যখন বিকাল হতে থাকে, হতে হতে সূর্যটা ঢলে পড়ে, পড়তে থাকে
পিরামিডের ভেতরে ফারাওদের মমি বের করার জটিল তালাগুলো ভেঙে ফেলা যায়। গেছে। পেন্টাগনের দুর্ভেদ্য প্রকোষ্ঠ গুড়িয়ে ফেলা যাবে হয়তো। লকারগুলো খুলে ফেলতে পারে সেয়ানা কারিগর। কিন্তু হঠাৎ করে স্থির হয়ে যাওয়া জুবায়ের ভাইয়ের ব্লগটি কিভাবে খোলা যাবে?
জুবায়ের ভাইয়ের ব্লগটির উচ্চারণ "ব্লগের আমি ব্লগের তুমি ব্লগ দিয়ে যায় চেনা" অবশেষে শূণ্যই হয়ে গেলো।
সকল পরিচয় উহ্য রেখে তিনি "এখানটা শূণ্যই থাক" লিখেছিলেন - আজ তিনি অতলান্ত শূণ্যতায় মিশে গেলেন।
জুবায়ের ভাই ব্লগে নতুন কিছু লিখবেন না। ভালো লাগার কথা জানবেন না। অলঙ্ঘনীয় এক পাসওয়ার্ডে স্থবির হয়ে গেছে তার ব্লগ। চিরকালিন স্তব্ধতায়।
কিন্তু দৃশ্যমানতায় তিনি স্পষ্ট থাকবেন এরপরেও। পাসওয়ার্ডের অন্তরালে তিনি সজীব থাকবেন লেখায়, ভাস্কর হয়ে উঠবে তার জীবন, লিখিত শব্দাবলীর পড়তে পড়তে। খুব আড়ালে কি থাকবেন আসলে? কোন পাসওয়ার্ড কি অদৃশ্য করে দিতে পারে জুবায়ের ভাইয়ের অস্তিত্ব!
পারে না। তার ব্লগটিকে তুলে রাখা হোক ব্লগশিরে। স্তব্ধতা কালিন ব্যবচ্ছেদে জুবায়ের ভাইয়ের ব্লগগুলো অবিনশ্বর হয়ে জ্বলতে থাকুক।
মুহাম্মদ জুবায়ের এর ছোট্ট একটা প্রোফাইল
১৯৫৫ সালের ২২মে মুহাম্মদ জুবায়ের জন্ম গ্রহণ করেন। মৃত্যুবরণ করেন ২০০৮ এর ২৫ শে সেপ্টেম্বর।
বগুড়া শহরে জন্ম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজী সাহিত্য নিয়ে পড়াশুনা করেছেন। সত্তর দশকের প্রথমার্ধে লেখালেখির শুরু হলেও ১৯৮৪-৮৫ থেকে ১৯৯৯ পর্যন্ত দীর্ঘ স্বেচ্ছা-অবসর কাটিয়েছেন।
গল্প-উপন্যাস এবং সংবাদপত্রের কলাম ও ব্যক্তিগত রচনাসহ বিবিধ গদ্যের রচয়িতা, কিছু অনুবাদকর্মও আছে। প্রকাশিত গ্রন্থ দুটি - উপন্যাস "অসম্পূর্ণ" (১৯৮৬) ও কিশোর উপন্যাস "আমাদের অমল" (২০০৩)। ১৯৮৬ সাল থেকে প্রবাসী। মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত আমেরিকার টেক্সাস রাজ্যের ডালাসে বসবাস করতেন। (সূত্র )
২০০৭ এর ১৫ই জানুয়ারী সামহোয়ারে লেখা শুরু করেন।
তার প্রথম পোস্ট ছিল বঙ্গবন্ধুর দেশে ফেরা নিয়ে। বাহাত্তরের 10 জানুয়ারি নামের সে লেখাটিতে চারজন মন্তব্য করেছিল। তার ইমেইল এড্রেস যেখানে তিনি ৭১ কে পুষে রাখতেন সবসময়। তার ব্লগটি ৩৫ হাজারের বেশী বার পঠিত হয়েছে। মুহাম্মদ জুবায়েরের আরো কিছু ব্লগঃ
১. মুহাম্মদ জুবায়ের ব্লগস্পটে ছিলেন।
সেখানে লেখা ছিল "এখানে জমা করে রাখা এই জঞ্জালগুলিই আমার পরিচয়"
২. সাতরং এ পাওয়া যাবে তার আরো কিছু লেখা।
৩. সচলায়তনে তার ব্লগটি বেশ ইন্ট্যারএ্যাকটিভ ছিল। সামহোয়ারে একসময় রাজাকারদের উৎপাত বেড়ে যাওয়ায় বিরক্ত হয়ে সচলায়তনে বেশী লিখতে পছন্দ করতেন।
৪. এনওয়াইবাংলাতে কলাম লিখতেন।
এছাড়া জুবায়ের ভাইয়ের লেখালেখি আর কোথায় কোথায় প্রকাশিত হয়েছে তার খবর জানা থাকলে আপনাদের অনুরোধ করছি দেবার জন্য।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।