শিলচর সম্মিলিত সাংস্কৃতিক সমিতির নেতারা সম্প্রতি এ দাবি নিয়ে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীল সিন্ধের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে নামকরণের প্রস্তাবটি অনুমোদন দেয়া হয়েছে বলে তাদের জানানো হয়।
স্থানীয় বাঙালিরা দীর্ঘদিন ধরে এ দাবি জানিয়ে আসছিল।
এখন আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করবে সরকার। তবে ভারতের রেলমন্ত্রী ও আসাম রাজ্য সরকারকে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করতে কিছুটা সময় লাগবে।
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক সমিতির আহ্বায়ক ড. রাজিব কর বলেন, দিল্লি অবশেষে ‘আমাদের হৃদয়ের দাবি’ মেনে নিয়েছে।
ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামের বরাক উপত্যকার প্রধান শহর শিলচর, যেখানে বাংলাভাষীরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠী।
বাংলা ভাষাকে ওই অঞ্চলের দাপ্তরিক ভাষা এবং শিক্ষার মাধ্যম করার দাবিতে ১৯৬১ সালের ১৯ মে শিলচর রেল স্টেশনের কাছে রেলপথ অবরোধ করা হয়।
সেখানে আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি চালায় পুলিশ। তাতে ঝরে পড়ে এক স্কুলশিক্ষার্থীসহ ১১ জনের প্রাণ, যাদের ভাষা শহীদ হিসেবে উত্তরপূর্ব ভারতে স্মরণ করা হয়।
আসাম রাজ্য সরকার বাঙালি অধ্যুষিত ওই এলাকায় অহমিয়া ভাষার আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করলে ওই বিক্ষোভের সূচনা হয়।
সাংস্কৃতিক সমিতির নেতা রাজিব কর বলেন, “একুশের ভাষা শহীদদের মতো আমাদের শহীদরাও বাংলা ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসের অংশ। বাঙালির মতো ভাষার অধিকারের প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ের ইতিহাস বিশ্বে বিরল। ”
আগামী ১৯ মেতে আনুষ্ঠানিকভাবে শিলচর রেলস্টেশনের নাম ভাষা শহীদ স্টেশন করা হলে তা অনেক চমৎকার হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
“ওই তারিখের আগে সরকার এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিতে পারবে কি না সে বিষয়ে আমরা নিশ্চিত নই,” বলেন তিনি।
নয়া দিল্লির এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে আসাম ও ত্রিপুরার বাঙালিরা।
তাদের দলে যোগ দিয়েছে আসম সাহিত্য সভার সভাপতি রংবং তেরোনও।
শিলচর আন্দোলনের সময় বাঙালিদের দাবির বিরোধিতা করেছিল আসম সাহিত্য সভা। সমগ্র আসামে শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে অহমিয়াকে বেছে নেয়ার জন্যও চেষ্টা চালিয়েছিল তারা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।