মঙ্গলবার প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে প্রায় এক প্রজন্ম ধরে চলে আসা এই নিষেধাজ্ঞাটি তুলে নেয়া হয়। তবে বিচারবিভাগ ও সেনাবাহিনীতে নতুন এই আইন কার্যকর হবে না।
এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বিরোধীরা বলছেন, এরমাধ্যমে সরকার ইসলামিক এজেন্ডা বাস্তবায়নের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে।
তুরস্কে মুসলিমরা সংখ্যা গরিষ্ঠ হলেও সাংবিধানিকভাবে এটি ধর্মনিরপেক্ষ দেশ।
গণতান্ত্রিক উন্নয়নের অংশ হিসেবে সরকারি কর্মচারীরা কোন ধর্মে বিশ্বাসী সেটা যাতে বোঝা না যায় এজন্য ১৯২৫ সালে মুস্তফা কামাল আতাতুর্কের মন্ত্রিসভা বেশকিছু পোশাক সংস্কারের আদেশ দিয়েছিল।
দলের নেতাদের সঙ্গে এক সভায় তুরস্কের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী তাইপ এরদোগান বলেন, “এটা এমন একটি বিধান যেটা দেশের অনেক তরুণ জনগোষ্ঠীকে আঘাত করেছে এবং তাদের মাতা-পিতার দু:খের কারণ হয়েছে। কিন্তু অন্ধকার কেটে গেছে। “
হিজাব নিয়ে বিতর্ক দেশটির ধর্মভীরু এবং ধর্মনিরপেক্ষ জনগণের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি করতো। এতে তুরস্কের জনগণের স্বাভাবিক জীবনযাত্র ব্যাহত হতো।
প্রজ্ঞাপন জারির পর রাজধানী আংকারার একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক সফিয়া ওজদেমির বলেন,
“অবস্থাটা এমন ছিলো যেন হিজাবের মাধ্যমে সরকারি কর্মচারীদের থেকে একজন ডাইনিকে খুঁজে বের করা হতো।
“
“আজ এটা পরিষ্কার হয়ে গেল যে, আমাদেরও অধিকার আছে। আমরা ভীষণ খুশি এবং গর্বিত। এটা এমন একটা সিদ্ধান্ত যেটা অনেক দেরিতে এল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এটা এসেছে এজন্য স্রষ্টাকে ধন্যবাদ। “
ওজদেমিরও শুরুতে হিজাব না পরেই স্কুলে যেতেন।
তবে এই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে সম্প্রতি তিনি হিজাব পরে কর্মস্থলে যেতে শুরু করেছিলেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।