"নব্য রাজাকার গোষ্ঠির প্রবেশ নিষেধ"
গত তিন বছরে দেশের বিভিন্ন জায়গাতে ঘুরাঘুরি করা হয়েছে যার বাই প্রোডাক্ট প্রচুর স্থিরচিত্র গ্রহন। ছবির ব্যাপারটা ছিল পুরোপুরি র্যান্ডম...যেমন ইচ্ছে তেমন। ভালো ক্যামরাও ব্যবহার করা হয়নি। উপরের যে ক্যামরাটা দেখছেন,বেশির ভাগ সময়ে ক্ষেত্রে এই ২.০ মেগা পিক্সেলের ক্যামরাটাই ছিল সম্বল। সব সময় ভয়ে থাকতাম কখন ক্যামরার ব্যাটারী যায় নয়ত মেমোরী যায়...অ্যামেচার ফটোগ্রাফি বলতে যা বোঝায় আর কি।
বাংলা উইকির জন্য ছবি দিতে গিয়ে হার্ডড্রাইভ থেকে বের হল ২০০০ এর মত ছবি। বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে ছবি গুলো একটু এলোমেলো। অ্যমেচারদের ছবি একটু এলোমেলোই হবে তা স্বাভাবিক।
১ :::::::::[[অন্যরকম সবুজ,চট্টগ্রাম]]
অতি সম্প্রতি তোলা ছবি,আমগাছের উপর পরজীবি। এগুলোর প্রকৃত নাম কি জানা নাই।
গাছের জন্য হয়ত এই উদ্ভিদ গুলো হুমকি,কিন্তু বৃষ্টির পর এদের সবুজ আভা দেখার মত...গ্রামের বাড়ীতে তোলা ছবিটি।
২ :::::::::[[বর্নীল,চট্টগ্রাম]]
আমড়াঁগাছের ছবি,আমাদের বাড়ীর সামনে। ছোট বেলা থেকে দেখে আসছি গাছটাকে। কখনো সব পাতা ঝরে পরে,কখনো পোকায় পোকায় পুরো গাছ ছেয়ে যায়,কখনো বর্নীল সাঝে সেজে যায়...
৩:::::::::[[গোলপাতা,হাড়বাড়ীয়া ইকো টুরিজম কেন্দ্র,সুন্দরবন,খুলনা]]
সুন্দরবনের কথা আর কি বলব। নদীর গুলোর সাথে গাছের নিবিড় আত্মীয়তা আর কোথায় আছে বলে মনে হয় না যতটুকু জানি ।
হাড়বাড়ীয়া টুরিজম স্পট টা ভালোই। নানা ধরনের গাছের মাঝে এগুলো একটু অন্য রকম।
৪:::::::::[[বৃষ্টি সিক্ত সবুজ,চট্টগ্রাম]]
কচু পাতার উপর পানি পড়লে কি হয় সবাই মোটামুটি জানে। শৈশবে পানি আর কচু পাতা নিয়ে স্মৃতির শেষ নাই। গ্রামের পথে বর্ষায় প্রচুর দেখা যায় এদের,বৃষ্টি পর সবুজটা বেশী ফুটে উঠে।
৫:::::::::[[পাতার আড়ালে, রাঙামাটি]]
ফান করে তোলা ছবি। শিম পাতার ফুটো দিয়ে কেমন ছবি উঠে তার একটা এক্সেপেরিমেন্ট। রাঙামাটিতে ছবি তুলতে তুলতে প্রায় কান্ত হয়ে পড়েছিলাম...
৬:::::::::[[পেপেঁ পাতা,চট্টগ্রাম]]
তেমন কোন স্পেশালিটি নাই। পেঁপে পাতার ছবি। গ্রামের বাড়ীতে বৃষ্টির পর তোলা।
এটাও খুব সাম্প্রতিক ।
৭:::::::::[[ঝর্না,মাধবকুন্ড,সিলেট]]
বর্ষায় মাধবকুন্ড গেলে এই ঝর্নাটা দেখা যায়। মূল ঝর্নাটা যে জায়গাতে আছে তার একটু আগে। ভিতরে কিছু দূর হেঁটে যেতে হয়। ঝর্নাটির আসেপাশের সবুজ অবাক করার মত।
আমার ডিজিটাল ক্যামরা ফেইল মারার পর ঐখান থেকে সাধারন একটা ক্যামরা ভাড়া করে তুলা ছবি। তাই একটু ঝাপসা।
৮:::::::::[[আগাছা,চট্টগ্রাম]]
এই ছবিটাও গ্রামের বাড়ীতে তুলা। রাস্তার পাশে নাম না জানা উদ্ভিত। এমনিতে হয়ত খেয়াল করা হয় না।
ক্যামরা হাতে থাকলে তো আর বসে থাকে পারি না।
৯:::::::::[[পাহাড় ও নদী, কাপ্তাই প্যারোনোমা ঝুম রেস্তোরা,চট্টগ্রাম]]
চট্টগ্রাম শহর থেকে প্রায় ৩০/৩৫ কিলোমিটার দূর এই জায়গাটি। এর একপাশে চা বাগানও আছে। ভালো লাগার মত একটি জায়গা। বাংলাদেশ আর্মির সম্ভবত এই এরিয়াটি পরিচালনা করে।
১০:::::::::[[বৈঠক খানা,করমজল,সুন্দরবন,খুলনা]]
মংলা থেকে সুন্দরবনের সবচেয়ে কাছের স্পট করমজল। জংগল দেখার কি থাকতে পারে? এই খানে না গেলে বুঝতাম না। ছবিতে যে কাঠের পথটা দেখা যাচ্ছে সেটা তিন কিলোমিটার লম্বা। আমি যখন গিয়েছিলাম তখন অবশ্য এক কিলোমিটারের একটু কম ছিল,কাজ চলতেছিল ৩ কিলোমিটারের। সেটা শেষ হয়েছে কিনা জানি না।
১১:::::::::[[একাকী জাহাজ,নেভাল,চট্টগ্রাম]]
নেভাল এখন চট্টগ্রামে তরুনদের জন্য জনপ্রিয় জায়গা। ডেটিং জোন আর কি। সীবিচ এর পাশেই নেভাল একাডেমি। সামনের দিকে আরো অনেক জাহাজ ছিল সবটুকু তোলা হয় নি। সন্ধ্যার দিকে সময় কাটানোর জন্য ভালো জায়গা।
খুপড়ি দোকান গুলোতে কাঁকড়া ভাজাটাজা পাওয়া যায়।
১২:::::::::[[দূরের পাহাড়, জাফলং,সিলেট]]
জাফলং এর কথা বিশেষ করে বলার নাই। তবে পাথর তুলে টুলে জায়গাটার অবস্হা মুমূর্ষ প্রায়। নদীর পানি আর্চয্য রকম ঠান্ডা থাকে আসেপাশের তাপমাত্রা থেকে। নদীর ওপারে খাশীয়া পল্লী আর চা বাগান অসাধারন।
১৩:::::::::[[গোধূলীর সমুদ্র,কক্সবাজার]]
টুরিস্ট স্পট গুলোর মধ্যে মনে হয় কক্সবাজারই সবচয়ে জনপ্রিয়। ক্যামরার ব্যাটারী লাইফ শেষ হবার কিছুক্ষন আগে তুলা ছবিটি। আমার বন্ধু অনেকটা ক্ষেপে গিয়েছিল,ক্যান শুধু শুধু উল্টাপাল্টা ছবি নেয়া।
১৪:::::::::[[দূরের সমুদ্র,হিমছড়ি,কক্সবাজার]]
হিমছড়িও মোটামুটি মোস্ট ভিজিটেড টুরিস্ট স্পট। পাহাড়ের উপর সাগরের দৃশ্যটা প্রথম যখন দেখেছি খুবই অদ্ভুত লেগেছে।
আমার পঁচা ক্যামরাতে হয়ত ঠিক মত উঠে আসেনি ওটা। হিমছড়ির বীচ কলাতলী বীচ থেকে হাজার গুন পরিস্কার। আসলে এই কক্সবাজার নিয়ে বেশি কথা বলার দরকার নাই মনে হয়।
১৫:::::::::[[শান্ত লেক,রাঙামাটি]]
রাঙামাটির এইপাহাড় গুলোর পাশদিয়ে গেলে মনে হয় পৃথিবী এখনো বেচেঁ আসছে হাজারো দূষনের মাঝে।
১৬:::::::::[[নীল, পশুর নদী,খুলনা]]
সুন্দরবনে যাওয়ার পথে।
ভৈরব নদী থেকে প্রায় ১২/১৩ ঘন্টার পথ হিরন পয়েন্ট,কটকা বীচ,দূর্বার চর। খারাপ আবাহাওয়ার জন্য কটকা যাওয়া হয়নি,৩নং সিগ্যানল পড়েছিল। আমাদের লঞ্চটা ৪৫ ডিগ্রি কোনে দুলতে শুরু করে। অনেকটা মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পেয়ে আসি। হিরন পয়েন্টেও গিয়ে পৌছাই সন্ধ্যার কাছাকাছি সময়ে।
বেশীর ভাগ সময়ই কেটেছে এই নদী দেখতে দেখতে। খুব একটা ছবি তুলা হয়নি। তাছাড়া সিডর এর ঠিক এক বছর পর বনটা রিকন্সট্রাকশনের মধ্যে ছিল। দূর্বার চড়ে গিয়ে বুঝতে পারি সিডর কি পরিমান ক্ষতি করে গেছে ঐ এলাকার।
১৭:::::::::[[পাথর সন্ধানী,জাফলং,সিলেট]]
জাফলং এর এই নৌকা গুলো দেখলে অবাক হতে হয়।
পানির কিছু উপরে ভেসে থাকে যেন। একটু নড়লে চড়লে মনে হয় অমনি ডুবে যাবে।
১৮:::::::::[[পৃথিবীর প্রান,আহসান মন্জিল,ঢাকা]]
গাছ গুলো অনেকের কাছে পরিচিত মনে হওয়ার কথা। ঢাকার আহসান মন্জিলের সামনে। প্রচন্ড রোদ ছিল ঐ সময়।
আহসান মন্জিল থেকে গাছ গুলো কম যায় না।
১৯:::::::::[[ছায়াগাছ, মাধবকুন্ড,সিলেট]]
মাধবকুন্ড যাওয়ার পথের ছবি। দূরের ছবি হওয়াতে একটু ঝাপসা। জুম ক্যামরাতে হয়ত ডিটেইলস আসত।
২০:::::::::[[শান্ত নীল, সেন্টমার্টিন]]
সেন্টমার্টিনের অনেক অনেক ছবির মাঝে একটা দুইটা ছবি বেঁছে নেওয়া কঠিন।
ছবি ব্লগ দিয়ে ছিলাম সেন্টমার্টিন নিয়ে। কোন রকমে একটা রাত কাটানো গেছে এই প্রবাল দ্বীপে।
২১:::::::::[[নীল সমুদ্র,ছেড়াঁদ্বীপ,সেন্টমার্টিন ]]
যতদূর জানি এই ছেড়াঁদ্বীপই বাংলাদেশের শেষ ভূখন্ড। ভাঁটার সময় এই দ্বীপে হেটে হেটে যাওয়া যায়। আমার কয়েক বন্ধু হেঁটে হেঁটেই গিয়েছিল।
আমার যাওয়া হয়েছিল অবশ্য বড় ট্রলারে করে। ঐ ট্রলার গুলা আবার ছেঁড়া দ্বীপের কাছাকাছি যেতে পারে না। ছোট নৌকাতে উঠতে হয়। আমরা কয়েক জন সেই ছোট নৌকাতে না উঠে সাঁতার কেটে উঠি ছেড়াঁদ্বীপে। এত স্বচ্ছ পানি যে প্রায় ১২ ফুট নিচের প্রবাল স্পষ্ট দেখা যাচ্ছিল,নামার পরই গভীরতা টা টের পেলাম।
২২:::::::::[[দুরন্ত শিশু, কাপ্তাই প্যারোনোমা ঝুম রেস্তোরা,চট্টগ্রাম]]
ঈদের সময়ের ছবি। প্রফেশনাল কারো হাতে হয়ত সুন্দর উঠত ছবিটি। হঠাৎ করে দৌড়জাপ শুরু করে শিশুর গুলো। ছবি উঠানোর সময় হাত কেঁপে গিয়েছিল। ছবিটি মোবাইল ক্যামরাতে নেয়া।
২৩:::::::::[[অন্ধকারের দীপ্তি,চট্টগ্রাম]]
এক্সেপেরিমেন্টাল ছবি। পানির ভিতর একটা আয়না দিয়ে তাতে লেজার ফেলে উঠানো ছবি। পানি হয়ত দেখা যাচ্ছে না,একটু খেয়াল করলে গোল টাইপের আয়না চোখে পড়বে।
২৪:::::::::[[প্রতিফলন, চট্টগ্রাম]]
আমাদের গ্রামের মসজিদের ছবি। এত আলোকসজ্জা করে যে কি লাভ তা ঠিক বুঝি না।
তবে মসজিদের পাশেই পুকুর থাকাতে আলোর প্রতিফলন দেখার মত।
২৫:::::::::[[পদচিহ্ন, সীবিচ,চট্টগ্রাম]]
এক্সেপেরিমেন্টাল ছবি,প্রায় চার বছর আগের। পতেঙ্গার সীবিচের বালুতে পায়ের চাপ।
২৬:::::::::[[লাইটপোস্ট, শাহ আমানত আন্তর্জাতিক আকাশবন্দর,চট্টগ্রাম]]
শাহ আমানত আন্তর্জাতিক আকাশ বন্দেরর একটি লাইট পোস্ট,সেজ ভাইয়ের ফ্লাইট ডিলে হচ্ছিল। নাই কাজ তো খই ভাজ,লাইট পোস্টরে মডেল বানিয়ে ফটো নেয়া শুরু করলাম।
বিকেলটা খুব সুন্দর ছিল।
২৭:::::::::[[বন্ধুত্ব, ভৈরব,খুলনা]]
বিশ্ববিদ্যালয়ের হল জীবন বিশেষ কিছু। এক সাথে সমবয়সীদের সাথে ৪বছর থাকার অন্য রকম অভিজ্ঞতা। অবশ্য শুধু ভালো স্মৃতিতে ভরা তা নয়। এর মধ্যে আছে বিরক্তি,বিভক্তি,ঝগড়া,ডমিনেন্ট করার প্রবনতা,খাওয়া দাওয়ার সমস্যা,মতবাদের দ্বন্দ্ব।
সবকিছু উপর আসলে বন্ধুত্বতা। এই ছবিটি আমার জন্মদিনের,ফ্রেন্ডরা কেকটেক কাটার পর নিয়ে গিয়েছিল নদীর পারে। অন্ধকারে আসলে কারো ছবিই ঠিক তুলা সম্ভব ছিল না,তাই পায়ের ছবি!
২৮:::::::::[[প্রাচীন,কান্তজীর মন্দির,দিনাজপুর]]
স্মৃতিময় ভ্রমন ছিল দিনাজপুর আর বগুরার তে। যে হোটেলে রাতে উঠেছি,জানতাম না যে সেটা ছিল হোটেল কাম ব্রোথেল টাইপের। মজার কান্ড রাতে পুলিশের সাথে।
উত্তরবঙ্গ ভ্রমন নিয়ে পোস্ট দিয়েছিলাম তখন। দিনাজপুর ভ্রমনটা সার্থক কান্তজীর মন্দিরের জন্য। না দেখলে আসলে বিশ্বাস করা কঠিন।
ছবির সংখ্যা অনেক বেশিই হয়ে গেছে হয়ত। এতটুকু পর্যন্ত যারা আসলেন ধন্যবাদ।
ইমেজ রি-সাইজার সফটওয়্যারটি ইমেজ রি-সাইজের জন্য ভালোই মনে হল তাই শেয়ার করলাম।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।