আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নিজেকে নিয়ন্ত্রন করুন: পরিবেশকে রাখুন নিয়ন্ত্রনে

মহাসাগর

আপনার বন্ধুকে একজন(রাম) পেটাচ্ছে আর অমনি আপনি গিয়ে বেটাকে(রামকে) দিতে শুরু করলেন রাম ধোলাই। কোনো জানাজানি নাই, নাই কিছু বোঝাবুঝির সময়। অন্য আরেক জনের হস্তক্ষেপে মারামারি কিছুটা কমল। জানা গেল যে, আপনার বন্ধুকে লোকটি পেটাচ্ছে না, তারা কুম্ফু/কারাতি প্র্যাকটিস করছিল মাত্র। ততক্ষণে রাম বেটার বারটা বেজে গেছে।

তখন নিজেকে খুব বোকা মনে হয়। এক্ষেত্রে আপনি হচ্ছেন: রি-একটিভ আর যার হস্তক্ষেপে প্রকৃত ঘটনা উৎঘাটিত হলো সে হচ্ছেন: পো-একটিভ রি-একটিভ ব্যক্তিরা ঘটনার অদ্য-প্রান্ত না দেখে সক্রিয় হয়। আর পো-একটিভ ব্যক্তিরা ঘটনা ঘটনোর আগে বা সক্রিয় হওয়ার আগে বিষয়টি ভালোভাবে জেনে অগ্রসর হয়। প্রকৃতপক্ষে এই প্র-একটিভ টাইপের লোকেরাই ঘটনা নিয়ন্ত্রন করে। তার ইচ্ছায় সমস্যা সমাধান হয় অথবা সমস্যা আরো জটিল হয়।

তুচ্ছ বিষয় নিয়ে দুইজন মানুষের মধ্যে বিতর্কের সময় আপনি অবশ্যই লক্ষ করছেন যে, একজন একটি বলছে সাথে সাথে আরেকজন পাল্টা উত্তর দিয়ে চলছে। এক পর্যায়ে মারামারি বেধে যায় (হয়তো মারামারির মত ঘটনা ছিল না, রাজনৈতিক কর্মীদের মধ্যে বেশী হয়)। এই সমস্ত লোক রি-একটিভ। আমাদের মধ্যে এই সমস্ত রি-একটিভ স্বভাব থাকার কারণে আমরা অনেকসময় ছোট একটা ব্যাপারকে সিরিয়াস পর্যায়ে নিয়ে একেবারে ক্ষুনোখুনির ঘটনা ও ঘটে যায়। (যেমন: বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মারামারির ঘটনা, হয়তো ফুটবল খেলা নিয়ে নয়তো বা ২ টাকা বেতন বাড়ছে বলে বিক্ষোভ, গার্লফ্রেণ্ড এর দিকে তাকাইছে বলে ধোলাই ইত্যাদি) এইগুলো শুনতে খুবই বাজে লাগে।

একসপ্তাহের জন্য পো-একটিভ আচরণ প্র্যাকটিস করেই দেখুন না, আপনি নিজে তো কোনো ঝামেলায় পড়বেন ই না বরং দুই একটা ঝামেলা মেটাতেও পারবেন আশা করি।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.