আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সালমান রুশদীর নাইটহুড প্রাপ্তি এবং ইহুদী-খৃষ্টানচক্রের ষড়যন্ত্র.......বাংলাদেশী ব্ললগার সমাচার



১৯৭৮ সালের সেপ্টেম্বর মাস। নিউইয়র্কের একটি প্রকাশনী থেকে অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে "The Hundred" নামক ৫৭২ পৃষ্টার একটি বই প্রকাশিত হয়। আমেরিকার বিশিষ্ট খৃষ্টান গবেষক ও লেখক মাইকেল এইচ. হার্ট একদল স্বনামধন্য লেখক-গবেষককে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে পরিশ্রম করে গোটা পৃথিবীর ইতহাস থেকে প্রচুর তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহপূর্বক এর উপর গবেষণা করে বিশ্বইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ ১০০ জন মনীষীর জীবনালোকপাত করেন। কিন্তু বইটি প্রকাশের পর ইহুদী ও খৃষ্টানদের মাথা খারাপ হয়ে যায়। এর প্রতিবাদে ইসলামের শত্রুরা দিশেহারা হয়ে প্রতিশোধের উপায় হন্যে হয়ে খুঁজতে থাকে।

এর একমাত্র কারণ হলো-মাইকেল এইচ. হার্ট এবং তার সঙ্গী গবেষক। নিজেরা যদিও ইহুদী ও খৃষ্টান র্ধমাবলম্বী ছিলেন, কিন্তু তাদের বিবেক তাদেরকে সত্য প্রকাশে কুন্ঠিত হতে দেয়নি। "দি হান্ড্রেড" বইটিতে ১০০ জন বিশ্বইতিহাসের শ্রেষ্ঠ মানুষের মধ্যে থেকে তাদের জাতিগত শত্রু পরিগণিত হওয়া সত্ত্বেও তারা ইসলাম ও মুসলমানের সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বিশ্বের সর্বকালের সর্বযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানবরূপে ঘোষণা দিয়ে সর্বপ্রথম স্থান প্রদান করা হয়। মাইকেল এইচ. হার্ট মতপ্রকাশ করেন যে-"নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-ই ছিলেন ইতিহাসের একমাত্র ব্যক্তিত্ব যিনি ছিলেন পার্থিব ও র্ধমীয় উভয় ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশী সফল। " ঈর্ষাকাতর ইহুদী ও একশ্রেণীর নীতি-বিবর্জিত খৃষ্টান দল সেদিন মাইকেল এইচ. হার্টের দীর্ঘদিনের শ্রম ও গবেষণার ফসল গন্থটিকে এই একটি কারণে মেনে নেয়নি।

বরং তারা এর বিরুদ্ধে একটি জবাবী বই লেখার জন্য পাগল হয়ে উঠে এবং ১০ বছরের মধে তার গন্থের জবাব দেয়ার শপথ করে। অবশেষে ১৯৮৬ সালে তারা লন্ডনে খুঁজে পায় ৩৯ বয়সী ভারতীয় বংশোদ্ভুত অর্থের নেশায় মাতাল মুসলিম পিতা-মাতার কলংকময় সন্তান মুনাফিক সালমান রুশদী নামক এক অখ্যাত লেখককে। প্রসঙ্গতঃ সালমান রুশদী জন্ম ১৯৪৭ সালের জুন মাসে ভারতের বোম্বে শহরে। তার পিতার নাম আনিস রুশদী্। রুশদী প্রাথমিক শিক্ষা শুরু হয় বোম্বের মিশনারী স্কুলে।

১৯৬৫ থেকে ১৯৬৮ পযর্ন্ত সে কেম্ব্রিজে পড়াশুনা করে। কেম্ব্রিজে গ্রাজুয়েট হওয়ার পর সে পাকিস্তান সফর করে। কিন্তু জীবিকার দুশ্চিন্তায় অস্থির হয়ে পুনরায় লন্ডন চলে যায়। হাতে কলম নিয়ে একজন লেখক হবার চেষ্টায় লিপ্ত হয়। আর তখনি সে পড়ে যায় কুচক্রী ইহুদী ও খৃষ্টানদের দৃষ্টিতে।

সুযোগ বুঝে তারা তার নিকট অকপটে সবকিছু প্রকাশ করে অগ্রীম সাড়ে ৮ লক্ষ পাউন্ড রয়্যালিটি প্রদান করে। তখন সালমান রুশদী আর নিজেকে লোভ-লালসার শিকার কর। পতিত হয়ে ইহুদী ও খৃষ্টান যৌথ ষড়যন্ত্রের তিমিরময় গহীন কূপে। তখন কুখ্যাত সালমান রুশদী আপন সত্তার পরিচয় ভুলে গিয়ে কলম ধরেন স্বয়ং রাসূলের (সা.) এবং আল-কোরআন ও জিবরাঈল (আ.) এর বিরুদ্ধে (নাউযুবিল্লাহ)। তাদের নিন্দা ও কুত্সা রটনা করে সে লিখে কলংকিত এক শয়তানী ডায়েরী "স্যাটানিক ভার্সেস"।

The Hundred গ্রন্থ প্রকাশিত হবার ঠিক ১০ বছর পরে ১৯৮৮ সালের ২৬ ডিসেম্বর যুক্তরাজ্য থেকে প্রকাশিত হয় এর জবাবী উক্ত বই খৃষ্টান ও ইহুদীদের পৃষ্ঠপোষকতায় লিখিত ৫৪৭ পৃষ্টার শয়তানি ডায়েরী 'স্যাটানিক ভার্সেস'। ১৯৮৯ সালে আমেরিকা থেকেও বইট প্রকাশিত হয়। বইটিতে ইসলাম, নবী, ফেরেশতা, আল-কোরআন, ওহীকে অবমাননা করা হয় প্রচন্ডভাবে। বইটি প্রকাশের সাথে সাথে বৃটেনের সর্বোচ্চ সাহিত্য পুরস্কার 'বুকার প্রাইজে' ভুষিত করা হয় মুরতাদ সালমান রুশদীকে। অপরদিকে, এর কারণে বিশ্বের ১৩০ কোটি মুসলমান হৃদয়যন্ত্রণায় দগ্ধ হয়।

ফুঁসে উঠে মুসলিম সমাজ মুরতাদ সালমান রুশদীর বিরুদ্ধে। সালমান রুশদী নামক এই বিষধর সাপকে জিইয়ে রাখার মধ্যেও যে রয়েছে তাদের এক বিরাট ষড়যন্ত্র, তা এখন আর বুঝতে বাকী নেই বিশ্ব মুসলিমের। সর্বশেষে বৃটেনের সরকার কুখ্যাত সালমান রুশদীকে "নাইটহুড" উপাধী প্রদান করে। এভাবেই ইহুদী ও খৃষ্টানরা মুসলিম সম্প্রদায়কে আঘাত করছে একের পর এক। আর সেই কুখ্যাত মানুষ শয়তানদের পুরস্কৃত করে অন্যজনকে উত্সাহ যোগাচ্ছে মুসলমানদের বিরুদ্ধে কলম ধরতে।

পাদটীকাঃ বাংলাদেশেও সালমান রুশদীর মতো ভয়ংকর অনেক লেখক আছে, যারা ইহুদী ও খৃষ্টানদের দয়ায় মদের নেশায় ভুত হয়। ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে লেখা নাকি তাদের বাক-স্বাধীনতা। আর বাংলা ব্লগগুলোতে তো কোন সীমাই নেই। যত্রতত্রই অনেক লেখক তাদের লেখায় ইসলামের সমালোচনা করার ক্ষেত্রে সালমান রুশদীকেও ছাড়িয়ে যায়। তার ইসলামী কোন লেখা পেলেই এ লেখার জবাবে মন্তব্য করে হয়ে উঠেন একজন সালমান রুশদী কিংবা সালমান রুশদীর চেয়েও ভয়ংকর মুরতাদ।

যারা নিতান্তই অজ্ঞতার বশে লিখেন দয়া করে তওবা করুন। একবার নিজেকে প্রশ্ন করুন-আপনার সত্তা কী? কোথায় থেকে এলেন আর কোথায় যাবেন? মহান ক্ষয়াময় আল্লাহ পাক আমাদের সবাইকে সহীহ বৃঝ দান করুক। ইসলামের পথে হাটতে হাটতে জান্নাতে পৌঁছিয়ে দিক। ......................আমীন

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.