নৌকা আর ধানের শীষে ভোট দিয়ে সোনার বাংলার খোয়াব দেখা আর মান্দার গাছ লাগিয়ে জলপাইর আশা করা একই! বিস্ময়ের ব্যাপার হল দিনের পর দিন আমরা তাই করছি!!
১০০% সহি শুদ্ধ ভাবে ভোট নামক তথাকথিত গণতান্ত্রিক মচ্ছবের সমাপ্তি বাংলাদেশে কখনোই হয়নি, সামনেও হবে না। হুমকি, ধামকি, জাল, জালিয়তি, মিলিটারী রিগিং, ওজর আপত্তি মামলা রয়েছেই। শুধু বাংলাদেশ কেন, কম বেশী এ ধরনের অভিযোগ ভারত, পাকিস্তান, বার্মা, আমেরিকা অনেক দেশের ক্ষেত্রেই বিদ্যমান। যাহোক- এতসব 'দুর্বলতা'র পরও বেশীরভাগ ভোটারের সত্য সত্য 'ব্যালট'ই জয় পরাজয়ে ভূমিকা রাখছে। আসুন সে সত্য সত্য ব্যাপারটা নিয়েই আজকে আলোচনা করি-
ধর্মের ভিত্তিতে ভোটারদের চরিত্র খুবই পরিস্কার।
বাংলাদেশে বসবাসরত কোন হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ও অন্যান্য অ-মুসলিম এবং ঘোষিত নাস্তিকরা আওয়ামীলীগ ছাড়া ভিন্ন কাউকে ভোট দিতে পারেন - এটা এখনো অবিশ্বাস্য। খুবই মজার ব্যাপার হল- হিন্দুদের পশ্চাৎ বা অগ্রদেশে (লিংগ ভেদে) সবচেয়ে বেশী বাঁশ দিয়েছে/দিচ্ছে/দিবেই এ আওয়ামীলীগ। যাবতীয় ক্যাচাল মুসলিম ভোটারদের নিয়ে। এরা বিচিত্র।
ভূগোলের ভেদে এ দেশে তেমন ফারাক না থাকলেও- নৃতাত্বিক পাহাড়ী মানেই আওয়ামীলীগ।
তবে সমতলেও একটা ব্যাপার দেখা যায়- বৃহত্তর ফরিদপুর-আওয়ামীলীগ আর বৃহত্তর রংপুর- এরশাদ ও নোয়াখালী অ-আওয়ামীলীগ, দক্ষিন চট্টগ্রাম- জামাত এবং ঢাকা শহর কারো না একটা ব্যাপার!
আসা যাক লিংগের ভেদে- নারীদের বৃহদাংশ এখনো বি এন পি সাপোটার। এখানে বয়সের তেমন কোন প্রভাব নেই। তবে পুরুষ ভোটারদের বয়সভেদে মারাত্নক রসায়ন লক্ষ্য করা যায়। ৫০+ একশ্রেনীর ভোটার রয়েছে যারা পাড়ঁ আওয়ামী। স্বভাবে এরা হালের হালুয়ারুটিলীগদের মত বদ খাসলতের না হলেও, এমনকি এদের কাজকারবারে লজ্জিত হলেও অন্তরের গহীনে লুকানো আওয়ামী মায়াজাল থেকে কিছুতেই বেরুতে পারেননা।
২০১০ সালে আওয়ামীলীগ মানে বেআইনী দখলবাজ, ডাকাত, ধর্ষকদের পাপপরবর্তী 'সুরক্ষা দূর্গ' হলেও ওনাদের কাছে আওয়ামীলীগ মানে ১৯৭১ এর লাল সবুজ পতাকা হাতে মুক্তি শ্লোগান!! যাহোক একই মননের একশ্রেনীর পাঁড় দলবাজ ভোটার পাওয়া যাবে ৩০ থেকে ৫০ গ্রুপেও। আওয়ামীর পাশাপাশি পাড়ঁ দলবাজ ভোটার পাওয়া যাবে জামায়াতে। মাথায় ঠাডা (বাজ) পড়লেও এরা ভোটকেন্দ্রে যাবে এবং নৌকা বা পাল্লায় (বা ধানের শীষে) ভোট দিবে! বাংলাদেশের রাজনীতির যাবতীয় 'রাজনীতি' নির্ভর করে ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী পুরুষ অ-আওয়ামী, অ-জামায়াতী ভোটারদের নিয়ে। মোটাদাগে এরা 'বাধ্য' হয়ে বি এন পি কে ভোট দিলেও তার স্থায়ী কোন গ্যারান্টি নেই। মাঝে মাঝে তারা নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে ফেলে! এবং ক্ষমতায় আওয়ামীলীগ চলে যায়! হাভাতে বাম আর হুজরাখানার হুজুররা ভোটের রাজনীতিতে এখনো নস্যি!!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।