আমি বাংলাদেশকে ভালবাসি
এইডস একটি মরণব্যাধি যা এইচআইভি ভাইরাসের সংক্রমণের মাধ্যমে হয়। এতদিন পর্যন্ত এইডসের কোন কার্যকর চিকিৎসা আবিস্কার হয়নি। তবে সম্প্রতি খবরে প্রকাশ FIT বায়োটেক নামক একটি কোম্পানি সম্ভবত এইডসের ভ্যাকসিন আবিষ্কার করেছেন এবং এই বছরেই ভ্যাকসিনের টেস্ট শুরু করা হবে।
বহু দিন ধরেই মেডিক্যাল গবেষকরা এইচআইভি ভাইরাস প্রতিরোধে ওষুধ কিংবা ভ্যাকসিন আবিষ্কারের চেষ্টা করেছেন। শেষ পর্যন্ত সেই চেষ্টা সফলতার মুখ দেখেছে বলা যায়।
সর্বশেষ গবেষণায় আবিষ্কৃত হয়েছে যে ভ্যাকসিনটি রোগ বৃদ্ধির হার কমাতে কিংবা এইচআইভি ভাইরাস সম্পূর্ণ ধ্বংস করে ফেলতে সক্ষম। অনেক কষ্টসাধ্য পরিশ্রমের পর FIT বায়োটেক কোম্পানি দুইটি সেরা ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি এবং দুইটি আমেরিকান ফার্মাসিউটিকল কোম্পানির সাথে সংযুক্ত হয়ে আবিষ্কার করেছেন যে – তাদের ভ্যাকসিনটি শরীরে এইচআইভি ভাইরাস ছড়িয়ে যাওয়া প্রতিরোধে সক্ষম।
২০১৪ সালের বসন্তের শেষের দিকে একশ জন এইডস রোগীকে ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে। এবং পরবর্তীতে ফ্রান্স এবং সুইজারল্যান্ডের সহস্রাধিক রোগীকে ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে। যদি ভ্যাকসিন প্রদান করার পর এইচআইভি আক্রান্ত রোগীরা সুস্থ হয়ে উঠে কিংবা এইচআইভি ভাইরাস প্রতিরোধের প্রমাণ পাওয়া যায় তাহলে এইডস রোগের চিকিৎসায় বড়ধরনের সফলতা আসবে বলা যায়।
ফলশ্রুতিতে ভ্যাকসিনটি গ্রহণযোগ্যতা পাবে এবং পরবর্তী পাঁচ বছরের মধ্যে বাজারজাত করা হবে ভ্যাকসিনটি।
FIT বায়োটেক কোম্পানির সিআইও Kalevi Reijonen এর বক্তব্য হতে জানা যায় – পূর্বে এইডস রোগীর চিকিৎসা করতে যে খরচ হতো এই ভ্যাকসিন বাজারজাতের পর চিকিৎসা খরচ পূর্ব খরচের দশ ভাগের এক ভাগ হবে। বর্তমানে এক বছর ওষুধ চিকিৎসা নিতে একজন এইডস রোগীর কমপক্ষে দশ – পনের হাজার ইউরো ডলার লাগে। এই বছরের মধ্যেই ভ্যাকসিনের লাইসেন্স এবং বাজারজাত করণের উদ্দেশ্য উৎপাদন সংক্রান্ত প্রক্রিয়াগুলো সম্পন্ন করা হবে এমন আশাবাদ ব্যক্তও করেছেন তিনি।
ভ্যাকসিনটি আবিষ্কারের ফলে এইডস-এর চিকিৎসায় আরও এক ধাপ এগিয়ে গেলেন বিজ্ঞানীরা।
আশা করি শীঘ্রই এমন দিন আসবে যখন কেউ এইডস রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাবে না। সেইকারণে FIT বায়োটেক কোম্পানির সফলতা প্রত্যাশা সবার।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।