আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হিটলারকে কি ক্ষমা করা যায় না?



বেশ কিছুদিন ধরে হিমি আমাকে বারবার বলছে,নতুন কিছু একটা লিখতে। হিমি'র মন খুব খারাপ হয়ে আছে। আমার লেখা পড়লে নাকি তার মন ভালো হয়ে যায়। সে অনেক শান্তি আর আনন্দ পায়। মেয়েটাকে নিয়ে আর পারি না! সময়ের অভাবে আমার আর কিছু লেখা হয়ে উঠছে না।

গত চারদিন ধরে একটা কবিতা মাথায় নিয়ে ঘুরছি। লিখি লিখি করে আর লেখা হচ্ছে না। আমি আছি নানান ঝামেলায় অস্থির হয়ে। ওদিকে হিমিও অস্থির হয়ে আছে। হিমির অস্থিরতা পলকে পলকে আমাকে ছুঁয়ে যায়।

আমি হিমিকে বোঝাই,অপেক্ষা করো। সে অপেক্ষা করে কিনা জানি না,শুধু দেখি তার চোখে জল। প্রিয় মানুষের চোখে জল দেখলে,বুকের ভেতরটা দুমড়ে মুচড়ে যায়। কিছুদিন আগে আমি অনেক পড়াশোনা করে,হিটলারকে নিয়ে দুই পর্বের (শয়তান হিটলার) একটা লেখা লিখি। তারপর থেকে রাতে আমি ঘুমাতে পারছি না।

ঘুমালেই স্বপ্নে দেখি করুন চেহারা করে হিটলার আমার দিকে তাকিয়ে আছেন। যেন সে বলতে চায়,আমাকে কি ক্ষমা করা যায় না?আমি ঘুমের মধ্যেই ছটফট করে উঠি। আমার গলা শুকিয়ে যায়। তারপর সারারাত আর ঘুম হয় না। গত দুইদিন ধরে আমি হিটলারকে নিয়ে আরো ব্যাপক পড়ালেখা শুরু করি।

আমার চিন্তা একটাই হিটলারের কি কোনো ভালো দিক নেই!হিটলার কেন এত জঘন্য সব কাজ করলেন?এর পিছনে দায়ী কে? আমার আগের দু'টো লেখায় হিটলারের শুধু খারাপ দিক গুলোই তুলে ধরেছি। আমি মনে হয়, বক বক বেশী করছি। ভনিতা না করে মূল কথায় চলে যাই - এক ইহুদি মেয়েকে (স্টেফানি ইসাক) একতরফা ভালোবাসার পর তাকে না পেয়ে চরম মানসিক আঘাত পেয়েছিলেন হিটলার। প্রিয়তমাকে না পাওয়ার কষ্টে নিজের মধ্যেই দিনদিন দগ্ধ হয়েছিলেন তিনি। আর মনের এই আগুন তাকে শেষ পর্যন্ত প্রেমিকের আসন থেকে টেনে নামিয়ে ইতিহাসের খলনায়কের আসনে বসিয়ে দেন।

হিটলারের মহা স্বৈরাচার হয়ে ওঠার গল্পটা বলেছেন,তার'ই বাল্যকালের বন্ধু (কুবিজেক) তার 'দ্য ইয়ং হিটলার আই নিউ' নামক বইয়ে। বইটির পাতায় পাতায় ছড়িয়ে আছে প্রেমিক হিটলারের নানা অজানা কাহিনী। একটি ব্রিটিশ দৈনিকে চাঞ্চল্যকর এই বইয়ের কথা প্রকাশ পেয়েছে। ('দ্য ইয়ং হিটলার আই নিউ')এডলফ হিটলারের বয়স যখন ষোলো তখন হঠাৎ একদিন অষ্ট্রেলিয়ায় স্টেফানি ইসাকের সাথে তার পরিচয় হয়। ছিপছিপে এই ইহুদি সুন্দরীকে প্রথম দর্শনেই ভালোবেসে ফেলেন হিটলার।

সেই থেকে দীর্ঘ চারটি বছর প্রেমের জোয়ারে ভাসা। কুবিজেক লিখেছেন -এডলফ পাগলের মতো স্টেফানিকে ভালোবাসতেন। স্টেফানি যদি একবার হেসে তাকাতো তার দিকে ওতেই ধন্য হয়ে যেতেন তিনি। তার সাথে ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখতেন হিটলার। কিন্তু স্টেফানি কোনোদিনও হিটলারকে ভালোবাসেনি।

এতে হিটলার রাগ হয়ে একবার স্টেফানিকে অপহরন করতে চেয়েছিলেন। প্রয়োজনবোধে দু'জন পাহাড় থেকে লাফিয়ে পড়ার ইচ্ছা ছিল হিটলারের। স্টেফানিকে শেষ পর্যন্ত না পাওয়ার যন্তনা তাকে চরম ইহুদিবিদ্বেষী করে তোলে। হয়তো এই প্রেম প্রত্যাখ্যান'ই তাকে ইহুদি নিধনযজ্ঞে প্ররোচিত করে এবং এখান থেকেই তার মধ্যে দেখা যায় এক যুদ্ধবাজকে। কুবিজেক লিখেছেন- ইভা ব্রাউনের জায়গায় যদি স্টেফানি থাকতেন তাহলে ইতিহাস অন্যরকম হতো।

হায়রে স্টেফানি....!!! অনেক কাল আগে আমার প্রিয় বিজ্ঞানী আইনস্টাইন বলেছিলেন, 'বিশ্ব ব্রহ্মান্ডের সব বুঝি। শুধু নারীকে বুঝলাম না'।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।