আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিশ্বের ২৫টি ভয়াবহ কারাগার

working in DPL

কারাগার শব্দটি শুনলেই চোখের সামনে ভেসে উঠে উচু দেয়ার ঘেরা একটা জায়গা যেখানে দাগী সব অপরাধী দের রাখা হয়। অনেক উন্নত দেশের কারাগার গুলো বেশ ভালো হয়, সেখানে পড়াশুনা, খেলাধুলা করার জায়গা থাকে কিন্তু বিশ্বের বেশির ভাগ দেশ বিশেষ করে মধ্যম এবং নি¤œ আয়ের দেশ গুলার কারাগার গুলা বেশ খারাপ অবস্থা বিরাজ করে। এক কথায় তা দুনিয়ার ”জাহান্নাম” বলা হয়। তেমনি কিছু কারাগার এর কথা আমি এই পোষ্টে বিবরন সহ দেয়ার চেষ্টা করেছি: ২৫. ষ্ট্যানলি কারাগার, হংকং ১৯৩৭ সালে নির্মিত এই কারাগার হচ্ছে বিশ্বের অন্যতম ছয় স্তর নিরাপত্তা বিশিষ্ট কারাগার। ১৯৯০ সালে হংকং সরকার মৃত্যুদন্ড প্রথা রহিত করার আগ পর্যন্ত এটি মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার জন্য কুখ্যাত ছিল।

১৯৪৬ থেকে ১৯৬২ সালের মধ্যে ১২২ জন অপরাধী কে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়। তাছাড়া জাপানী আগ্রাসন এর সময় এই কারাগার কে বন্দিশালা হিসেবে ব্যবহার করা হয় এবং ৬০০ এর অধিক লোক নির্যাতন করে মারা হয়। ২৪. এটটিকা কারেকশন ফেসিলিটি, নিউ ইর্য়ক এটি নির্মিত হয় ১৯৩০ সালে এবং এখানে আমেরিকতার কুখ্যাত এবং ভয়ংকর দাগী অপরাধী দ্বের কে রাখা হত। ১৯৭১ সনের ৯ সেপ্টেম্বর এক ভয়াবহ দাঙ্গার করনে এটি কুখ্যাত হয়। উন্নত থাকার ব্যবস্থা এবং রাজনীতি করার দাবীতে আনুমানিক ২২০০ কয়েদি কারাগার এর ৩৩ জন অফিসিয়াল এবং গার্ড কে বন্দি করে ফেলে।

৪ দিন আলোচনার মধ্যে ১০ জন কারারক্ষী সহ সর্বমোট ৩৯ জন নিহত হয়। ২৩. মনটেলোপিচ কারাগার, পোল্যান্ড: পৃথীবির অন্যতম ভয়াবহ নাতসি কারাগার গুলোর মধ্যে এটি একটি। দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের প্রায় পুরোটা সময় (১৯৪০-১৯৪৪) এখানে আনুমানিক ৫০,০০০ লোককে মধ্যযুগিয় কায়দায় নির্যাতন করা হয় যার বেশির ভাগই ছিল গুপ্তচর সন্দেহে ধরে আনা ব্রিটিশ এবং রাশিয়ান লোক। যুদ্ধ শেষে এটি রাশিয়ার হাতে চলে যায় এবং এটি একটি রাশিয়ান কারাগার হয় কিন্তু সেখানকার পোলিশ রক্ষিদের কে এনকেভিডি দ্বারা হত্যা করা হয়। ২২. ক্যাম্প ১৩৯১, উত্তর ইজরায়েল: এটি ইজরায়েল এর সামরিক কারাগার বলে বিবেচনা করা হয় এবং ৫০৪ ইউনিট এটি পরিচালনা করে।

মুলত উচ্চ মাত্রার বিপদজনক কয়েদিদের এখানে রাখা হয়। ২০০৩ সালের আগে এই কারাগার সর্ম্পকে কেউ কিছু জানতো না এবং এখনো এই কারাগার এর অনেক তথ্য অজানা রয়েছে যদিও ইজরায়েল এর সুপ্রিম কোর্ট কারাগার সম্বন্ধে তথ্য প্রকার করার আদেশ প্রদান করে। ২১. ভ্লাদিমির কেন্দ্রিয় কারাগার, রাশিয়া: ভ্লাদমির কেন্দ্রেীয় কারাগার, রাশযি়া - ১৭৮৩ সালে নর্মিতি, এটি সোভযি়তে ইউনযি়ন যুগরে সময় রাজনতৈকি বন্দীদরে হাউজংি জন্য কুখ্যাত হয়ে ওঠে । জনার্কীণ এবং রোগে ভরা কারাগার কন্দ্রেে বসবাসকারীরা রক্ষবিাহনিী দ্বারা ধর্ষন এর শিকার হয়। তাছাড়া বন্দিদের কে প্রায়ই কারাগার এর দেয়াল এর সাথে বেধে বেধড়ক পেটানো হয় এবং অনেকে এতে মারা যায়।

তা ছাড়া বন্দিদের একে অপরকে পেটানোর নির্দেশও দেয়া হয়। ২০. কামিতি সর্বোচ্চ সুরক্ষিত কারাগার, নাইরোবি, কেনিয়া: ১২০০ একর উপর প্রতিষ্ঠিত এ কারাগার এ অনেক রাজনৈতিক বন্দিদের নির্যাতন এর করনে সমালোচিত। এখানে বন্দিদের পেটানো নিত্যনৈমিত্যিক ঘটনা। তাছাড়া অপুষ্টি, কলেরা, আলসার লেগেই থাকে। ১৯. বুইটরাইকা কারাগার, মস্কো, রাশিয়া: এটি একটি রাশিয়ান ট্রানজিট কারাগার।

এটি এৎবধঃ চঁৎমব কারনে কুখ্যাত হয়ে আছে। আনুমানিক ২০,০০০ বন্দিদের কে এখানে হত্যা করা হয়। তাছাড়া ১০ জন ধারনক্ষমতা সম্পন্ন সেলে এ ১০০ জন বন্দিকে রাখা হয়। এটি গ্রীষ্মকালে অত্যন্ত গরম থাকে। তাছাড়া এইডস্ এবং যক্ষা এখানে মহামারীর মত লেগে থাকে।

১৮. নাইরোবি প্রিজন, কেনিয়া: মুলত ৮০০ বন্দি ধারন ক্ষমতা সম্পন্ন এই কারাগার ১৯১১ সালে নির্মিত হয়। ২০০৩ সাল হতে এখানে ৩০০০ বন্দি কে রাখা হয়। এটি বিশ্বের অন্যতম একটি ঘনকসতি পূর্ন কারাগার। এই কারাগার এমনই অবস্থা যে বন্দিদের কে এখানে শারীরিক ও মানসিক ভাবে সুস্থ্য থাকার জন্য রীতিমত যুদ্ধ করতে হয়। এখান কার দেয়াল গুলো মানুযের ঘামে ভেজা থাকে, মনুষ্যবর্জ বাদাস দূষিত করে রাখে।

এক কথায় দুনিয়ার দোযখ। ১৭. ব্ল্যাক বিচ প্রিজন, মালিবু, গিনি: এই কারাগার রক্ষিদের বর্বর অত্যাচার, অপুষ্টি, সংক্রামক রোগের মহামারী আকারে বিস্তার এবং ইদুর এর কামড় জন্য কুখ্যাত হয়ে আছে। রোগ এবং রক্ষিদের নির্যাতনে এখানে বন্দিরা নিয়মিত মারা যায়। ১৬. পেটাক আইল্যান্ড কারাগার, রাশিয়া: এটা হচ্ছে আমেরিকার অষপধঃৎধু এর রাশিয়ান ভার্সন যা হোয়াইট লেক দ্বারা মূল ভুখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন। যদিও এখানে রক্ষিদ্বারা বন্দি নির্যাতন হয় না কিন্ত বরফে ঢাকা বন্দি শালায় থাকতে থাকতে বন্দিরা শারিরিক এবং মানসিক ভাবে বির্পযস্ত হয়ে পড়ে।

১৫. সান জুয়ান ডি লুরিগানচো, লিমা, পেরু: ২৫০০ জনের জন্য নির্মিত দক্ষিন আমেরিকার এই কারাগার হচ্ছে সবচেয়ে কঠিন কারাগার যেখানে বর্তমানে ৭০০০ বন্দি গাদাগাদি করে থাকে। এখানে বন্দিরা তাদের ইচ্ছামত জিনিস বিক্রি করে এমনকি মাদক পর্যন্ত। পতিতা দের এখানে নার্স হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সহবন্দিদরে সাথে মারামারি, তাদের কে হত্য এখানকার নিয়মিত ঘটনা। ১৪. রিকারস আইল্যান্ড প্রিজন, আমেরিকা: আমেরিকার অন্যতম কুখ্যাত কারাগার এটি।

সহবন্দিদের কে পেটানো, ছুরিকাঘাত এবং বন্দিদের কে অন্যবন্দি দিয়ে পেটানো হয় যাদের কে জেলের রক্ষিরাই ”গার্ড” হিসেবে নিয়োগ প্রদান করে। ২০০৭ সালে এক ১৮ বছর এর বালক কে তার সহবন্দি অজ্ঞান না হওয়া পর্যন্ত মারার পর আলোচনায় আসে এটি। তা ছাড়া মানসিক বন্দিরা প্রায়ই চিকিৎসার নামে অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে আত্নহত্যা করেন। ১৩. সান কুয়ানটিন কারাগার, আমেরিকা: এটা আমেরিকার প্রাচিনতম কারাগার যা জুলাই ১৮৫২ সালে চালু হয়। ১৯৩০ সানে এখানে ব্যাপক দূর্নীতি হয় এবং জাতিগত দাঙ্গা গার্ড এর দ্বারা উস্কানি দেয়া হত।

১২. গ্ল্যাডানি কারাগার, জর্জিয়া: যদিও জর্জিয়ার অপরাধ এর হার অনেক কম কিন্তু এই কারাগারে যৌন নিপিড়ন, যক্ষা, বন্দিদের নিজেদের মধ্যে মারামারি এর জন্য কুখ্যাত। ১১. ল্যা সান্তে, প্যারিস: ফরাসী ভাষায় ল্যা সান্তে হচ্ছে স্বাস্থ্যকর জায়গা কিন্তু এটি ফ্রান্সের অন্যতম জঘন্য কারাগার। এখান কার বন্দদিরে সলেে ইদুর এবং ছারপোকার সাথে থাকতে হয় । ২০০২ সালে ৭৩ জন এবং ২০০৩ সালে ১২২ জন বন্দি এখানে আত্নহত্যা করে। অনেকে েড্রনে পরস্কিার করে মানবতের জীবনযাপন কর।

ে ১০. আলা কার্টাজ আইল্যান্ড প্রিজন, সান ফ্রান্সিসকো, আমেরিকা: ১৯২০ সালে নির্মিত এই কারাগার কে রক বা শয়তান এর দ্বীপ বলা হতে। এটা এমন ভাবে নির্মিত হয়েছিল যে পালানো অসম্ভব ছিল। জন মানব বিচ্ছিন্ন পরিবেশে বন্দীদের একে অপর এর সাধে দেখা কিংবা কথা বলাও নিষেধ ছিল। এটা নিয়ে হলিউডে অনেক চলচিত্র ও নির্মিত হয়েছিল। ০৯. গিতারামা কেন্দ্রিয় কারাগার, রুয়ান্ডা: পৃথীবির নরক বলতে যা বুঝায় তা হল এই কারাগার।

প্রতি ১ বর্গফুট জায়গায় ৪ জন বন্দিকে একসাথে থাকা, খাওয়া, ঘুম এইসব সারতে হয়। ৪০০ জনের জন্য নির্মিত জায়গায় ৭০০০ লোক বাস করে। আবদ্ধ জায়গায় বন্দিদের জন্য রান্না করা থেকে নির্গত ধোয়া তে অনেকে বিষম অবস্থা হয়। গাদাগাদি করে থাকার ফলে বিভিন্ন রোগে এরা মারা যায়। হতাশা থেকে সহবন্দির মাংস খাওয়ার মত জঘন্য অপরাধ এখানে সংগঠিত হয়।

০৮. দিয়ারবাকির কারাগার, তুরস্ক: দিয়ারবাকির কারাগার হচ্ছে তুরস্কের সবচেয়ে ধর্ষকামী এবং শাস্তিপ্রদান কারী কারাগার। এই কেন্দ্রে সবসময় মানকাধিকার লঙ্গিত হয়। এখান কার বন্দিদের অসম্ভব শর্ত প্রদান, শারীরিক মানসিক নির্যাতন, বন্দিদের কে যৌন নির্যাতন এমন কি শিশু নির্যাতন পর্যন্ত হয়। এ অবস্থা থেকে বাচার জন্য বন্দিরা মাঝেমাঝে ক্ষুধা ধর্মঘট, নিজেদের শরীররে আগুন লাগানো এমকি আতœহত্যা পর্যন্ত করে। ০৭. ম্যাক্সিমাম সিকিউরিটি প্রিজন, ফ্লোরেন্স, আমেরিকা: এটি আমেরিকার সর্বোচ্চ নিরাপত্তা বিশিষ্ট কারাগার যাতে অপরাধীরা অন্য বন্দিীদের কিংবা রক্ষীদের সাথে মারামারি না করতে পারে।

দিনের পর দিন কেউ কারো সাথে কথা বলতে পাওের না এখানে। মানসিক অবসাদের কারনে অনেকে আতœহত্যা করে। ০৬. এল রোডিও, ভেনিজুয়েলা: হুগু স্যাভেজ এর শাসন আমলে অপরাধ এরমাত্রা বেড়ে গিয়েছিল। এখনো প্রায় ৫০,০০০ বন্দি দন্ডিত হবার অপেক্ষায় আছে। জুন ১২, ২০১১ সালে এক ভয়াবহ দাঙ্গায় এনখানে রক্তগঙ্গা বয়ে গিয়েছিল।

প্রায় ১ মাস ব্যাপি দাঙ্গা চলে এবং বহু লোক মারা যায়। ০৫. লা সাবেন্তা, ভেনিজুয়েলা: দক্ষিন আমেরিকার অন্যতম কুখ্যাত এবং নৃশংস কারাগার এটি। সহিংসতা এখানকার নিত্ত নৈমিত্তক ঘটনা। একে অপরকে হত্যা, কোন চিকিৎসা সেবা না দেয়া, কম খাবার সরবরাহ, বিভিন্ন রোগ সংক্রমন হওয়া ইত্যাদি। ০৪. বাং কোয়াং কারাগার, থাইল্যান্ড: এই কারাগারে বন্দিরা ১ম মাসের ডিটেশন এর সময় পাগল হয়ে যায় অনেকে।

থাইল্যান্ডের সবচেয়ে সহিংস কারাগার এটি। থাইল্যান্ডের সবচেয়ে হিংস্র অপরাধীদের এখানে রাখা হয়। ধারনক্ষতার অতিরিক্ত লোক এবং দূর্বিষহ জীবনযাপন এর জন্য এটি পরিচিত। ০৩. টাডমোর মিলিটারী প্রিজন (সিরিয়া) এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এর মতে এটি সর্বাধিক মানবাধিকার লঙ্গিত কারাগার গুলোর একটি। ১৯৮০ সালে প্রেসিডেন্ট হাফিজ আল আসাদ তার উপর হত্যা উদ্দেশ্যে আক্রমন করেছে মুসলিম ব্রাদারহোড এই অভিযোগে ২ সপ্তাহে কারাগারের প্রায় ২৪০০ বন্দিকে হত্যা করেন।

০২. কারানডিরো (ব্রাজিল) ১৯৯২ সালে এক দাঙ্গায় এখানে রক্ষিরা বহু বন্দি হত্যা করে এবং এর ৪৬ বছরের ইতিহাসে ১৩০০ এর বেশি বন্দি হত্যার ঘটনা ঘটে। ২০০২ সালে এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এর এক রির্পোটের পর ব্রাজিল সরকার এটি বন্ধ ঘোষনা করেন। ০১. ক্যাম্প ২২, উত্তর কোরিয়া: ক্যাম্প ২০১২ সালে আর্ন্তজাতিক গনম্যাধম এর নজরে আসে যখন এর একজন রক্ষি চীনে পালিয়ে যায় । রাজনৈতিক বন্দিদের এখানে এনে এখানে রাখা হয়, এমনি কি তিন পুরুয ধওে পর্যায়ক্রমে পরিবারের সদস্যদের এখানে ধরে আনা হয় যাতে আন্দোলনের ”শিকর” উপরে ফেলা যায়। ১৯৬৫ সাল থেকে এখানে প্রায় ৫০,০০০ বন্দি আনা হয় এবং বিভিন্ন সময় এদের ল্যাবে রাসায়নিক বোমা সহ অনেক কিছুর জন্য গিনিপিগ হিসেবে ব্যাবহার করা হয়।

কোন ধরনের তথ্য ভুল থাকলে জানাবেন... ধন্যবাদ

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.