বাচ্চাদের সাইকোলজি নিয়া অনেক বড় বড় পন্ডিত লেখা-পড়া করেন। আমি অত বড় পন্ডিত নই। কিন্তু গবেষনার জন্যে একটি বাচ্চা আমার থাকায় কিছু কিছু বিষয় আমি শেয়ার করতে চাই।
(৬)
বাবা-মা একসাথে থাকুক এটা মনে হয় সকল বাচ্চাই চায়। নাহলে বাবা-মাকে একসাথে দেখলে আমার বাচ্চা এতো খুশী হয় কেন! স্বাভাবিক ভাবে একজনের উপস্থিতিতে আমার বাচ্চা যতটুকু আনন্দ নিয়ে ঘোরাফেরা করে আমাদের দু'জনের একসাথে উপস্থিতিতে সে অনেক বেশী আনন্দিত থাকে।
একদিন অফিসে যাওয়ার সময় বাবুর মার কাছে বিদায় নিলাম। বাবুর বয়স তখন ১ বছর ১০ মাস। সে খাটের কোনায় বসে আনমনে খেলা করছে। কি মনে করে ঘরনীর চুলে হালকা ছোঁয়ায় একটা কিস দিলাম । সাথে সাথে বাচ্চার হাসির শব্দে আমরাই চমকে উঠলাম।
হাসতে হাসতেই খাটে কয়েকটা গড়াগড়ি দিলো সে। তারপর দৌড়ে এসে আমাদের উপরে আক্ষরিক অর্থেই ঝাপিয়ে পড়ে গলা ধরে ঝুলে পড়লো! বাঁচ্চায় কি বুঝলো আর কেনই বা এতো খুশী হলো সেটা আমার কাছে আজও একটা রহস্য! তবে মনে হয় বাবা-মার ভিতরে বেশী করে ঘনিষ্ঠতা হোক এটাই তারা চায়।
একথা অনস্বীকার্য যে বাচ্চাদের কারনেই অনেক অনেক সংসার ভাংতে ভাংতেও টিকে যায়।
(৭)
আরেকদিনের কথা, বাচ্চার বয়স তখন প্রায় দুই বছর। রুমে আমরা তিনজন- বাচ্চা, বাচ্চার মা আর আমি।
কথায় কথায় বাচ্চার মার কাঁধে হাত দিলাম। সাথে সাথে দেখলাম বাচ্চায় আমার হাতটাকে ফলো করতেছে। খুবই ভদ্রলোকের মতো আস্তে করে হাতটাকে নামিয়ে নিলাম আমি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।