[বিশ্বায়নের ডামাডোলে বিশ্বজুড়ে আজ চলছে ভোগবাদ দর্শনের প্রচন্ড দাপট। মধ্যবিত্ত থেকে উচ্চবিত্ত জনগোষ্ঠীর মনন আজ "ভোগেই তৃপ্তি"- এ বেদবাক্যে উজ্জীবিত। চারদিকে 'চাই, চাই আরো চাই" ধ্বনি। খোদ আমেরিকা থেকে শুরু করে পৃথিবীর গরীবতর দেশ এ বাংলাদেশের জনগোষ্ঠীর একাংশ পর্যন্ত এই ভোগবাদ দর্শনকে ক্রমান্বয়ে করে নিচ্ছে জীবনের ব্রত। এ ভোগবাদ দর্শনের স্বরূপ উন্মোচনের লক্ষ্যেই এ লেখার অবতারণা।
লেখাটির শেষ পর্ব আজকে দেওয়া হল। বিষয়টি সম্পর্কে আপনাদের মন্তব্য কাঙ্খিত। ]
প্রথম পর্ব- Click This Link
দ্বিতীয় পর্ব- Click This Link
তৃতীয় পর্ব- Click This Link
চতুর্থ পর্ব- Click This Link
পঞ্চম পর্ব- Click This Link
ষষ্ঠ পর্ব- Click This Link
সপ্তম পর্ব-http://www.somewhereinblog.net/blog/TajaKalam/29232389
শেষ পর্ব
পরিশেষে বলা যায় পৃথিবী নামক গ্রহের সার্বিক মঙ্গলের জন্য ভোগবাদকে নির্বাসনে পাঠাতে হবে। তবে এটা কোন সহজসাধ্য কাজ নয়। ভোগবাদ প্রতিরোধে আমাদেরকে ত্রিমুখী প্রচেষ্টা চালাতে হবে।
১। সামাজিক আন্দোলন- ভোগবাদ প্রতিরোধে গণ সচেতনতা খুব বেশী প্রয়োজন। এজন্য জরুরী ভোগবাদ বিরোধী একটি শক্তিশালী সংগঠন গড়ে তোলা। প্রস্তাবিত সংগঠনটি ভোগবাদের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালাবে এবং মানুষ যেন ভোগবাদের সহজ শিকার হতে না পারে সে বিষয়ে সক্রিয়ভাবে কাজ করবে।
কর্পোরেট জগতের বাণিজ্যিক স্বার্থে প্রচারিত চমকপ্রদ বিজ্ঞা পণগুলোর অসারতা বিষয়ে সংগঠনটি সজাগ থাকবে এবং জনগণকে অবহিত করবে।
এছাড়া মুনাফালোভী বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর পণ্য কিংবা পরিষেবা বর্জনের আন্দোলনের সূচনা করতে পারে এ সংগঠনটি। এরূপ একটি আন্দোলন নি:সন্দেহে বহুজাতিক কোম্পানীগুলোকে বিপাকে ফেলবে।
২। রাজনৈতিক আন্দোলন- রাজনীতিতে সত্যিকার দেশপ্রেমিকদের এগিয়ে আসা খুবই জরুরী। গণমুখী রাজনৈতিক দলগুলোর দায়িত্ব হচ্ছে সরকারের উপর প্রতিনিয়ত: চাপ প্রয়োগ করা যাতে সরকার বহুজাতিক কোম্পানীগুলোর সপক্ষে দেশের স্বার্থবিরোধী কোন কার্যক্রম গ্রহণ করতে না পারে।
সর্বোপরি, মুক্তবাজার অর্থনীতির বিপরীতে দেশের স্বার্থে নিয়ন্ত্রিত অর্থনীতি ব্যবস্থার কথাও ভাবতে হবে গণমুখী রাজনৈতিক দলগুলোকে।
৩। ব্যক্তিপর্যায়ে প্রতিজ্ঞা- চলমান ভোগবাদী সমাজে আমরা সবাই কম বেশী বাজার কতৃক নিয়ন্ত্রিত। 'আমি ভোগবাদী সংস্কৃতি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হব না' -- এ প্রত্যয়ে ব্যক্তিপর্যায়ে উজ্জীবিত হতে হবে। ভোগবাদের কারণে কর্পোরেট নিয়ন্ত্রিত এ সমাজে আমরা প্রত্যেকেই কমবেশী অনাবশ্যক পণ্য কিংবা পরিষেবা ক্রয় করে থাকি।
কোন পণ্য কিংবা পরিষেবা ক্রয়ের আগে আমরা যদি বিজ্ঞাপণ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত না হয়ে যদি ভেবে দেখি আসলেই ঐ পণ্য কিংবা পরিষেবাটি আমাদের প্রয়োজন কি না তবে ভোগবাদকে অনেকখানি প্রতিহত করা সম্ভব।
আসুন আমরা সবাই ভোগবাদকে প্রতিহত করি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।