No more will my green sea go turn a deeper blue I could not foresee this thing happening to you
বাংলাদেশের রাজনীতির গুণগত পরিবর্তন নিয়ে কথা হচ্ছিলো ব্লগার রাগ ইমনের সাথে,সেখানে আমি আমার একান্ত ব্যক্তিগত কিছু মতামত তুলে ধরেছিলাম ৷ কিন্তু মূল ব্যাপার সেটা নয়,ওখান থেকেই আমার মাথায় অন্য একটা চিন্তা আসলো ৷ স্বাধীনতার ৩৯ বছর পরও আমার দেশকে এভাবে ধুকতে দেখে আমার মনে হয় আমাদের সবারই রয়েছে অনেক ক্ষোভ আর অবস্থাদৃষ্টে মনে হয় আমরা সবাই যদি এগিয়ে না আসি তাহলে এই অবস্থার আশু পরিবর্তন সম্ভব নয় ৷ আমি জানি এই ব্লগে অনেক জায়গার অনেক মতের মানুষ আছেন,প্রত্যেকেরই আছে স্বতন্ত্র চিন্তা ভাবনা ৷ তাই ভেবে দেখলাম কেমন হয় আমরা সবাই যদি নিজস্ব মতামত গুলো তুলে ধরি ,মানে কি করলে আমাদের দেশের খুড়িয়ে চলা তথাকথিত গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার মধ্যে একটা গুণগত পরিবর্তন আনা সম্ভব ৷ যেহেতু এখানে অনেক সংবাদ পত্রের মানুষজন আছেন তাই আমরা সবাই যদি এতে পার্টিসিপেট করে নিজেদের মনোভাবগুলো সেয়ার করে সেখান থেকে মানসম্পন্ন কিছু বের করে নিয়ে আসতে পারি সেক্ষেত্রে উনারা ইচ্ছে করলে পরবর্তিতে তার এসেন্সটা পেপারে তুলে ধরতে পারেন ৷ সবার প্রত্তক্ষ্য অংশগ্রহনে যদি সত্যিকার অর্থেই আমরা ভালো কিছু বের করতে পারি সেক্ষেত্রে আমি আর একটু আশাবাদী হয়ে পরবর্তিতে সেটা নির্বাচন কমিশনের কাছে ফরোয়ার্ড করার স্বপ্ন দেখি(সাড়া না পেলে অবশ্য এটা সামুর পাতাতেই পরে থাকবে ) ৷ কিন্তু সবার আগে যেটা প্রয়োজন তা হলো আমাদের সবার পার্টিসিপেসন ও প্রত্যেকের সুচিন্তিত মতামত ৷
নিচে ব্লগার রাগ ইমনের পোস্টে আমি যে প্রপোজালগুলো রেখেছিলাম তা তুলে ধরলাম,পরবর্তিতে আরো কিছু এড করার ইচ্ছে রাখি ৷ আপনারা ইচ্ছে করলে এগুলোর ড্রবেক নিয়ে কথা বলতে পারেন একই সাথে সবার কাছে আমার অনুরুধ থাকবে আপনাদের অল্টারনেটিভ সাজেশানটাও বলে যাবেন ৷ আশাকরি এতে করে আমরা সবাই একজন আরেজনের সাজেশানে কোনো ফ্ল থাকলে সেটাকে আইডেন্টিফাই করে কার্যকর কিছু সামনে নিয়ে আসতে পারবো ৷আমার প্রপোজালগুলো ছিলো,
এক: আমাদের দেশে এখন এমপিদের সর্বোচ্চ ৯০ দিন সংসদে উপস্হিত না থাকার যে ধারা আছে আমি মনে করি সেটা কমিয়ে সর্বোচ্চ ৭ দিন করা হোক,তবে যথপযোক্ত কারণ থাকলে সেটা বাড়তে পারে অন্যথায় নয় ৷ তাছাড়া প্রতিটা সংসদ অধিবেশনে প্রত্যেকটা দলের মিনিমাম ৭৫% এমপিদের সংসদে থাকতে হবে ৷ যথপযোক্ত কারণ ছাড়া একজন সাংসদকে বাধ্যতামুলকভাবে মিনিমাম ৭৫% সংসদের কার্যদিবসে উপস্থিত থাকতে হবে ৷
দুই: একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ দুবার প্রধানমন্ত্রী,প্রেসিডেন্ট বা মন্ত্রী পদের জন্য বিবেচিত হতে পারবেন (সেটা দলীয় হোক আর বাইরেরই হোক না কেন )৷ এমপি পদে একজন সর্বোচ্চ তিনবার প্রতিদ্বন্তিতা করতে পারবেন(হারলো না জিতলো বিবেচ্য না এক্ষেত্রে ) ৷
তিন: কারো এমপি পদে নমিনেসন পাওয়ার জন্য কমপক্ষে বিগত চার বছর ওই দলের রাজনীতির সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকতে হবে ৷
চার: কোনো দল সংসদে যতগুলো আসনে প্রার্থী দেবে সেই সব কটা আসনেই তাদের একটা করে কমিটি থাকতে হবে আর সেই কমিটির সর্বোচ্চ পদাধারী ব্যক্তিই নির্বাচনে ওই দলের রিপ্রেসেনটেটিভ হবে ৷ প্রতিটা দলকেই বাধ্যতামুলকভাবে সর্বোচ্চ দুবছর অন্তর অন্তর ওই কমিটির নির্বাচন দিতে হবে আর তার রেজাল্ট নির্বাচন কমিসনের কাছে পাঠাতে আই.ই একটা আসনে প্রতিটা দল(যারা ওই আসনে প্রার্থী দেবে) থেকে কে ওই কমিটির সর্বোচ্চ পদাধারী ব্যক্তি হলো তা নির্বাচন কমিসনের ডাটাবেজে থাকবে ৷
পাচ: স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা যেহেতু পাব না তাই আমার দাবি অন্তত বিচার ব্যবস্থায় নিয়োগ,পদোন্নতি ইত্যাদিতে সরকারের কোনো ভুমিকা থাকবে না ৷ সিনিয়রিটির ভিত্তিতে ১০-১২ জনের বিচারপতিদের নিয়ে একটা কমিটি থাকবে যারা প্রধান বিচারপতি থেকে শুরু করে বিচারক নিয়োগ,পদোন্নতি ইত্যাদি বিষয় তদারক করবেন ৷তারা প্রয়োজন মনে করলে তাদের সর্বসম্মতিক্রমে অন্যান্য সাব কমিটি করবেন ৷(এটা রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পর্কিত না হলেও আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে মনে হয় এটার খুবই দরকার,তাই এখানে প্রস্তাব করা হলো )
বি.দ্র: এখানে আমি ধর্ম-অধর্ম,ভারত-পাকিস্থান এই ইস্যুগুলোকে ইগনোর করে রাজনৈতিক দল,নির্বাচন ব্যবস্থা ইত্যাদি বিষয়ের উপর জোর দিতে চাইছি ৷ ছাত্র রাজনীতি নিয়েও বিশদ আলোচনা চাইছি,আমি ছাত্র রাজনীতি একেবারে বন্ধ না করে তার গুণগত পরিবর্তনে আগ্রহী(তবে কারো মতামতই শেষ কথা নয়,সবাই মিলে ডিসিশান নিতে চাই) ৷
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।