ভেবোনা গো মা তোমার ছেলেরা হারিয়ে গিয়েছে পথে আজকে একটি স্বনামধন্য জাতীয় দৈনিকে বাংলাদেশের একটি বৃহৎ কোম্পানির বিজ্ঞাপন দেখে চক্ষু ছানাবড়া। বিজ্ঞাপনে নারী মডেলদের যাচ্ছেতাই উপস্থাপন এবং কুরুচি পুর্ন সংলাপগুলো কি আসলেই দরকার ছিল? বিজ্ঞাপনের নামে কি দেখানো হচ্ছে?
আমরা সবাই একদিকে নারী অধিকারের কথা বলি, কিন্তু অন্যদিকে বিজ্ঞাপনের নামে নারীকে পণ্য করে চালিয়ে দেই। "ছেলেদের আন্ডার ওয়ার থেকে শুরু করে বাচ্চাদের ললিপপ" সব বিজ্ঞাপনে সুরসুরি বেগমদের হাজির করা চাই! বাচ্চাদের বডি লোসনের বিজ্ঞাপনে বাচ্চার চেয়ে মায়ের বডিকে প্রাধান্য দেয়া হয় বেশি। তথাকথিত নারী-স্বাধীনতার নামে নারীকে আজ যথেচ্ছভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে বিজ্ঞাপন-সামগ্রীতে। এ প্রচার ব্যবসায় নারী দেহের সৌন্দর্যকে পুঁজি করে নানাভাবে ভোক্তাদের পণ্যের প্রতি আকর্ষিত করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
অমূল্য এই সম্পদের অপব্যবহার তাদেরকে মূল্যায়নের ক্ষেত্রে অবাস্তব বড় দলীল। এর দ্বারা নারীদেরই শুধু ক্ষতিবাড়ছে না, বরং ক্ষতি হচ্ছে দেশ, জাতি, সমাজ ও ধর্মের। আমাদের সমাজ আজ চরম বর্বরতার দিকে ধাবমান। সমাজের এই অবয়ের পেছনে বড় কারণ হচ্ছে তরুণ ও যুবসমাজের বিপথগামিতা। এর জন্য প্রধানত দায়ী নারীদেহের এই খোলামেলা বাণিজ্যিক ব্যবহার।
মিডিয়া ও বিজ্ঞাপনে নারীকে নগ্নভাবে উপস্থাপনের ফলে বহু যুবক নারীদেহের বিচিত্র রূপ ও বিবিধ আহবান গভীরভাবে রেখাপাত করছে। মূলত এ কারণেই সমাজে হত্যা, সন্ত্র্রাস, ধর্ষণ, এসিড নিক্ষেপ, যৌতুক, নেশাগ্রস্থতা, নারীদেরকে উত্তক্তকরণ ইত্যাদি সামাজিক অপকর্মসমূহ উত্তেজনকভাবে বেড়ে চলেছে। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের সমাজব্যবস্থা পতনে কোন বেলাভূমিতে গিয়ে ঠেকবে তা অনুমান করা যাচ্ছে না। সবচেয়ে বড় ক্ষতি যা হবে তা হচ্ছে জাতির সম্ভাবনাময় যুবসমাজের সুপ্তমেধা ও সুকুমার বৃত্তির অপূরণীয় ক্ষতি।
বিস্তারিত এখানে পাওয়া
ছবি থেকে কোম্পানির নাম মুছে দেয়া হয়েছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।