রমজানে আমাদের খাদ্যাভ্যাস অনেকটাই বদলে যায়। যার দরুন অনেকে সমস্যায় পড়ে থাকেন। কিন্তু একটু চেষ্টা করলেই এ থেকে পরিত্রান সম্ভব। কিভাবে ? -- সেটাই দেখুন
কিছু টিপসঃ
১) দৈনন্দিন সুষম খাবার থেকে রমজানে যেন খাবারের মেন্যু খুব বেশি পরিবর্তন না হয় সেদিক লক্ষ্য রাখা বাঞ্চনীয়।
২) সেসকল খাবার যেন আমাদের স্বাভাবিক ওজন বজায় রাখে সেদিক খেয়াল রাখতে হবে।
৩) সেহরীতে "আঁশযুক্ত" খাবারের (Dietary Fiber) এর পরিমাণ বেশি রাখতে চেষ্টা করবেন। কারণ আঁশযুক্ত খাবার ধীরে হজম হয় যা আপনার কষ্ট কিছুটা হলেও কমিয়ে দেয়।
৪) সেহরী ও ইফতারে সুষম খাদ্য রাখবেন। এতে থাকতে পারে ফল-মূল, সবজি, মাছ-মাংশ, খাদ্যশস্য, দুগ্ধজাত দ্রব্য ইত্যাদি।
৫) ইফতারে ভাজাপোড়া এড়িয়ে চলুন।
কারণ সারাদিন রোজা রাখার পর পেটে এসব খাবার পৌঁছালে বুক জ্বালাপোড়া (Heart Burn), অম্লত্বজনিত সমস্যা (Gastric Acidity) ইত্যাদি দেখা দিতে পারে।
৬) সেহরীতে অনেকে প্রচুর চিনিযুক্ত খাবার খেয়ে থাকেন এই ভেবে যে তা সারাদিন শক্তি যোগাবে। কিন্তু তা নয় -- বরং এতে রক্তে ইনসুলিনের মাত্রা অত্যাধিক বেড়ে গিয়ে ব্লাড গ্লুকোজ লেভেল কমে যেতে পারে। যার ফলে Hypoglycemic Shock পর্যন্ত হতে পারে।
৭) রমজানে আমরা সবাই চেষ্টা করি নিয়মিত সালাত আদায় করতে।
বয়স্ক মানুষদের অনেকেই এসময় জয়েন্টের ব্যাথায় আক্রান্ত হন। তাদের জন্য উপদেশ -- আপনার ওজন কমাতে চেষ্টা করুন যাতে আপনার শরীর এই পরিশ্রম সহ্য করার ক্ষমতা রাখে।
৮) প্রচুর পানি পান করুন । কম পানি পান করলে পানিশূন্যতা, কিডনীতে পাথর ইত্যাদি হতে পারে।
কি কি ফল খাবেন ?
খেজুর, মাল্টা, কাঁচা পেপে, শসা, কলা, পেয়ারা, আপেল, জাম্বুরা ইত্যাদি।
ইফতারে যা যা থাকতে পারেঃ
মুড়ি, ছোলা, শসা, কলা, খেজুর, আপেল, দই, ফিরনি ইত্যাদি।
ডায়াবেটিক রোগীরা Zero Cal, Sucrolose ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারেন।
সেহরীতে যা যা খাবেনঃ
ভাত, সবজি, মাছ, ডিম, দই, ফল ইত্যাদি। গরুর মাংশ এড়িয়ে চলুন কারণ তা গলা শুকিয়ে দেয় ফলে পানির অভাবে কষ্ট পেতে পারেন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।