মা বাবার সেবা করা সবচেয়ে বড় ইবাদত
অধিকাংশ ক্ষেত্রে আমাদের দেশের অভিভাবকরাই সন্তানের ক্যারিয়ার প্ল্যানিং করে দেন। এ ক্ষেত্রে বেশিরভাগ অভিভাবকই সন্স্নানকে বিবিএ, এমবিএ, অনার্স বা মাস্টার্সে পড়াশোনায় উত্সাহিত করেন। তারপর যে-ই ভাবা সে-ই কাজ। দীর্ঘ ৮-৯ বছরের পড়াশোনা শেষে রেজাল্ট বের হলে তাকে খুঁজতে হয় চাকরি। কেউ কেউ চাকরি পেলেও অনেক ক্ষেত্রে তা প্রত্যাশিত নয়।
অধিকাংশ ডিগ্রিধারীই বেকার ঘুরে বেড়ান। দীর্ঘ সময় ও অর্থ অপচয় শেষে চাকরি না পেয়ে অনেককেই পেয়ে বসে হতাশা। কিন্তু শিক্ষার্থীরা যদি শুরুতেই একটু বিচার-বিবেচনা করে এমন পড়াশোনা বেছে নিতে পারেন, যেখানে তাকে চাকরির পেছনে ছুটতে হবে না; বরং চাকরিই যেন তার পেছনে ছুটবে।
বর্তমান বিশ্বে চাকরির বাজারে সিএটি এবং এসিসিএর চাহিদা এখন তুঙ্গে। এসিসিএ বা অ্যাসোসিয়েশন অব চার্টার্ড সার্টিফাইড অ্যাকাউন্ট্যান্ট হচ্ছে ব্যবসায় শিক্ষা, বিশেষ করে হিসাববিজ্ঞান এবং ফিন্যান্স বিষয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বড় পেশাধারী ডিগ্রি।
শত বছরের অধিক সময় ধরে সারাবিশ্বে সমাদৃত চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট তৈরিতে সহায়তা করে আসছে এসিসিএ। যেখানে আমাদের দেশের প্রতিষ্ঠিত প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিগুলোয় শুধু বিবিএ করতে প্রায় ৮ লাখ এবং এমবিএ করতে প্রায় ৫ লাখ টাকা লাগে, সেখানে (ঈঅঞ+ঐড়হং রহ অঢ়ঢ়ষরবফ অপপড়ঁহঃরহম (অঈঈঅ ঢ়ধত্ঃ-২)+ অঈঈঅ (ঋঁষষ ছঁধষরভরবফ) থেকে সর্বোচ্চ ৪ বছরে মাত্র ৪ লাখ টাকার মতো লাগবে। আমাদের দেশের ডিগ্রিগুলোর তেমন কোনো বিশ্বব্যাপী গ্রহণযোগ্যতা বা গ্লোবাল এক্সসেপটেন্স নেই; অথচ এসিসিএ ডিগ্রিটির বিশ্বব্যাপী গ্রহণযোগ্যতা খুবই। আমাদের দেশে যেমন চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্সি (ঈঅ) ডিগ্রি আছে, তেমনি ইউকের সিএ ডিগ্রিকে বলে এসিসিএ। প্রফেশনাল অ্যাকাউন্টিং বা এসিসিএ পড়ার সবচেয়ে বড় কারণ হলো, বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে এসিসিএর অকল্পনীয় গ্রহণযোগ্যতা।
বিশ্বব্যাপী চাকরির সুবিধা : অনেকে জেনে হয়তো অবাক হবেন, যে কেউ সিএটি অথবা এসিসিএ কমপ্লিট করার সঙ্গে সঙ্গে তার সিভিটি পৌঁছে যায় এসিসিএর মূল জায়গায়। সেখান থেকে সারাবিশ্বের ঞড়ুড়ঃধ, টহরষবাবত্, চ্এ (চত্ড়পঃড়ত্ ্ এধসনষব), ইঅঞ-এর মতো ৮ হাজার ৪২৪টি জব প্রোভাইডারের কাছে সেসব সিভি পৌঁছে যায়। ওই প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের চাহিদামতো প্রত্যাশিত প্রার্থীদের চাকরির জন্য নির্বাচিত করেন সারাবিশ্ব থেকে।
পরিচালক সোমিত্র দেব জানালেন, যেহেতু এটি একটি প্রফেশনাল কোর্স, তাই কোনো শিক্ষার্থী যে কোনো গ্রুপ থেকে এসএসসি, এইচএসসি এবং ‘ও’ লেভেল শেষ করার পর কিংবা বয়স ১৬ বছর হলেই সিএটি কোর্স শেষ করে এসিসিএর পথে যাত্রা শুরু করতে পারে। আর যারা গ্র্যাজুয়েশন কমপ্লিট করেছেন কিংবা বয়স ২১ বছর, তারা সরাসরি এসিসিএ শুরু করতে পারেন।
এসিসিএর অধীন প্রধানত দুটি কোর্স পরিচালিত হয়ে আসছে— সার্টিফাইড অ্যাকাউন্টিং টেকনিশিয়ান বা সিএটি এবং চার্টার্ড সার্টিফাইড অ্যাকাউন্ট্যান্ট বা এসিসিএ। সিএটি অথবা এসিসিএ কোর্সে সারাবছরই ভর্তি হওয়া যায়। মাত্র দেড় বছরে সিএটি কমপ্লিট করে কোনো শিক্ষার্থী সরাসরি এসিসিএ পার্ট-২ শুরু করবেন। পরবর্তী দেড় বছরে এসিসিএ পার্ট-২ করলে অক্সফোর্ড ব্রুকস অব ইউনিভার্সিটি ইউকে থেকে অনার্স ইন অ্যাপ্লাইড অ্যাকাউন্টিং ডিগ্রিটি অর্জন হয়ে যাবে। এরপর এক বছরে এসিসিএ পার্ট-৩ কমপ্লিট করলে কোনো শিক্ষার্থী হয়ে যাবেন ইউকের কোয়ালিফাইড চার্টার্ড অ্যাকাউট্যান্ট।
আমাদের দেশে এসিসিএ এবং সিএটির সব পরীক্ষা ব্রিটিশ কাউন্সিলে অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশে যে ক’টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এসিসিএ পড়াচ্ছে, এর মধ্যে সবচেয়ে প্রতিশ্রুতিশীল ও ব্যতিক্রমধর্মী প্রতিষ্ঠানটি হচ্ছে সাইফুর’স ইউনিভার্সিটি কলেজ। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের দেশে ও বিদেশে আকর্ষণীয় চাকরি পেতে সহায়তা করছে। যোগাযোগ : সাইফুর’স, ৬৯/বি, গ্রিন রোড, পান্থপথ, ঢাকা। ফোন : ০১৯১২-১০১৪৭৩, ০১১৯৯-৯৮২২০১।
—আরশাদুল মোমিন
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।