খাতুন বলেছেনঃ এই ব্লগার কাহীনিকে বিকৃত করার চেষ্টা করছেন।
মুল কাহীনি হলো ভুতলীগ কখনোই দেশবাসির ক্ষতি করেনি। তারা অনেক ভালো ছিলো। তারা ছিলো সোনার ছেলে।
লেখক বলেছেনঃ আপনাকে দিয়ে হবে। লাইগা থাকেন।
হুমু এরশাদ বলেছেনঃ আমার মতামত হলো এই জন্যই দেশে মাঝে মাঝে স্বৈরাচারী ভুত দরকার।
লেখক বলেছেনঃ আপনার মতো মানুষকে দেখলে করুনা হয়। ইগনোর্ড।
খন্দকার দেলু বলেছেনঃ বলতে চাইছিলাম তো অনেক কিছুই। কিন্তু কে জানি আমার পায়জামাটা খুলে নিয়ে গেলো এইমাত্র।
দাড়ান, পায়জামা পরে আসি।
লেখক বলেছেনঃ গিট্টু ভালো কইরা দিয়েন।
ফখরুদ্দিন বলেছেনঃ আপনার লেখার হাত ভালো। তবে কাহীনি আরো জমজমাট হতো যদি "মাইনাস ভুত ফর্মুলা" নিয়ে কিছু লিখতেন।
লেখক বলেছেনঃ আপনি লিখে ফেলেন ভাইয়্যা।
ব্লগার মঈন ইউ-র সাথে লিখলে লেখাটা জমবে। ও এ ব্যাপারে অনেক প্রতিভাবান।
আগাচৌ বলেছেনঃ ভালো লিখেছেন। রবীন্দ্র পরবর্তী যুগে এরকম লেখা আর আসেনি। চালিয়ে যান।
লেখক বলেছেনঃ ত্যাল ভালো হয়েছে। চালিয়ে যান।
নিজামী বলেছেনঃ আমিও এই টাইপের একটা লেখা পড়েছিলাম, যেখানে ছোট্ট মেয়েটি কিছু পাবলিককে ডিম থেরাপী দিয়েছিলো। আসলেই! ছোট্ট মেয়েটি অন্নেকে খারাপ। খালি ডিম ডুকায়।
লেখক বলেছেনঃ আসলেই। খুব খ্রাপ।
গো আজম বলেছেনঃ উপরে নিজামীর মন্তব্যে উত্তম জাঝা।
লেখক বলেছেনঃ হুম্মম্ম।
ফালু বলেছেনঃ খালেদা জিয়া বলেছেনঃ চমৎকার লিখেছেন বুবু।
লেখাওক বলেছেনঃ আপনি সব সময় খালি হাসেন। কি আজব।
***********************************************
নেক্সট পর্বগুলোতে থাকবে সাহারা খাতুন, হুমু এরশাদ, আইন মন্ত্রি, পায়জামা দেলু সহ অনেকের পোস্ট এবং কমেন্ট। সাথেই থাকুন। মাইনাস দিন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।