গান দিয়ে যাঁকে চেনা যায়, গানে গানেই যাঁর পরিচিতি, সেই রুনা লায়লা নতুন গান বাঁধবেন মানুষজনকে মরণব্যাধি সম্পর্কে সচেতন করতে। এইচআইভি/এইডস আর তার সঙ্গে দ্বিগুণ তেজে ফিরে আসা যক্ষ্মা হলো সেই মরণব্যাধি। রুনা লায়লা হলেন প্রথম বাংলাদেশি, দক্ষিণ এশিয়ার আট দেশের সংগঠন ‘সার্ক’ যাঁকে এই মরণব্যাধি সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে ‘গুডউইল অ্যাম্বাসেডর’ নিযুক্ত করেছে। গত মার্চ মাসে এই নতুন দায়িত্ব পেয়ে সম্প্রতি প্রথম সফরে ভারতে এসে প্রথম আলোকে রুনা বললেন, ‘এটা এক বিরাট চ্যালেঞ্জ। ভাবছি, নতুন গান বাঁধব।
আর ভাবনা চলছে এইডসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দেশে দেশে কনসার্টের আয়োজন করার। ’
ক্ষুধার বিরুদ্ধে ও পরিবেশ রক্ষার লড়াইয়ে আন্তর্জাতিক কনসার্ট বহু হয়েছে। ১৯৮৫ সালের ‘উই আর দ্য ওয়ার্ল্ড’-এর কম্পোজিশনের স্মৃতি তো এখনো তাজা। রুনা চাইছেন ওই ধরনের কিছু একটা করতে, যা এই উপমহাদেশের মানুষকে সজাগ ও সচেতন করবে। রুনার সঙ্গে আছেন আরও দুজন—ভারতের অভিনেতা অজয় দেবগন ও পাকিস্তানের চলচ্চিত্র পরিচালক শর্মিন ওবেইদ শিনয়।
তাঁরা তিনজনই গুডউইল অ্যাম্বাসেডর। ১ ডিসেম্বর বিশ্ব এইডস দিবস। সবকিছু ঠিকঠাক চললে ওই দিনই হতে পারে রুনাদের প্রথম কনসার্ট।
তিন দিনের সফরে দিল্লি এসে বেশ ভালো লেগেছে রুনার। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সালমান খুরশিদ, স্বাস্থ্যমন্ত্রী গোলাম নবী আজাদের সঙ্গে দেখা হয়েছে তাঁর।
ভাবনার আদান-প্রদানও হয়েছে।
রুনার কথায়, ‘আমাদের প্রথম লক্ষ্য এইডসের হাত থেকে মানুষকে রক্ষা করা। কেন এইডস হয়, কী করলে এর হাত থেকে বাঁচা যায়, সেটা মানুষজনকে বোঝানো। আর দ্বিতীয় লক্ষ্য এইডস যে আর পাঁচটি রোগের মতো ছোঁয়াচে নয়, সেটা জানানো। ’
দ্বিতীয় এই কাজটিই যে বেশি চ্যালেঞ্জের, দিল্লির অশোকা হোটেলে বসে সেই কথাটাই স্বীকার করলেন রুনা।
রুনার কথায়, ‘আমাদের পরিচিত মুখের আবেদনে যদি মানুষের মনের ভ্রান্ত ধারণা দূর হয়, একঘরে করে দেওয়া মানুষদের প্রতি যদি সবাই সহানুভূতিশীল হয়, সমাজচ্যুতকে যদি সবাই কাছে টেনে নেয়, সচেতনতা যদি বাড়ে, তাহলেই আমাদের কাজটা সার্থক মনে করব। ’।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।