আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কি খাবেন??? সব খাবারে বিষের ছোবল..........



ছবিটিতে অনেক কিছুই উল্লেখ আছে, কিন্তু এর বাইরের লিস্টটাও বেশ বড়। গরুর মাংসে অ্যনথ্রাক্স, সুতরাং সবাই চেষ্ঠা করছে মুরগির মাংস খাওয়ার, আর মুরগীর মাংস মানে ব্রয়লার মুরগী। কিন্তু সেটা অ্যনথ্রাক্সের চেয়েও কম ভয়ংকর নয়। আমাদের দেশে সাধারনত ৩০-৩৫ দিনের ব্রয়লার মুরগী বাজারে বিক্রি হয়। ব্রয়লার মুরগীর খাবারে বিভিন্ন এন্টিবায়োটিক এবং কেমিকেলস থাকে যা সাধারনত ফিনিসার খাদ্যে থাকেনা, থাকে স্টার্টার এবং গ্রোয়ার লেবেলে।

ফিনিসার লেবেলে এন্টিবায়োটিক এবং কেমিকেলস ব্যবহার নিষিদ্ধ, কেননা সেটা মানুষের জন্য অনেক ক্ষতিকর। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন, খামারীরা এবং বিক্রেতারা বেশী ওজনের আশায় ক্রেতার হাতে পৌছার আগ পর্যন্ত গ্রোয়ার খাদ্য ব্রয়লার মুরগীকে খেতে দেয়, আবার বিক্রির আগে মুরগী যেন অসুস্থ না হয় সে জন্য বিভিন্ন ধরনের লিকুইড এন্টিবায়োটিক এডিশনালি পানির সাথে খাইয়ে থাকে, ফলাফল.......... খামারী/ব্যবসায়ী কিছুটা লাভের মুখ দেখলেও , আমরা যারা কনজ্যুমার তারা ভয়াবহ বিষের শিকার। কিডনী/লিভার/ফুসফুসের ক্যানসারসহ এন্টবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স তৈরী এবং আরো নানা জটিল রোগে ভুগতে থাকি। বিশেষ করে শিশুদের জন্য এসব অত্যন্ত ঝুঁকিপুর্ণ। কিন্তু কিছুই করার নেই , সুতরাং কি খাবেন বা বাচ্চাদের কি খেতে দিবেন? ডিম খাবেন? কিন্তু সেখানেও মুরগীর খাদ্যে এন্টিবায়োটিক এবং কেমিকেলসের ছড়াছড়ি , যা আলটেমেটলি ডিম হয়ে আপনার -আমার শরীরে।

এবং সেটা ব্রয়লারের চেয়েও অনেক বেশী মাত্রায়। সুতরাং নো ওয়ে। ইদানীং চালে চক পাউডার মেশানো হচ্ছে সাদা করার জন্যে, পঁচা/হ্যাচারীর নষ্ট ডিম দিয়ে কেক , বিস্কুট বানানো হচ্ছে সুতরাং কি খাবেন? আমরা সবাই জেনে বা না জেনে, সামান্য কিছু লাভের আশায় পুরো জাতিকে তিলে তিলে শেষ করে দিচ্ছি। এসব দেখার যেন কেউ নেই আর যাদের দেখার কথা তারা সামান্য কমিশন/ঘুষের কাছে নিজেদের বিক্রি করে সুখ স্বপ্নে বিভোর, কিন্তু অবশেষে তারাও এসব খেয়ে রোগে ভোগে মারা যাবে, সাথে আমরাও...........

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।