লোভ লালসার জন্য নয় বরং লোভ লালসার বিপরিতে নিজেকে উৎসর্গ করতে চাই
মহাশূন্যে প্রথম হোটেল নির্মাণ হতে যাচ্ছে৷ এই পরিকল্পনার কথা জানালো রাশিয়ার একটি সংস্থা৷ তারপর থেকে জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়ে গেছে ধনকুবেরদের মধ্যে৷ কবে হচ্ছে এই হোটেল? কারা যেতে পারবেন সেখানে?
এই হোটেল নির্মাণের বিষয়টি তদারকি করছে ‘ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন' বা আইএসএস'এর রাশিয়ান অংশীদার৷ ব্যক্তিগত পর্যটন শিল্পের বিকাশের জন্যই এই হোটেল নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে৷ এই কোম্পানির ডেপুটি চিফ ডিজাইনার আলেক্সান্ডার দেরেচিন বলেছেন, রাশিয়ার মালিকানাধীন ‘এনার্জিয়া' সংস্থা ব্যক্তিগত মহাশূন্য স্টেশনের জন্য বিনিয়োগকারী খুঁজছে, যেখানে ৭জন পর্যন্ত মানুষ থাকতে পারে এবং যেটি হোটেল হিসেবে কাজ করবে৷
দেরেচিন বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, বানিজ্যিকভাবে পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় মহাশূন্যযান তৈরি হচ্ছে৷ তাদের কোনো এক গন্তব্যের প্রয়োজন৷ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রকেটে করে মহাশূন্যে ভ্রমণ নিয়ে প্রবল উৎসাহ দেখা গেছে ধনকুবেরদের মধ্যে৷
অরবিটাল এর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই হোটেলটিতে বিজ্ঞানীরা তাঁদের গবেষণা কাজ চালাতে পারবেন৷ মিডিয়া প্রজেক্টস এবং বিনোদনসহ বিভিন্ন ধরণের সুযোগও রাখা হবে সেখানে৷
দেরেচিন বলছেন, ব্যক্তিগতভাবে বিনিয়োগকারীদের অঙ্গীকারবদ্ধ হতে ১শ' মিলিয়ন থেকে ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার জমা দিতে হচ্ছে৷ অরবিটাল বলছে, এরইমধ্যে কয়েকজন ক্রেতা চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেছেন৷ তিনি বলছেন, ‘‘২০১৫ সালের আগে এই হোটেলটির কাজ শেষ করতে পারবো বলে আমরা মনে করছিনা৷ কিন্তু আমরা এটাও মনে করছিনা, যে তারও বেশি সময় আমাদের অপেক্ষা করতে হবে৷ এ বিষয়টি নিয়ে দিনদিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাড়ছে৷ তাই আমাদের দ্রুত এটা করা প্রয়োজন৷''
দেরেচিন জানিয়েছেন, আমেরিকার ‘বাজেট সুটস' হোটেলের মালিক রবার্ট বিজেলোরও মহাশূন্যে এই ধরণের একটি হোটেল নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে৷ তাই লাস ভেগাসে রবার্টের ‘বিজেলো এয়ারোস্পেস' সংস্থার সঙ্গে যৌথভাবে রাশিয়ান এই প্রকল্পটির কাজ সম্পন্ন করা হবে৷
প্রতিবেদন: জান্নাতুল ফেরদৌস
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।