আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বড়ো গল্পঃ আমি মুনীর - তৃতীয় পর্ব

আমি নীল, আমি কালো, আমি মন্দ হয়েও ভালো
[[ গ্রাস ]] মধ্যরাত। মুনীর দাঁড়িয়ে আছে শহরের এই অঞ্চলের সবচেয়ে উঁচু দালানটার ছাদের ওপরে। স্মরণকালের সবচাইতে বড়ো চাঁদ উঠেছে আকাশে। পদ্মার ইলিশের মতো রুপালী আলোর চাদর ঢেকেছে শহর টাকে। ওটা চাঁদ নয়, রঙ বদলানো একটা সূর্য।

আজ অন্ধকারের বাসিন্দাদের অন্তর শুদ্ধ করে দিতে একটা চাঁদ উঠেছে, শতাব্দীর বিশুদ্ধ তম চাঁদ। চারপাশ জোছনায় ভাসছে, খুব সহজেই এই জোছনায় শরীর ভাসিয়ে ভেতরের সব কলংক মুছে দেয়া যায়। যায় কি? সমস্ত শহরটা মুনীরের পায়ের তলায়। একটা একটা করে বাতি ফুটছে চারপাশের কংক্রিটের জঙ্গলে, চাঁদের দুচোখ অন্ধ করা ঝলকানীর কাছে মৃতপ্রায় প্রতিটা বিন্দু। মুনীরের সমস্ত একাগ্রতা তার ডান হাতের মধ্যমায় পড়া আংটির দিকে, বাঁ হাতে দু আঙুলের ত্রস্ত চালনায় স্বর্ণরঙা একটুকরো রেশমের মতো পিছলে যাচ্ছে আংটিটা, চাঁদের গলে পড়া রূপ ঠিকরে দ্যুতি ছড়াচ্ছে ওটার গা থেকে।

মহাজগতকে আলোর তোড়ে ভাসিয়ে দেয়া জ্যোৎস্না স্পর্শ করেনি মুনীরকে। গত কয়েক ঘন্টায়, নীল সমুদ্রে নতুন রঙ করা শাদা কাঠের নৌকা যেমন জল কেটে কেটে মসৃণ দাগ ফেলে এগিয়ে যায়, তেমনি করে দিগন্ত থেকে মাথার ওপরে উঠে এসেছে রূপালী গোলক, অথচ ওটার নগ্ন ঐশ্বর্য বেশ্যার মতো আহ্বান করেও বিফল হয়েছে তার একটা পলক দৃষ্টি কাড়তে। মুনীর অন্ধকারের। বহু আগেই জ্যোৎস্নাময় পৃথিবী ত্যাগ করেছে তার স্বত্তা। তার সন্দেহ, বুকের বাঁ পাশে যেখানে প্রাণপণ মুচড়ে চলে একটা জান্তব হৃদপিণ্ড, সেটা অমাবস্যার নিকষ অন্ধকার শুষে নিয়েছে।

অন্ধকার গ্রাস করেছে তাকে, না সে গ্রাস করেছে জগতের সমস্ত কালোকে, না কি আঁধার আর আত্মা দুটো বোঝাপড়ায় সঙ্গম করেছে, মুনীর জানেনা। আংটির কোনায় প্রতিফলিত হয়ে প্রতিবার জ্যোৎস্নার রঙ সোনারুর কাঠি থেকে ফোঁটায় ফোঁটায় টপকে পড়া তরল স্বর্ণর মতো মুনীরের দৃষ্টি ধাঁধাচ্ছে। একবার পলক ফেললো সে, আর ঠিক তখনই সোনালী আলোর চমকটা তার মনে হলো, বাতাসের ফুঁৎকারে নিভে যাবার আগে দপ করে জ্বলে ওঠা কুপির আলোর মতো। জাতিস্মরের দেখা পুর্বজনমের স্মৃতির ঝলকানীর মতো, মুনীর দেখতে পেলো ঠিক আধ যুগ আগের এক অমাবস্যার রাত, আরেক বারঃ প্রায় ফুরিয়ে আসা শীতের যেকোনো এক রাত। দুনিয়ার সমস্ত কালির দোয়াত ভেঙে গড়িয়ে দিলেও মাঝ রাত্রির এই আকাশের কৃষ্ণতাকে তা ছাড়াতে পারবে না, সম্ভব নয়।

অন্তর পর্যন্ত অন্ধকার ছড়িয়ে দেয়া আকাশে গুঁড়ো করা স্ফটিকের কুঁচির মতো ছড়িয়ে আছে তারা, কোনটা মাছের চোখের মতো স্থির, কোনটা পাখনার মতো ইতস্তত চঞ্চল। মুনীরের পিঠের নিচে শক্ত পাটাতন, দু হাত ছড়িয়ে দিয়ে সটান চিত হয়ে শুন্য দৃষ্টিতে আকাশ শুষে নিচ্ছে সে ঠিকই, কিন্তু সে দৃষ্টি বড়ো বেশি অতল, অমাবস্যার সবটুকু অন্ধকার ঢেলেও হয়তো পুর্ন হবে না আজ মুনীরের শুন্যতা। দুরের মাছ ধরা নৌকা গুলোয় ধুকছে ক্ষয়াটে কেরোসিন বাতি। বুকের উপর ক্লান্ত প্রেমিকার মতন এলোমেলো পড়ে আছে একটা গাঢ় বাদামী চাদর। খোলা বাহুতে শীতল জলের স্পর্শে কেঁপে উঠলো শরীর, মুনীর তবু নড়লো না, অনায়াসেই জায়গা বদল করে শুকনো স্বস্তি দিতে পারতো নিজেকে, সে বোধ নেই মুনীরের আজ।

নৌকার গায়ে ধেয়ে এসে আঘাত করলো একটা দলছুট ঢেউ, কয়েক ফোঁটা জল ছলকে এসে ভিজিয়ে দেবার জন্য বেছে নিলো ওর গাল। বাহু ডুবে থাকা বরফ গলা জলের তুলনায় নদীর জল আশ্চর্য রকমের উষ্ণ ! ছড়িয়ে রাখা এক হাতের আঙুল গুলো বরফ গলা জলের বেয়ে আসা ধারাটা স্পর্শ করে পড়ে আছে। একটা স্বচ্ছ সাপের মতো এঁকেবেঁকে এগিয়ে আসা ধারাটা ধরে মুনীরের চোখ চলে গেলো শীতল জলের উৎসর দিকে। কাঁচা কাঠের তৈরি চৌকোণা সাড়ে ছ’ফুট লম্বা একটা বাক্সের কোণা চুঁইয়ে ঠান্ডা জলের ফোঁটা সরু ধারায় নেমে আসছে, বাক্সের নিচটা ভিজে সপসপে। চা পাতা আর কর্পুরের মিশ্র ঘ্রাণের সাথে কাঁচা কাঠের গন্ধের অদ্ভুত মিশ্রণ, না এই গন্ধটা সে আগে পেয়েছে, না আর ভবিশ্যতে কখনো পেতে চায়।

ঢেউ যতবার নৌকাটাকে হেলিয়ে দিচ্ছে, বরফ জলের ধারা এগিয়ে এসে মুনীরের বাহুতে ঝাপটা দিচ্ছে, যদিও তার বাহুর ত্বক বরফ সইতে সইতে এখন অসাড়। কাঠের বাক্সর তলানী থেকে চোখ আরেকটু উপরে উঠলো মুনীরের। একটা একাকী কুপি বাতি সংকোচের সাথে আসন নিয়েছে বাক্সের উপরে। যক্ষ্মা রোগীর দমক দমক কাশির মতো শিখাটা কাঁপছে বাতাসে। কুপির ওপাশে একটা মুখ, আবছায়া বোঝা যায় না ভালো, পাথরে কুঁদে তৈরি করা নিশ্চল একটা মুখ।

অবিকল সেই মুখটিই, যে বাক্সে শুয়ে আছে এই মুহূর্তে। ঘ্যাঁচ করে নৌকা পলিমাটির বুক ভেদ করলো। নড়ে উঠলো কাঠের বাক্সের পেছনে বসে থাকা মুখটা, উঠে দাঁড়ালো একটা বলিষ্ঠ শরীর । বাক্স ডিঙিয়ে মুনীরের পাশে এসে বসলো আবার, ঝুঁকে ওর কাঁধ স্পর্শ করে ঝাঁকুনি দিলো – “ বাবু জেগে আছিস? আমরা এসে গেছি। আয় নামতে হবে ।

বাবাকে ধর এসে। ” মুনীর যন্ত্রচালিতর মতো উঠে দাঁড়ালো, কিন্তু বাক্সের দিকে দৃষ্টিনিক্ষেপ না করেই সটান পা ফেলে নৌকা থেকে নেমে নিচে দাঁড়ালো। চোখে শুন্যতা। মুনীরের পাশের মানুষটা মাঝিকে ডেকে কিছু বললো। মাঝি নেমে এসে বাক্সের একদিকের হাতল দুটো ধরলো।

- মিয়া ভাই, বড়ো মিয়ার বাক্সের বরফ সব গইলা গেছে। আপনাদের নিয়া যাইতে কষ্ট হবে, ভিইজা যাইবেন। আমি পানি ঝাইড়া দিতেছি রাখেন। অনাসক্তির সাথে ঘাড় ফেরালো মুনীর। সঙ্গে সঙ্গে দুই চোখ বিস্ফোরিত হলো তার।

মাঝি হাতল ধরে কাঠের বাক্সের দুই কোণা নৌকা থেকে টেনে হিঁচড়ে নামাচ্ছে, এককোণা কাত করে মাটিতে ঠেকালো, ভোঁতা খটখট একটা শব্দ হলো ভেতরে, বাক্সের অন্য মাথা নৌকার উপরে। হড়হড় করে চা পাতার গুঁড়ো মেশানো পানি বের হতে লাগলো নিচের কোণা থেকে। “অ্যাই চুতমারানির বাচ্চা... তুই আব্বার মাথার দিক মাটিতে নামাইছিস...। আব্বার নাক মুখ ডুবে গেলো পানি তে...। ” আহত বাঘের মতো গর্জন করে মুনীর লাফিয়ে পড়লো মাঝির উপরে।

গায়ের ধাক্কায় কফিনটা নৌকার কিনারের উপর দিয়ে পিছলে গেলো, গড়িয়ে পড়ে এক পাশ গেঁথে গেলো কাদায়, ডালার এক অংশ সরে গিয়ে শাদা কাফন আর চা পাতা মাখা প্লাস্টিক ছিটকে বেরোলো। মাঝির পুরনো শার্ট ফড়ফড় করে ছিঁড়ে গেলো অনেকখানি, কাদার মধ্যে পা ছিটকাচ্ছে মাঝি, মুনীর বুকের উপর চেপে বসেছে, চোখে জান্তব আক্রোশ। অপুষ্ট হাড় জিরজিরে মাঝি গোঙাতে গোঙাতে শুধু বলতে পারলো – মিয়া ভাই... থামান... আপনের ভাতি...জা রে... নোমান সর্বশক্তি দিয়ে টেনে মুনীরকে মাঝির বুকের উপর থেকে সরিয়ে আনলেন। ওর একটা পাশ কাদায় মাখামাখি, চুলে থিক থিক করছে কাদা। থুক করে থুতু ফেললো ও, হাতের উলটো পিঠ দিয়ে মুখ মুছলো।

হাত ঝাড়া দিয়ে নোমানের বাহুমুক্ত হতে চেষ্টা করলো, পারলো না। - ছাড়ো, বাবাকে ঠিক করবো। শুওরের বাচ্চাটার জন্য বাবা ব্যথা পেয়েছে। - লাশের বাক্স আনলে এরকম একটু আধটু হয় বাবু, এই জন্য তুই এরকম করে মারবি?? মুনীর আহত ক্রোধ নিয়ে চাচার চোখে তাকালো। অবিকল বাবার মতো দেখতে হয়েও চাচা বুঝতে পারছে না ?? বরফ গলা পানি গুলো বাবার নাক মুখ দিয়ে ঢুকে গেছে, বাবার কষ্ট হয়েছে।

আর চাচা এই কুত্তাটার পক্ষই নিলো ! এক ঝটকায় হাত ছাড়িয়ে নিলো মুনীর, সোজা সামনের দিকে হাঁটা শুরু করলো হনহন করে। দুপাশের গাছের সারির মধ্যে দিয়ে বেলে মাটির পথ সোজা চলে গেছে, শেষ প্রান্তে একটা খোলা যায়গায় অনেক গুলো টর্চের আলো নাচছে, একটা বড়ো হ্যাজাক বাতি টাঙিয়ে দেয়া হয়েছে লাঠির ডগায়, আর দুটো কোদালের ক্রমাগত থপ থপ থপ থপ শব্দে ঝিঁঝিঁর শব্দের নিরবিচ্ছিন্নতা ভেঙে যাচ্ছে। পেছনে চাচা আর আরও তিন জনের হুফ হুফ হুফ করে শব্দ পাওয়া যাচ্ছে, ভারী বাক্সটা বয়ে নিয়ে আসার কষ্ট। বর্ষার বিলের কিনারায় নিরাসক্ত তক্ষকের মতো কন্ঠে তাঁদের উচ্চারণ শোনা যাচ্ছে – আশহাদু আন লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, ওয়াহদাহু লা শারিকালাহু, ওয়া আশহাদু আন্না মোহাম্মাদান আব্দুহু ওয়া রাসুলুহ... কোদালের শব্দটা নোংরা আর নগ্ন হয়ে কানে ধাক্কা দিচ্ছিলো, আর শব্দের উৎসর দিকে এগোতে পারলো না মুনীর, দাঁড়িয়ে পড়লো। বিহ্বলের মতো পকেট হাতড়ে মোবাইল ফোনটা বের করলো, ডায়াল লিস্টে জেবার নাম্বার খুজে পেতে বেগ পেতে হলো, আজ সারাদিনে অনেক ফোন করতে হয়েছে তাকে।

রিং বাজছে। একবার... দু বার... ছ’বার... ষোল ঘন্টা আগে প্রথম রিঙেই ওপাশ থেকে রিসিভ করেছিলো জেবা। সাধারণত ভোর ছটার সময় সে পড়তে বসে। আর মুনীর ওকে ফোন কাছ ছাড়া করতে কখনো দেখেনি। - আব্বা নেই।

তুমি কি একটু আসবে? - আমি ? এখন ? - জেবা, তুমি আসবে না? - মুনীর, আমি তোমার ওখানে কিভাবে আসবো ? - আমি জানি না জেবা, তুমি এসো, প্লিজ এসো। জেবা আসে নি। গোসলের সময় মুনীর পর্দা ধরে পাশে দাঁড়িয়ে ছিলো, জানাযা শেষ হওয়া মাত্র চোখ খুঁজে বেড়াচ্ছিলো পাঁচ ফুট তিন ইঞ্চি লম্বা একটা ঘোমটা দেয়া অবয়ব, কোথাও ছিলো না সে। বেলা তিনটেয় লাশের গাড়ীর জানালায় যখন লাল নিশান বাঁধা হচ্ছে, মুনীর গাড়ির পাশ ঘুরে গিয়ে বড়ো রাস্তায় দাঁড়িয়েছিলো, জেবা আসুক, এতক্ষণ তার চোখ খটখটে রেখেছে সে, আর পারছে না, চোখের শুষ্কতা ওর রক্তে টান দিয়েছে, ওর রক্ত শুকিয়ে আসছে যেন। জেবা আসুক, ওর কাছে মুনীর গলে যাবে।

বাবা নেই, বাবা নেই, ওর কি নেই হয়ে গেছে সেটা জেবা ছাড়া আর কেউ বুঝবে না। জেবা আসে নি। গাড়ির মিররে যতক্ষণ পর্যন্ত বাড়ির সামনের রাস্তাটা দেখা যায়, মুনীর তাকিয়েছিলো, কোন রিকশা থামে নি এসে, কোন ঘোমটা দেয়া শ্যামলা চশমা পড়া মুখ উঁকি দেয় নি হুডের ভেতর থেকে। লাশবাহী মানুষ গুলোর কন্ঠ এগিয়ে এসেছে অনেকটা, প্রায় ধরে ফেলেছে ওকে। – আশহাদু আন লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, ওয়াহদাহু লা শারিকালাহু, ওয়া আশহাদু আন্না মোহাম্মাদান আব্দুহু ওয়া রাসুলুহ... মুনীর জেবার নাম্বার আবার ডায়াল করলো, রিং হচ্ছে – একবার- দুবার- ছবার।

শূন্যদৃষ্টি দিয়ে সে মোবাইলের স্ক্রিন ভেদ করে তাকিয়ে রইলো জ্বলজ্বলে অক্ষরে লেখা JEBA নামটার দিকে। দূরে গোর খোড়ার শব্দ হচ্ছে – থপ থপ থপ থপ... মোবাইলটা সর্বশক্তি দিয়ে দূরের কালিগোলা অন্ধকারে ছুঁড়ে ফেললো মুনীর। গাছপালার মধ্য দিয়ে সড়সড় শব্দ করে জিনিশটা উড়ে চলে গেলো, কোথায় পড়েছে দেখার বিন্দুমাত্র আগ্রহ বোধ করলো না সে। শবযাত্রাটা ততক্ষণে পাশে চলে এসেছে । কফিনের সামনের দুই প্রান্ত ধরেছেন নোমান আর মাঝি, ছেঁড়া শার্ট এখনো ঝুলছে মাঝির, গায়ে আধ শুকনো কাদায় মাখামাখি, তবুও মুনীরের বাবার লাশ মাঝি কাঁধে তুলে নিতে দ্বিধা করে নি।

মুনীর মাঝির কাঁধ থেকে পুত্রের ভার নিজের কাঁধে উঠিয়ে নিলো। জেবা ওকে এই অবস্থায় দেখলে অবাক হয়ে যেতো, মুনীর একটা ফড়িং মরতে দেখলে মন খারাপ করতো, সে লাশ বয়ে নিয়ে যাচ্ছে কাঁধে। না, জেবার কথা আর ভাববে না মুনীর । আজকের দিনে জেবা আসে নি। ফোন ধরে নি জেবা।

গত দুবছর ধরে প্রতিদিন চেষ্টা করে গেছে সে ওকে ফেরানোর, জেবা ফেরে নি। আজকের দিনে, সে আসে নি, মুনীরের উপর একটু করুণাও হয় নি ওর। চার জন শব বাহকের সাথে আরেকটা ক্লান্ত কিন্তু স্পষ্ট কন্ঠ যুক্ত হলো। সতেরো বছরের মুনীরের কন্ঠ – আশহাদু আন লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, ওয়াহদাহু লা শারিকালাহু, ওয়া আশহাদু আন্না মোহাম্মাদান আব্দুহু ওয়া রাসুলুহ... – আশহাদু আন লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, ওয়াহদাহু লা শারিকালাহু, ওয়া আশহাদু আন্না মোহাম্মাদান আব্দুহু ওয়া রাসুলুহ... – আশহাদু আন লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, ওয়াহদাহু লা শারিকালাহু, ওয়া আশহাদু আন্না মোহাম্মাদান আব্দুহু ওয়া রাসুলুহ...................। ।

[[চলবে]] [[আমি ইচ্ছে করে লেখি না, মাঝে মাঝে কেউ একজন আমার মাঝে চলে এসে আমাকে দিয়ে লিখিয়ে নেয়। নিজেকে ভাঙার চেষ্টা করেছি এই গল্পে, অথবা নিজেকে জোড়া দেবার। এই গল্পটা ঝর্ণার মতো বাইরে এসেছে, পুকুরের মত পুরোটার নকশা করে লিখতে বসিনি। গল্পের পরবর্তিতে কি হতে পারে, আমি নিজেও জানিনা। ইচ্ছে হলে চোখ রাখবেন পরের পর্বের জন্য।

]] আমি মুনীর - পর্ব দুই আমি মুনীর - পর্ব এক
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।