ুসমুদ্রেই যার শিয়র শিশিরে তার কিসের ভয়
সিনিয়ার জুডিশিয়াল কোর্ট ১- আমাদের চেম্বারের একটা প্রডাকশন এসেছে, শুনানির সময় বিকাল ৩। ৩০... কিছুক্ষনের মধ্যেই রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানাকে নিয়ে আসা হল। এজলাসে আইনজীবীরা ভর্তি... শুধু দুই জন বিজ্ঞ আইনজীবী ব্যতিক্রম। রানার পক্ষে ব্যারিস্টার আবু মুসা মুহাম্মাদ আরিফ আর তার জুনিয়র। তাদের দেখে খেপে গেল সমবেত আর সব বিজ্ঞ আইনজীবীরা।
আদালতে আইনজীবীদের বিস্ফোরণ আগেও দেখেছি, কিন্তু এমন বিস্ফোরণ আদালতে হতে পারে তা আমার ধারনারও বাইরে। দলমত নির্বিশেষে সবার এক কথা, ঢাকা বারে প্র্যক্টিস করতে হলে ঢাকা বারের সিদ্ধান্ত মানতে হবে জত বড় হাই কোর্ট এর ব্যরিস্টার ই হোক না কেন। আর ঢাকা বার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রানার পক্ষে কোন আইনজীবী ওকালতনামায় সই করতে পারবে না, যা কিনা ঢাকা বারের ইতিহাসে প্রথম। সব মানুষেরই আইনের সহায়তা পাওয়ার অধিকার আছে, কিন্তু অর মত অমানুষের আইনি সহায়তা পাওয়ার কোন অধিকার নেই। সত্যি করে বলছি ম্যজিস্ট্রেট এর সামনে যেইভাবে রানার পক্ষে ব্যারিস্টার আবু মুসা মুহাম্মাদ আরিফসহ অর জুনিয়র কে আক্রমন করা হয়েছে আর খারাপ খারাপ গালি দেয়া হয়েছে তাতে আমিও পূর্ণ সাপোর্ট করেছি, সবচ্যে মজার বিষয় ম্যজিস্ট্রেট সাহেবও ওই আক্রমন কে বন্ধ করতে পারেন নি।
আর ওই ব্যরিস্টার শেস পর্যন্ত মুখ ই খুলতে পারেন নি। চুপ করে বসে থেকেছেন। শেষে আদালত অর (৬+২+৫) ১৩ দিন এর রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এটি প্রমাণ করল, দেশে এখনো মানবতা বলে একটা জিনিস কিছুটা হলেও বেঁচে আছে। জয় ঢাকা আইনজীবী সমিতি (ঢাকা বার) ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।