কাজের মেয়েকে নির্যাতনের ঘটনায় গোপালগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত এসপি রোকনুজ্জামানের স্ত্রী চুমকি বেগমের বিরুদ্ধে রাজধানীর পল্টন থানায় মামলা হয়েছে। গত ২২ আগস্ট নির্যাতিত পারভিনের পিতা শাবান আলী ফকির বাদি হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলাটি দায়ের করেন। তবে এ ঘটনায় পুলিশ এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করেনি। শাবান আলী ফকির এজাহারে অভিযোগ করেন, ৪ মাস আগে তার মেয়ে পারভিন তাদের পূর্ব পরিচিত মানেকা নামে এক মহিলার মাধ্যমে এক হাজার টাকা বেতনে ওই পুলিশ কর্মকর্তার বাড়িতে কাজ নেয়। গৃহকর্ত্রী চুমকি বিভিন্ন কাজের ছুতোয় তার মেয়েকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করত।
এজাহারে শাবান বলেন, মেয়ে পারভিনের খোঁজ নিতে গত ১৭ আগস্ট সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় তিনি ও তার স্ত্রী জোনাকি পুলিশ স্টাফ কোয়ার্টারের ৪তলার বাসায় যান। সেখানে মেয়েকে অসুস্থ দেখতে পেয়ে প্রথমে ন্যাশনাল ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করান।
এদিকে মামলা দায়েরের ৬ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও পল্টন থানার পুলিশ অদ্যাবধি পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রীকে গ্রেফতার করেনি।
এ ব্যাপারে পল্টন থানার ওসি শহিদুল হক শীর্ষ নিউজ ডটকমকে জানান, মামলা না নিয়ে বিষয়টি আপোষ করে দেয়ার জন্য তার উপর অনেক চাপ এসেছে। কিন্তু তিনি শক্ত ধারায় মামলাটি নিয়েছেন।
ওসি জানান, ঘটনার পর পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী বাড়ি থেকে পালিয়ে গোপালগঞ্জে তার পুলিশ কর্মকর্তা স্বামীর বাংলোতে অবস্থান করছেন। তাকে গ্রেফতারের প্রক্রিয়া চলছে।
অন্য একটি সূত্র জানিয়েছে, ওই কাজের মেয়ের পিতা মাতাকে টাকা দিয়ে ঘটনাটি মীমাংসার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এ দায়িত্ব দেয়া হয়েছে নগরীর একাধিক থানার ওসিকে।
(শীর্ষ নিউজ ডটকম/ এআরটি/ এআই/ সস/ ১৫.২০ঘ)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।