আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হিজাবের আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ

"ভাইয়া" "আপু" "আপুনি" "আপি" "বইনডি" "আপনি থেকে তুমি- তুমি থেকে তুই" যত আপনবোধক শব্দে শব্দায়িত করে আলাপচারিতা চালানো হোক না কেন, "innocent" মন থাকুক না কেন নন- মাহরাম is নন-মাহরাম! দুইজনের মাঝে তৃতীয় ব্যক্তি শয়তান থাকবেই! হিজাবের কথা আসলেই আমাদের চোখের সামনে ভাসে কালো বোরখা! আমরা মনে করি হিজাব মানে এক টুকরো কাপড়! কিন্তু আমরা ভুলে যাই কাপড় হিজাবের একটা অংশ মাত্র। হিজাবের সাথে আছে অবনত দৃষ্টি, লজ্জাস্থানের হেফাজত, নিজেদের সৌন্দর্যের হেফাজত। হিজাবের আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল মাহরাম- নন মাহরাম যেটা আমরা বেশীর ভাগই ইগনোর করি বা জানিনা বা জেনেও না জানার ভান করি! কিছু মনে করবেন না প্লিজ হিজাবের এই গুরুত্বপূর্ণ মাহরাম- নন মাহরাম ইস্যুতে আমাদের বোনগুলো অনেকটাই পিছিয়ে আছে। তারা হয় বিষয়টা বুঝতে পারেনা কিংবা জানেনা কিংবা এটার গুরুত্ব অনুধাবন করতে পারেনা! আমরা সবাই নিশ্চয় সূরা নূরের ৩০ আর ৩১ আয়াত দুইটার কথা জানি। ৩০ নং আয়াতে এসেছে পুরুষের পর্দা আর সংযমের কথা আর ৩১ নং আয়াতে নারীদের।

একটা বিষয় খুব ভাল করে খেয়াল করলে দেখবেন ৩০ নং আয়াতে কোন মাহরামের কথা বলা না হলেও আল্লাহ তায়ালা ৩১ নং আয়াতে নারীদেরকে তাদের মাহরাম কারা তা স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন। একেবারে জন জন করে। দেখুন.. "...তারা যেন তাদের স্বামী, তাদের পিতা, তাদের শ্বশুর, তাদের ছেলে, তাদের স্বামীর (আগের ঘরের) ছেলে, তাদের ভাই, তাদের ভাইর ছেলে, তাদের বোনের ছেলে, তাদের (সচরাচর মেলা মেশার) মহিলা, নিজেদের অধিকারভুক্ত সেবিকা দাসি,নিজেদের অধীনস্থ (এমন) পুরুষ যাদের (মহিলাদের কাছ থেকে) কোন কিছুই কামনা করার নেই, কিংবা এমন শিশু যারা এখনো মহিলাদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে কিছুই জানেনা- (এমন মানুষ ছাড়া তারা যেন) অন্য কারো সামনে নিজেদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে..." [সূরা নুরঃ ৩১] আমাদের দ্বিনী ভাই বোনদের তাই এই কথাটা বলতে চাই যে ছেলে মেয়ে উভয়ের জন্য পর্দার একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ মাহরাম ব্যতীত অন্য কোন নন মাহরামের সাথে মেলামেশা না করা। সেটা যেখানেই হোক হতে পারে তা ফেসবুকে, চ্যাটে কিংবা অন্য কোথাও। আপনারা যেভাবেই বিষয়টা সহজ করতে চান না কেন মনে রাখবেন এটা কুরানে আল্লাহর আদেশ।

আর দুইজনের মাঝে শয়তান তো ঘাপটি মেরে থাকবেই। মনে রাখবেন শয়তান মুমিন ভাইদের কাছে হিজাব পরে আর মুমিনা বোনদের কাছে দাড়ি টুপির মুমিন হয়েই আসে। আমি জানিনা এটা কাদের বলছি কিংবা কেন বলছি। এই বিষয়টা কাউকে যুক্তি তর্ক, দলিল দিয়ে বোঝানোর চাইতে এটা অনেক বেশী ব্যক্তির নিজের আত্মশুদ্ধির ব্যাপার, আত্ম উপলন্ধি, নিজের আত্মরক্ষার ব্যাপার। প্রতিদিন ইসলামের কয়েকটা পোস্ট মেরে ফেসবুকে হোক যেখানেই হোক দ্বীনদার হওয়ার সুযোগ কারোরই নেই।

আমারও না আপনারদেরও না। তাই "দীনী লেভেলে" হিজাবের এই গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুটা ভুলে মাখামাখি করার আগে আল্লাহর কুরানের আয়াত মনে রাখবেন। আল্লাহকে ভয় করবেন। আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেফাজত করুন... আমীন। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.