আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিএনপি ক্ষমা চাইবে না, কারণ এ দেশে ক্ষমা চাইতে হয় না।

জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, যুক্তি যেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব।

আদিলুর রহমানের অধিকারের হিসেবে ৬১ এবং আজকের ইকোনমিস্টের হিসেবে ৫০ জন হেফাজত কর্মী নিহত হয়েছেন শাপলা চত্ত্বর থেকে হেফাজত কি সরিয়ে দিতে চালিত পুলিশি অভিযানে। আজকে ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভিতে দেখলাম 'অধিকার'র সিনিয়র একজন কর্মকর্তা এখন পূর্বের দেয়া বক্তব্য থেকে সরে এসেছেন। তিনি এখন বলছেন, শাপলা চত্ত্বরের অভিযানে নয় শুধু সারা ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ সহ ঐদিন সব মিলিয়ে ৬১ জন মারা গেছেন। ঐদিনের হিসেব থেকে আলাদা করে শাপলায় রাতে অভিযানের সময় কতজন মারা গেছে জিজ্ঞেস করলে, তিনি তা বলতে পারেননি।

আবার তারা আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) সহ তিনটি বিদেশি মানবাধিকার সংস্থাকে ৬১ জনের লিস্ট পাঠানোর যে তথ্য দিয়েছিলো, আসক কার্যালয়ে যেয়ে সেটিও মিথ্যে প্রমাণিত হয়েছে। আসক কোনো লিস্ট পায়নি বলে সুলতানা কামাল স্পষ্ট করে জানিয়েছেন। তাই ৬১ জন হত্যার এ তথ্যের কোনো বিশ্বাসযোগ্যতা এখনো পাওয়া যাচ্ছে না। এমনকি দেশের প্রথিতযশা সকল প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াও এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে হত্যাকান্ডের এ সংখ্যার কোনো প্রমাণ আজ অব্ধি পায়নি। বিএনপি বলেছিলো প্রায় ২,৫০০ মানুষ হত্যা করা হয়েছে সেদিন শাপলা চত্ত্বরে।

যদিও ৬১ বা ৫০ এ সংখ্যাগুলোর কোনো প্রমাণ কেউ এখনো হাজির করতে পারেনি। তারপরও বিএনপি এ মুহূর্তে অবস্থান নিয়েছে আদিলুর/ইকোনমিস্টের পক্ষে। অথচ বিএনপি'র উচিৎ ছিলো ২,৫০০ এর জায়গায় মাত্র ৬১/৫০ এর সংখ্যা হাজির করায় আদিলুর/ইকোনমিস্টের বিরুদ্ধে তথ্য বিভ্রাটের অভিযোগ আনা এবং এর আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন বিচারের দাবি তোলা। (কোথায় ২,৫০০ আর কোথায় ৬১/৫০) অথবা ঢাহা (শুধু ঢাহা বললে পোষায় না) এই মিথ্যে বলে জনগণকে সেসময় উস্কানি দেয়ার জন্য ক্ষমা চাওয়া। কিন্তু বিএনপি এর কোনোটিই করেনি, কারণ বিএনপি 'ইসলাম' ও মিথ্যাচার দিয়ে কিভাবে মানুষকে ভেড়া বানিয়ে দেয়া যায় সে কায়দা কানুনে অপ্রতিদ্বন্দ্বী।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.