সাভারের দুর্ঘটনার তিন দিনের মাথায় ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে একসঙ্গে ২৩ জন জীবিত মানুষের খোঁজ পেয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকর্মীরা। আজ শুক্রবার রাতে ধ্বংসস্তূপের নিচে তিনতলায় তাঁদের খোঁজ পাওয়া যায়। তাঁদের বাঁচিয়ে রাখা ও উদ্ধারের জন্য সব তত্পরতা অব্যাহত রয়েছে বলে উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন।
আজ রাত নয়টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক আবদুস সালাম প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, তিনতলার এক জায়গায় একসঙ্গে ২৩ জনকে জীবিত অবস্থায় খুঁজে পেয়েছেন তাঁরা। তাঁদের পাইপ দিয়ে অক্সিজেন সরবরাহ করছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মীরা।
খাবার হিসেবে তাঁদের দেওয়া হচ্ছে জুস, স্যালাইন আর পানি। এই ২৩ জনকে উদ্ধারের জন্য তৎপরতা শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও অনেক জীবিত মানুষ আছে। ’
সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তা আজ সকালে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত জীবিত মানুষকে উদ্ধারের তৎপরতা চলবে। ’ তবে ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক জিহাদুল ইসলাম বলেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত জীবিত মানুষকে পাওয়া যাবে, ততক্ষণ অভিযান চলবে।
’
ফোন করে উদ্ধার পেলেন সাতজন
তিনতলায় কাটিং সেকশনে আটকে পড়া এক কর্মী উদ্ধার পেতে সরাসরি ফোন করেন ফায়ার সার্ভিসকে। ওই ফোনে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ২৪ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আজ শুক্রবার বিকেলে আটজনকে উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। তাঁদের মধ্যে একজন মারা গেলেও সাতজন তখনো বেঁচে ছিলেন।
এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক আবদুস সালাম বলেন, ওই ফোনটি পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা প্রথমে শ্রমিকদের কাছ থেকে খোঁজ নিয়ে তিনতলার কাটিং সেকশনের অবস্থান সম্পর্কে জেনে নেন। পরে ধ্বংসস্তূপের ভেতর সেটা কোথায় হতে পারে তা শনাক্ত করা হয় এবং দেওয়ালে ফুটো করে সুড়ঙ্গ বানিয়ে তাঁদের উদ্ধারের পরিকল্পনা করা হয়।
অবশেষে প্রায় ২৪ ঘণ্টার চেষ্টায় বের করে আনা হয় সাতজনকে, আর একজনকে পাওয়া যায় মৃত অবস্থায়। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।