আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চাহিদার ৩০% এ্যানথ্রাক্স ভ্যাকসিন ও যোগান দিতে ব্যর্থ সরকার



সরকারী এ্যানথ্রাক্স প্রতিরোধ কার্যক্রমে কোন সমন্বয় থাকছে না। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় চলছে নিজ নিজ পথে। এই দু'টি মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সুষ্ঠু সমন্বয় না থাকলে এ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা। অভিযোগ উঠেছে, রেড এ্যালার্ট জারি করার আগে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালযের সঙ্গে কোন আলোচনা করেনি প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় যেভাবে বিষয়টি গুরুত্ব দিচ্ছে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ততটা দিচ্ছে না।

আক্রান্ত মানুষ ও গবাদিপশুর সন্ধান ও চিকিৎসা দেয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রেখেছে দু'টি মন্ত্রণালয় তাদের দায়িত্বপালন। সরকারী উদ্যোগে জবাইয়ের আগে গবাদিপশুর মেডিক্যাল পরীক্ষার ব্যবস্থা নেই। মেডিক্যাল পরীক্ষা ছাড়াই চলছে গবাদিপশু জবাই ও বাজারজাতকরণ। অসুস্থ গবাদিপশুর মাংস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা দিলেও সাধারণ মানুষ কিভাবে গবাদিপশুর সুস্থতা যাচাই করবে, তারও কোন দিকনির্দেশনা দিতে পারেনি সরকার। মেডিক্যাল পরীৰা ছাড়া গবাদিপশু জবাই বন্ধ না করলে এ্যানথ্রাক্স মহামারী রূপ নেবে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

দেশের কোথাও এ্যানথ্রাক্স রোগী চিকিৎসার জন্য বিশেষ কর্নার সাজাতে পারেনি সরকার। শুধু তাই নয়, সরকারের কার্যক্রম মূলত এ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত এলাকাতেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। এতে দেশের বিশাল অংশ রয়ে গেছে অরৰিত। বুধবার নতুন করে এ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত ঠাকুরগাঁওয়ে তিন, টাঙ্গাইলের গোপালপুরে ১১ এবং লালমনিরহাটে ৫ রোগী শনাক্ত হয়েছে। প্রয়োজনের তিন ভাগের একভাগ ভ্যাকসিনও যোগান দিতে পারছে না সরকার।

এ পর্যনত্ম সাতটি জেলায় এ্যানথ্রাঙ্ আক্রানত্ম মানুষের সংখ্যা চার শ' ছাড়িয়ে গেছে। 'এ্যানথ্রাঙ্ নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই'_ এমন অভয়বাণী দিয়েই এ্যানথ্রাঙ্রে প্রাদুর্ভাব থামিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে সরকার। কিন্তু চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ রোগে আক্রানত্ম হলে গবাদিপশুর মৃতু্য অনেকটাই অনিবার্য। আর সঠিক সময়ে চিকিৎসা না নিলে আক্রানত্ম মানুষও মৃতু্যর মুখে পড়তে পারে। অথবা ৰতস্থানের মাত্রা বেড়ে অস্বাভাবিক হয়ে উঠতে পারে সারা শরীর।

এ সব স্বাস্থ্যহানিকর দিকগুলো প্রকাশ করার ৰেত্রে লুকোচুরি করছে সরকার। এর আগেই ২০০৯ সালে দেশের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলের দু'টি জেলার তিনটি গ্রামে গরম্ন ও ছাগলের এ্যানথ্রাঙ্ আক্রানত্মের বিষয়টি বের করে আইসিডিডিআরবি। সেই সময় ওই এলাকায় ৩৫ রোগীর ত্বকে এ্যানথ্রাঙ্জনিত ঘা দেখা দেয়। কিন্তু বিষয়টি আমলে নেয়নি সরকার। এ্যানথ্রাঙ্ জীবাণু প্রতিরোধে নেয়া হয়নি সচেতনতামূলক কোন ব্যবস্থা।

এবারও প্রথম দিকে বিষয়টি আমলে নেয়নি সরকার। তবে শেষ পর্যনত্ম গত ৫ সেপ্টেম্বর এ্যানথ্রাঙ্ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় সারাদেশে রেড এ্যালার্ট জারি করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। এখানেও দেখা দেয় সমন্বয়হীনতা। রেড এ্যালার্ট জারি করার আগে বিষয়টি নিয়ে আনত্মঃমন্ত্রণালয়ে হয়নি কোন আলোচনা। প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় গবাদিপশুর নিরাপত্তায় রেড এ্যালার্ট জারি করলেও জনস্বাস্থ্য রৰার্থে গড়ে ওঠা স্বাস্থ্য অধিদফতর বিষয়টি জানতেই পারেনি।

৫ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. শাহ মনির হোসেনে জনকণ্ঠকে জানান, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের রেড এ্যালার্ট জারি করার কথা শুনেছি। আনত্মঃমন্ত্রণালয় সভায় এ বিষয়ে কোন সিদ্ধানত্ম নেয়া হয়নি। প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় আক্রানত্ম পশুর বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে রেড এ্যালার্ট জারি করেছে। আমাদের পৰ থেকে জনস্বাস্থ্য রৰায় নানা প্রতিরোধ কার্যক্রম বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নিজেদের পৃথক কর্মসূচী নিয়ে কাজ করছে বলে তিনি জানান।

আইইডিসিআরের পরিচালক ডা. মাহমুদুর রহমান জানান, এটি মরণব্যাধি নয়। কিন্তু যথাযথ চিকিৎসা না নিলে শারীরিক সমস্যা তো হতেই পারে। সঠিক সময়ে চিকিৎসা নেয়ার পরামর্শ দেন তিনি। সরেজমিনে ঘুরে এ্যানথ্রাঙ্ প্রতিরোধে সরকারী কার্যক্রমের নানা দুর্বলতার চিত্র লৰ্য করা গেছে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে তো দূরের কথা, রাজধানীতেই মেডিক্যাল পরীৰা ছাড়া গবাদিপশু জবাই বন্ধ করতে পারেনি সরকার।

রাজধানীতেও এ্যানথ্রাঙ্ রোগের জীবাণুর প্রবেশ ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। জনবহুল এ নগরীতে এ্যানথ্রাঙ্ জীবাণুর প্রবেশ ঘটলে তা দ্রম্নত বিসত্মার লাভ করতে পারে। রাজধানী হয়ে আছে পুরোপুরি অরৰিত। প্রতিদিন শত শত গরম্ন-ছাগল রাজধানীতে প্রবেশ করছে। রাজধানীতে নিয়ে আসার আগে এ সব গবাদিপশুর মেডিক্যাল পরীৰাও করা হয় না।

এমন পরিস্থিতিতে নগরীতে এ্যানথ্রাঙ্রে জীবাণুর প্রবেশ ঘটলে আশ্চর্য হওয়ার কিছুই থাকবে না। ঢাকা সিটি কর্পোরেশরেন জবাইখানাগুলো কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছে না। নগরীর মাত্র ১০ ভাগ গবাদিপশু এ ডিসিসির জবাইখানায় নিয়ে যাওয়া হয় বলে সংশিস্নষ্ট সূত্রে জানা গেছে। আর শতকরা ৯০ ভাগ গবাদিপশু পরীৰা-নিরীৰা ছাড়াই অলিগলিতে গড়ে ওঠা মাংসের দোকানগুলোতে জবাই করা হচ্ছে। ডিসিসির জবাইখানার কর্মকর্তা ও মাংস ব্যবসায়ীরা এমন নীতিহীন কাজের সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ভোক্তাদের অভিযোগ, ডিসিসির জবাইখানায় গবাদিপশু নিয়ে গেলে নির্ধারিত ফি সরকারী কোষাগারে চলে যায়। এতে জবাইখানার সংশিস্নষ্টরা খুব বেশি লাভবান হন না। আর মাংস ব্যবসায়ীদের নিজেদের দোকানের সামনে পশু জবাইয়ের অনুমতি দিলে তারা বাড়তি টাকা পেয়ে থাকেন। ডিসিসির স্বাস্থ্য বিভাগের, বিশেষ করে জবাইখানার কর্মকর্তারা কঠোর অবস্থানে থাকলে ব্যবসায়ীদের পৰে বাজারে বাজারে পশু জবাই করা সম্ভব হবে না বলে মনে করেন এলাকাবাসী। পরীৰাবিহীন পশুর মাংস খেয়ে নানা জটিল রোগে আক্রানত্ম হওয়ার আশঙ্কাও রয়ে যাচ্ছে।

চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ ও সাধারণ মানুষের অভিযোগ, আক্রানত্ম হওয়ার আগে সরকারী মানুষের দেখা পাওয়া যায় না। রেড এ্যালার্ট জারি করলেও সরকারী কোন হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কমপেস্নঙ্ইে এ্যানথ্রাঙ্ চিকিৎসার জন্য বিশেষ কোন কর্নার খোলা হয়নি। আক্রানত্ম রোগী বিশেষ চিকিৎসা পায় না। মফস্বল এলাকার অনেক চিকিৎসকই এ রোগের চিকিৎসা পদ্ধতি জানেন না। স্বাস্থ্য ও পশুসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমন্বয় না থাকায় এ্যানথ্রাঙ্ জীবাণু নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে।

সরকার পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন থাকার কথা বলে বেড়ালেও মাঠের চিত্র ভিন্ন। চাহিদার শতকরা ৩০ ভাগ ভ্যাকসিনের যোগানও দিতে পারছে না সরকার। শুধু আক্রানত্ম এলাকায় ব্যসত্ম থাকায় দেশের বিশাল অংশ রয়ে গেছে অরৰিত। মেডিক্যাল পরীৰা ছাড়া গবাদিপশু জবাই বন্ধ না করলে এ্যানথ্রাঙ্ মহামারী রূপ নেবে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। নিজস্ব সংবাদদাতা ঠাকুরগাঁও থেকে জানান, এবার ঠাকুরগাঁওয়ে ৩ এ্যানথ্রাঙ্ আক্রানত্ম রোগীর সন্ধান পাওয়া গেছে।

তারা হলেন বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ফুলতলা গ্রামের হামিদুর রহমান (৩৮), গোয়ালকারী গ্রামের জাহাঙ্গীর (২৮) বেলবাড়ী গ্রামের মকবুল হোসেন (৩৫)। হামিদুরকে বুধবার দুপুর ২টায় ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জাহাঙ্গীর ও মকবুলকে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা হাসপাতাল থেকে ঠাকুরগাঁওয়ে রেফার করা হয়েছে। সিভিল সার্জন ডা. লোকমান আলী জানান, আতঙ্কের কোন কারণ নেই। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

এদিকে জেলায় গরম্নর এ্যানথ্রাঙ্ ভ্যাকসিনেসর তীব্র সঙ্কট দেখা দিয়েছে। এদিকে জেলায় এ পর্যনত্ম ১২ গরু এ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে বলে নিশ্চিত করেছে প্রাণিসম্পদ বিভাগ। নিজস্ব সংবাদাদাতা টাঙ্গাইল থেকে জানান, টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার পর এবার গোপালপুরে এ্যানথ্রাঙ্ রোগে ১১ আক্রানত্ম হয়েছে। নতুন আক্রানত্মদের গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নঙ্ েচিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। মঙ্গলবার বিকেলে জেলা ও গোপালপুর উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা আক্রানত্ম এলাকা পরিদর্শন করেছেন।

এ নিয়ে জেলায় ৫০ এ রোগে আক্রানত্ম হয়েছে। এদিকে নাগরপুর উপজেলায় মঙ্গলবার অজ্ঞাত রোগে ৫টি গরম্নর মৃত্যু হওয়ায় পুরো উপজেলায় এ্যানথ্রাক্স আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। উপজেলার নিশ্চিন্তাপুর গ্রামের শহীদ মিয়া, তারা বেপারী, আব্দুল হালিম, খসরু ডাক্তার ও মোল্লার ৫টি গরুমারা যায়। নিজস্ব সংবাদদাতা রংপুর থেকে জানান, রংপুরে এ্যানথ্রাঙ্ আক্রানত্ম হয়ে তিনটি গরম্ন মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ্যানথ্রাক্স প্রতিরোধে ভ্যাকসিন সঙ্কট প্রকট আকার ধারণ করেছে।

চাহিদা ১ লাখ হলেও পাওয়া গেছে মাত্র ৪ হাজার। এ নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে প্রাণিসম্পদ বিভাগ। নিজস্ব সংবাদদাতা লালমনিরহাট থেকে জানান, লালমনিরহাটে দু'টি গ্রামে আরও ৫ এ্যানথ্রাঙ্ রোগী শনাক্ত হয়েছে। সারা জেলায় মাইকিং করে রেড এ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। জরম্নরী বৈঠকে বসেছে জেলা প্রশাসক।

প্রাণিসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তাদের ঈদের ছুটি বাতিল করেছে। পশু জবাইয়ে স্বাস্থ্য সনদ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আবু হোসেন সরকার বলেন, মঙ্গলবার থেকে প্রাণিসম্পদ বিভাগের উদ্যোগে এ্যানথ্রাঙ্ রোগ প্রতিরোধে গ্রাম দু'টিতে ১০ দিনের এক বিশেষ কর্মসূচী হাতে নেয়া হয়েছে। গ্রাম দু'টিতে ও তার আশপাশের দুই কিলোমিটার বর্গর্াকার এলাকায় সকল পশুকে এ্যানথ্রাঙ্ বা তড়কা রোগের ভ্যাকসিন দেয়া হবে। তবে পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন নেই বলে তিনি জানান।

লক্ষ্মীপুরে পৌর কাউন্সিলরের ওপর হামলা ॥ লক্ষ্মীপুরে এ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত হয়ে বুধবার পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল কাশেম প্রকাশ পান কাশেমের একটি গাভী মারা গেছে। এ ঘটনায় পৌরসভা থেকে মাইকিং করে প্রচার করা হয় যে, পরীক্ষা ছাড়া কোন গরম্ন, ছাগল, মোষ যেন জবাই করা না হয়। আক্রানত্মের ২ ঘণ্টার মধ্যে গরম্নটি মারা গেলে সেটি মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়। মাইকে প্রচার হওয়ার পর ২০/৩০ জনের একটি কসাই গ্রম্নপ কাউন্সিলর আবুল কাশের ওপর হামলা চালিয়ে গুরম্নতরভাবে আহত করে। তাকে সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।

এ ঘটনায় পুলিশ ইসমাইল ও বাশার নামে দুই কসাইকে গ্রেফতার করেছে। কাউন্সিলর আবুল কাশেম অভিযোগ করেছেন, পৌরসভার স্যানিটেশন বিভাগের কর্তাব্যক্তির ইন্ধনে এ হামলার ঘটনা ঘটে। সংবাদ পত্রের ভাস্য

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.