আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মনটা যখন অস্থির, কোন কিছুতেই বশ মানেনা, তখন------

গ্রাম-প্রকৃতি-সবুজ-সারল্য যেখানে মিলেমিশে একাকার, সেখানে ফিরে যেতে মন চায় বার বার।

মাঝে মাঝে সময়টা এমন হয় কেন? মনের উপর কোন জোড়ই খাটেনা। পড়ায় মন বসে না, টেলভিশনের কোন অনুষ্ঠান ভালো লাগে না, প্রিয়জনের কথা ভাবতে ইচ্ছে করে না। শুধু ইচ্ছে দূরে অজানা কোথাও হারিয়ে যেতে। যেখানে মানুষের কোলাহল থাকবে না।

থাকবে মাথার উপর উন্মুক্ত নীল আকাশ, চারপাশে সবুজ-শ্যামল বৃক্ষরাজির জড়াজড়ি অবস্থান। নীরব সেই প্রকৃতিকে মুখর করে তুলবে পাখির কিচির মিচির কোলাহল। সেখানে সন্ধ্যা নামবে মৌনতার ঘোমটা পড়ে, গাছের পাতায় নরম তুলতুলে স্বর্ণালী রোদ ছড়িয়ে, পাখিদের ঠোঁটে গোধূলি বেলার রং মাখিয়ে। সেখানে আমিই শুধু একজন মানবী, অনাদি কালের পৃথিবীর পথ পরিক্রমায় ভাসতে ভাসতে নোঙর ফেলেছি সেখানে। প্রকৃতির উদারতার মাঝে নিজকে সমর্পণ করব বলে।

পাখীদের মুখের ভাষা কেড়ে নিয়ে তাদের সুরে গান গাইব আমি। আর উন্মুক্ত আকাশের বিশালতায় নিজের ভিতরের সব সংকীর্ণতাকে জলাঞ্জলী দিব আমি। উদার প্রকৃতির কাছ থেকে দীক্ষা নিব প্রেমের। আমার অশান্ত চঞ্চল মনটা এরপর স্থিরতা খোঁজে পাবে-এ আমার বিশ্বাস। কিন্তু ইট-সিমেন্টে গাঁথা চার দেয়ালের বাধা ডিঙিয়ে সেই প্রকৃতির পাণে ছুটে যাবার উপায় আমার নেই।

তাই আমি জানলার গরাদ পেরিয়ে চেয়ে থাকি উদার আকাশের দিকে। বারান্দার রেলিং ডিঙিয়ে ছুঁতে চেষ্টা করি রাস্তার ওপাড়ের সবুজ প্রকৃতিকে। নীরব শূণ্যতার বুকে কান পেতে শুনতে চেষ্টা করি পাখির কল-কোলাহল। কিন্তু এসবের কোন কিছুই আমার মনকে শান্ত করতে পারেনা। বাধ্য হয়ে সবশেষে আমি আশ্রয় খুঁজি লেখার খাতায়।

কলমের ডগায় মুক্তো বিন্দুর মতো একটা একটা করে অক্ষরের মালা গাঁথি আমি। সবশেষে দেখি অক্ষরের সেই মুক্তো বিন্দুগুলো আর কিছু নয়, আমার অস্থির মনের বাষ্পিত কুজ্ঝটিকা।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।