আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ব্রিটিশ গোয়েন্দারা হরমোন পরিবর্তন করে হিটলারকে মেয়ে বানিয়ে দেয়ার দুঃসাহস পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিল

মিত্রশক্তির দিকনির্দেশনা অনুযায়ী ব্রিটিশ গোয়েন্দারা হরমোন পরিবর্তন করে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের নায়ক এডলফ হিটলারকে মেয়েলোক বানিয়ে দেয়ার দুঃসাহসী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিল। দ্রুত দ্বিতীয় যুদ্ধের অবসান ঘটানোর উদ্দেশ্যে এ পরিকল্পনা করা হয়েছিল। ১৫ ই আগস্ট,২০১১ রোজ সোমবার দ্য টেলিগ্রাফের এক খবরে এ কথা বলা হয়। লন্ডনের কার্ডিফ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও বিজ্ঞান লেখক ব্রায়ান ফোর্ড 'সিক্রেট উইপন্স: টেকনোলজি, সায়েন্স এন্ড দ্য রেস টু উইন দ্য ওয়ার্ল্ড ওয়ার সেকেন্ড' নামে একটি বইয়ে এ পরিকল্পনা উদ্ঘাটন করেছেন। তার বইটি আগামী মাসে প্রকাশিত হবে।

তিনি বলেছেন, ব্রিটিশ গোয়েন্দারা হিটলারের খাদ্যে অস্ট্রোজেন ডোজ মিশিয়ে তাকে তার ছোট বোন পলার মতো বানিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছিল । তিনি আরো বলেন, ব্রিটিশ গুপ্তচররা হিটলারের এত ঘনিষ্ঠ ছিল যে, তারা তার খাবার পর্যন্ত পৌঁছে যেতে পারতো। অস্ট্রোজেন বেছে নেয়ার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, এ ডোজ ছিল স্বাদহীন এবং তা কাজ করতো ধীরে ও নীরবে। অলক্ষ্যে হিটলারের খাদ্যে তা মিশিয়ে দেয়া যেতো। এ পরিকল্পনা সম্পর্কে অধ্যাপক ব্রায়ান বলেন, হিটলার যাতে স্ত্রীলোকে পরিণত হন এবং কম আগ্রাসী হন সে জন্য তার খাদ্যে অস্ট্রোজেন মিশিয়ে তার লিঙ্গ পরিবর্তনে মিত্রবাহিনীর একটি পরিকল্পনা ছিল।

তিনি আরো বলেছেন, তার খাদ্যে অস্ট্রোজেন মিশিয়ে দেয়ার মতো গুপ্তচর ছিল এবং পুরোপুরি তা সম্ভব ছিল। হিটলারের খাদ্য পরখকারী ছিল। তার খাদ্যে বিষ মিশানোর কোন পরিকল্পনা ছিল না। বিষ মেশালে তাৎক্ষণিকভাবে খাদ্য পরখকারীদের মৃত্যু ঘটতো। হরমোন পরিবর্তে সক্ষম ডোজ ব্যবহার করা ছিল সহজ।

হিটলারের হরমোন পরিবর্তন করা ছিল অনেকগুলো পরিকল্পনার একটি। নাৎসি সৈন্যদের বাঙ্কারে বাক্স ভর্তি বিষাক্ত সাপ এবং ফ্রান্সের নরমান্ডি উপকূলে তাদের ওপর বিস্ফোরক বোঝাই পানিবাহিত একটি বিশাল ক্যাথারিন হুইল নিক্ষেপ করার পরিকল্পনাও ছিল। ক্যাথারিন হুইল নিক্ষেপ করার পরিকল্পনা 'গ্রেট পানজানড্রাম' নামে পরিচিত। এ পরিকল্পনা ছিল অত্যন্ত বাজে। পলা ছিলেন হিটলারের একমাত্র বোন।

১৯২০ সাল নাগাদ তিনি ভিয়েনায় তার সচিব হিসেবে কাজ করতেন। ১৯৪৫ সালে হিটলারের আত্মহত্যা পূর্ব পর্যন্ত তিনি ভাইয়ের কাছ থেকে নিয়মিত ভাতা পেতেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর মার্কিন এজেন্টরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তবে পরে তাকে মুক্তি দেয়া হয়। ১৯৬০ সালে মৃত্যু নাগাদ তিনি নির্জনে বসবাস করেছেন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.