আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিয়ানীবাজারে ফাঁসি হওয়া ব্যক্তির দাফনে পরিবারের বাধা

সমাজকে বদলানোর জন্য নিজেকে আগে বদলানো প্রয়োজন। আসুন আমরা সবাই বদলে যাই সত্যের আলোয়।
সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসি হওয়া ব্যক্তির মৃতদেহ নিয়ে অনেক নাটকীয়তা হয়েছে। অবশেষে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি এবং হাতেগোনা কয়েক ব্যক্তির উপস্থিতিতে গতকাল সকাল ১০টায় ফাঁসির আসামি আলম হোসেন স্বপনের (৪০) মৃতদেহ দাফন করা হয়। সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার মুড়িয়া ইউনিয়নের ঘুঙ্গাদিয়া (মুকিটিলা) গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।

গত বুধবার দিবাগত রাতে অন্তঃস্বত্তা স্ত্রী খোদেজা বেগম কমলাকে হত্যার দায়ে তাকে ফাঁসি দেয়া হয়। দীর্ঘ ৭০ বছর পর সিলেটে ফাঁসির এ ঘটনায় সর্বত্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। বিয়ানীবাজার উপজেলায় এই প্রথম কোনো ব্যক্তিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হলো। ফাঁসি কার্যকরের দিন স্বপনের বাবা ছাদ উদ্দিন ছেলের ইচ্ছানুযায়ী মৃতদেহ গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকেন। এলাকাবাসীও তাদের পাড়ার কবরস্থানে মৃতদেহ দাফন করতে বাধা প্রদান করেন।

খবর পেয়ে বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একেএম ফজলুল হক শিবলী এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করেন। এতেও কোনো ফল না হওয়ায় গতকাল বৃহস্পতিবার স্বপনের মৃতদেহ তাদের প্রতিবেশী এক আত্মীয়ের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। এলাকাবাসী কেউই তার জানাজায় শরিক হননি বলে স্থানীয়ভাবে জানা গেছে। এদিকে স্বপনের মৃতদেহের ছবি তুলতে গিয়ে প্রহৃত হয়েছেন দৈনিক ইত্তেফাকের স্থানীয় প্রতিনিধি এবং সাপ্তাহিক আগামী প্রজন্ম’র বার্তা সম্পাদক আবদুল খালিক। এ সময় তার ব্যবহৃত ক্যামেরাও ছিনিয়ে নেয় স্বপনের পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়স্বজনরা।

ফাঁসি কার্যকর প্রসঙ্গে সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. ফয়েজ আহমদ জানান, যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করে ফাঁসি দেয়া হয়েছে। এ সময় আসামি আলম হোসেন স্বপন উচ্চস্বরে কালেমা পড়ার পাশাপাশি তার সন্তানদের জন্য সকলের কাছে দোয়া চায় বলে জানান তিনি। প্রসঙ্গত, অন্তঃস্বত্তা স্ত্রী খোদেজা বেগম কমলাকে যৌতুকের দাবিতে গলা টিপে হত্যা করার দায়ে আলম হোসেন স্বপনের ফাঁসি কার্যকর করা হয় বুধবার দিবাগত রাতে। এর আগে আইনি প্রক্রিয়ায় প্রাণ রক্ষার সব ধরনের সুযোগ শেষ হয়ে যাওয়ায় তাকে ফাঁসি দেয়া হয় বলে জানান জেল সুপার। ২০০০ সালের ১ ডিসেম্বর এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

সুত্রঃ
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।