একটা সময় ছিল যখন বাংলা ছিনেমা দেখার জন্য মানুষ পাগল ছিল। একমাস ধরে মানুষ অপেক্ষা করত বিটিভিতে একটি ছিনেমা দেখার জন্য। ছিনেমা হলগুলোতে দেখা যেত পরিবারের সবাইকে একসাথে ছিনেমা দেখতে। এরপর পুরাতনরা চলে যাবার পর কেউ একজন আসলো যিনি সিনেমার কাহিনি, চিত্রনাট্য, চরিত্র, সংলাপ ইত্যাদি বিবেচনার বিন্দুমাত্র আগ্রহ না দেখিয়েই রীতিমত কাজ করা শুরু করল। মানুষ আস্তে আস্তে বাংলা ছিনেমা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছিল।
তবে সেই অভিনেতা দিনমজুর শ্রেণীর লোকদের কাছে প্রিয়থেকে প্রিয়তর হতে থাকল। বাংলা ছিনেমা যখন খাদের কিনারায় তখন আর একজনের আগমন হল যিনি আলোচনা, সমালোচনা, কৌতুকের পাত্র যেভাবেই হোক না কেন মারাত্মক ভাবে জনপ্রিয় হয়ে গেল। এই শেষোক্ত ব্যক্তিটি কে আপনারা সবাই জানেন। এম এ জলিল অনন্ত। গতকাল তার ‘নিঃস্বার্থ ভালবাসা’ ছিনেমাটি দেখলাম।
ভালই বলতে হবে। অনন্তর ৫টি ছিনেমার মধ্যে ৪টি দেখেছি। আগের থেকে পর্যায়ক্রমে অনেক উন্নতি করেছে। মাত্র ৫ টি ছিনেমা করেই সে অনেক এগিয়েছে। যেভাবেই হোক না কেন সব শ্রেণীর লোকের জনপ্রিয়তা সে অর্জন করছে।
মানুষ আবার হলে ফিরতে শুরু করেছে। বাংলাছিনেমায় দর্শক ফেরাতে কাজ করার জন্য এবং প্রাথমিক সফলতার জন্য অনন্তকে ধন্যবাদ এবং অভিনন্দন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।