আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ক্লাব পরিচিতি পর্ব ৫ (আর্সেনাল ফুটবল ক্লাব)



আর্সেনাল ফুটবল ক্লাব (আর্সেনাল, গানার্স নামে পরিচিত) একটি ইংরেজ পেশাদার ফুটবল ক্লাব। ইংরেজ ফুটবলের ইতিহাসে অন্যতম সফল ক্লাব। আর্সেনাল মোট তের বার প্রথম বিভাগ এবং ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগ শিরোপা , দশ বার এফএ কাপ এবং ২০০৫-০৬ মৌসুমে লন্ডনের প্রথম ক্লাব হিসাবে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্‌স লীগের ফাইনাল খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। এছাড়াও ইউরোপীয় ফুটবলের সেরা ক্লাবদের সংঘ জি-১৪-এর গুরুত্বপুর্ণ সদস্য। আর্সেনালের প্রতিষ্ঠা ১৮৮৬ সালে দক্ষিণ-পূর্ব লন্ডনের ওউলিচে।

১৯১৩ সালে হাইবারিতে স্থানান্তরিত হয়। সেখানে স্থাপিত হয় আর্সেনাল স্টেডিয়াম। এরপর ২০০৬ সালের মে মাসে লন্ডনের হলোওয়েতে, এমিরেট্‌স স্টেডিয়াম তাদের প্রধান কার্যালয় হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে। প্রথাগতভাবে আর্সেনালের রঙ লাল, সাদা। তবে ইতিহাসে বেশ কয়েকবার তারা তা পরিবর্তন করেছে।

একইসাথে পরিবর্তিত হয়েছে ক্লাবটির অবস্থান। বর্তমানে তারা আছে লন্ডনের হলোওয়ের এমিরেট্‌স স্টেডিয়ামে। আর্সেনালের রয়েছে অসংখ্য ভক্ত অনুরাগী। তাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দী টটেনহ্যাম হটস্পার। ইংরেজ ফুটবলে অন্যতম ধনী ক্লাব আর্সেনাল(২০০৭ সালে ৬০০মিলিয়ন পাউন্ড)।

ক্লাবটির মহিলা দল আর্সেনাল এলএফসি ইংরেজ মহিলা ফুটবল ইতিহাসে সবচেয়ে সফল ক্লাব। ১৯৯৬ সালে আর্সেনালের দায়িত্ব নেন ফরাসি আর্সেন উইঙ্গার। উইঙ্গার এসেই দলের কৌশল এবং প্রশিক্ষণে ব্যাপক পরিবর্তন আনেন। সাথে সাথে তিনি দলে আনেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের খেলোয়াড় যারা দলের আন্যান্য ইংরেজ খেলোয়াড়দের সাথে পাল্লা দিতে সমর্থ হয়। আর্সেনাল ১৯৯৭-৯৮ ও ২০০১-০২ সালে আবারো যুগল শিরোপা ঘরে তুলে আনে।

১৯৯৯-০০ সালে তারা উয়েফা কাপের ফাইনালে পরাজিত হয়। এবং সেই প্রতিক্ষীত শিরোপা তারা অর্জন করে ২০০২-০৩ সালে। ২০০৩-০৪ সালে তারা অপরাজিত থেকে লীগ শিরোপা অর্জন করে। এই কারণে ক্লাবটির নতুন ডাক নাম হয় দ্য ইনভিন্সিব্‌ল। টানা ৪৯ ম্যাচে অপরাজিত থেকে ক্লাবটি জাতীয় রেকর্ড স্থাপন করে।

উইঙ্গারের দশ বছরে আর্সেনাল আটটি লীগ শেষ করে প্রথম অথবা দ্বিতীয় হয়ে। ১৯৯৩ সালে প্রিমিয়ার লীগ শুরু হবার পর শিরোপা জয়ী ৪টি দলের মধ্যে আর্সেনাল একটি। বাকি দল গুলো হল (চেলসি, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, ব্ল্যাকবার্ন রোভার্স)। ২০০৫-০৬ সালে আর্সেনাল লন্ডনের প্রথম ক্লাব হিসাবে চ্যাম্পিয়ন্‌স লীগের ফাইনালের উঠে। যদিও বার্সেলোনার কাছে ৩-২ এ পরাজিত হয়।

আর্সেনালের পোশাক ইতিহাসের বেশীর ভাগ সময় ধরেই সাদা হাতা যুক্ত লাল শার্ট এবং সাদা হাফপ্যান্ট ছিল। যদিও শুরুটা ছিলো অন্যরকম। আর্সেনালের সাথে লাল রং যুক্ত হয়েছে নটিংহ্যাম ফরেস্ট ফুটবল ক্লাবের অনুদানের কারণে। আর্সেনালের প্রতিষ্ঠার কিছুদিন পর অর্থাৎ ১৮৮৬ সালে নটিংহ্যাম ফরেস্ট ফুটবল ক্লাবের দুই খেলোয়াড় (ফ্রেড ব্রেডসলি এবং মরিস ব্যাতেস) কর্মক্ষেত্র পরিবর্তনের কারণে ওউলিচে আসেন। ফুটবলকে ভালোবাসার কারণে এখানে এসে তারা যোগ দেন সদ্য প্রতিষ্ঠিত আর্সেনাল ফুটবল ক্লাবে।

সেই সময় আর্সেনালের নিজস্ব কোন পোশাক না থাকায় তারা আগের জায়গায় এক সেট পোশাকের জন্য চিঠি লিখে পাঠান। আর্সেনালের জন্য তখন চলে আসে এক সেট পোশাক এবং একটি বল। পোশাকের রং ছিল ঐ ক্লাবের মতো লাল রঙের। যাই হোক না কেন এই লাল সাদা পোশাক আর্সেনালের সমর্থক এখন। মাঝখানে দুই বার তারা সাদা হাতা বাদ দিয়েছিল।

প্রথমবার ১৯৬৬-৬৭ মৌসুমে। যদিও জনপ্রিয়তার অভাবে পরের বছরেই আগের পোশাকে ফিরে আসে তারা। দ্বিতীয়বার ২০০৫-০৬ যখন তারা ১৯১৩ সাল থেকে তাদের জায়গা হাইবারিতে তাদের সর্বশেষ মৌসুমটি খেলে। পুরনো পোশাকের মত পোশাক পরে তারা শেষ করে তাদের হাইবারি ইতিহাস। পরের বছর থেকেই তারা আগের পোশাকে ফিরে আসে।

আর্সেনালের অ্যাওয়ে পোষাকের রং বেশির ভাগ সময় হলুদ। মাঝে মাঝে নীল। আর্সেনাল তাদের পোশাকের জন্য প্রথম স্পন্সরশিপ পায় ১৯৮২ সালে। জেভিসির সাথে তাদের চুক্তি বহাল থাকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত। তারপর ১৯৯৯-০২ সাল পর্যন্ত সেগা ড্রিমক্যাস্ট এবং ২০০২-০৬ পর্যন্ত বর্তমান স্পন্সর এমিরেট্‌স এয়ারলাইন।

এমিরেট্‌স এর সাথে আর্সেনালের চুক্তি ২০১৪ সাল পর্যন্ত। ১৯৯৪ সাল থেকে আর্সেনালের পোশাক প্রস্তুত করে আসছে নাইকি। তার আগে ১৮৮৬-৯৪ পর্যন্ত আডিডাস এবং ১৯৮৬ সালের আগ পর্যন্ত আমব্রো। ক্রেস্টের অসংখ্য পরিবর্তনের কারণে ফুটবল ক্লাবটি তাদের ক্রেস্টের স্বত্ব ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়। যদিও তারা পাশ্ববর্তী একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সাথে দীর্ঘ আইনী লড়াইয়ে পর ক্রেস্টটিকে ট্রেডমার্ক হিসাবে ব্যবহারের অনুমতি পায়।

২০০২ সালে ক্লাবটি সরল ভঙ্গিমায় আরও আধুনিক করে নতুন একটি ক্রেস্ট গ্রহণ করে যার স্বত্ব ধরে রাখতে তারা সমর্থ হয়। আগের মতো এবারেও কামান পূর্বদিকে তাক করা এবং ক্লাবের নাম কামানের উপর লেখা। নতুন ক্রেস্টটি সমর্থকদের কাছে সমালোচিত হয়। তারা দাবি জানায় অতি আধুনিক এই ক্রেস্টটিতে ক্লাবটির ইতিহাস সঠিকভাবে ফুটে উঠেনি। void(1); ১৮৮৮ থেকে আর্সেনালের ক্রেস্ট void(1); ১৯৪৯-২০০২ পর্যন্ত আর্সেনালের ক্রেস্ট void(1); ২০০২ থেকে আর্সেনালের ক্রেস্ট সীমাবদ্ধতার কথা চিন্তা করে আর্সেনাল ১৯৯৯ সালে ৬০,০০০ আসন সংখ্যা বিশিষ্ট অ্যাশবুর্টন (পরবর্তীতে এমিরেট্‌স স্টেডিয়াম) তৈরি করার পরিকল্পনা হাতে নেয়।

আর্থিক কারণে শুরুতে নির্মাণ কাজ ধীর গতিতে এগোলেও ২০০৬ সালে স্টেডিয়ামটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়। স্টেডিয়ামটির নামকরণ করা হয় তাদের স্পন্সর এমিরেট্‌সের নামে যাদের সাথে ক্লাবটি ইংরেজ ক্লাব ফুটবল ইতিহাসের রেকর্ড ১০০ মিলিয়ন পাউন্ডের চুক্তি করে। এই চুক্তির ফলে ২০১২ সাল পর্যন্ত অফিসিয়ালি স্টেডিয়ামটির নাম থাকবে এমিরেট্‌স স্টেডিয়াম এবং ২০১৩-১৪ ফুটবল মৌসুম পর্যন্ত ক্লাবটির শার্টে লেখা থাকবে ফ্লাই এমিরেট্‌স। এমিরেট্‌স স্টেডিয়াম অ্যাশবারটন গ্রুভ, দ্য এমিরেট্‌স, আর্সেনালস্টেডিয়াম। অবস্থান অ্যাশবারটন গ্রুভ, লন্ডন -> উন্মোচন জুলাই ২০০৬ -> মালিক আর্সেনাল ফুটবল ক্লাব চালনাকারী আর্সেনাল ফুটবল ক্লাব উপরিভাগ ঘাস, ১০৫ × ৬৮ মিটার (~১১৪ x ৭৭ গজ) [1] নির্মাণ ব্যয় ৪৩০ মি ইউরো£430 million স্থপতি এইচওকে স্পোর্ট -> পূর্ব নাম অ্যাশবারটন গ্রুভ ভাড়াটে আর্সেনাল ফুটবল ক্লাব ধারণ ক্ষমতা 60,355 ২০০০ সাল থেকে আর্সেনালের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হার্টফোর্ডশায়ারের সেনলিতে।

এর আগে ব্যবহৃত হত ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের ছাত্র ইউনিয়নের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। তারও আগে ১৯৬১ সাল পর্যন্ত হাইবারি। আন্ডারহিল নামের সেই স্টেডিয়ামটি এখনও আর্সেনাল ফুটবল ক্লাবের অতিরিক্ত খেলোয়াড়দের ম্যাচ খেলার জন্য ব্যবহার করা হয়। বর্তমানে স্টেডিয়ামটি বার্নেট ফুটবল ক্লাবের মালিকানাধীন। বর্তমানকালে ফুটবল ক্লাবগুলোর জনপ্রিয়তা আর ভৌগলিক সীমার মধ্যে আটকে নেই।

স্যাটেলাইট চ্যানেলগুলোতে খেলা সরাসরি সম্প্রচারিত হবার সুবাদে পৃথিবী জুড়ে বেড়েছে ভক্তের সংখ্যা। ২০০৫ সালে গ্রানাডা ভেনচারে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় আর্সেনালের সারা বিশ্বে ভক্তের সংখ্যা প্রায় ২৭ মিলিয়ন যা তৃতীয় সর্বোচ্চ। অবশ্য সে সময় গ্রানাডা ভেনচার ক্লাবের ৯.৯% শেয়ারের অংশীদার ছিল। আর্সেনালের দীর্ঘ এবং গভীরতম প্রতিপক্ষ প্রতিবেশী দল টটেনহাম হটস্পার। ক্লাব দুটির মধ্যকার খেলা তাই অভিহিত হয় দক্ষিণ লন্ডন ডার্বি নামে।

এছাড়াও চেলসি এবং ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেডের মধ্যকার খেলাও ডার্বি ম্যাচ। কিন্তু আর্সেনালের ডার্বি ম্যাচের প্রচণ্ড উত্তেজনার সাথে আর কিছুরই তুলনা হয়না। ১৯৮০ সাল থেকে আর্সেনালের আরেক প্রতিপক্ষ হিসেবে উঠে আসে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। দুই দলের লীগ শিরোপা পাবার কঠিন প্রতিযোগীতাই এর কারণ। মালিকানার দিক থেকে অন্যান্য ক্লাব থেকে আর্সেনাল অনেকটা আলাদা।

কোন ব্যক্তি মালিকানায় না থেকে এটি আর্সেনাল হোল্ডিংস পাবলিক লিমিটেড নামে এর কার্যক্রম পরিচালিত করে। এ পর্যন্ত তাদের ৬২,২১৭ টি শেয়ার বাজারে বিতরণ করা হয়েছে। সরাসরি এফটিওএসই অথবা অল্টারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট মার্কেটের মতো পাবলিক শেয়ার বাজারের পরিবর্তে আর্সেনাল তাদের শেয়ার ছাড়ার জন্য ব্যবহার করে প্লাস (PLUS) নামক বিশেষ শেয়ার বাজার। আর্সেনাল এলএফসি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৮৭ সালে। ২০০২ সালে ক্লাবটি সেমি-পেশাদার দলে পরিণত হয়।

ক্লাবের ম্যানেজার ভিক আকার্স যিনি একই সাথে মূল ক্লাবের পোশাক ম্যানেজার। ইংল্যান্ড মহিলা ফুটবল ইতিহাসের সবচেয়ে সফল ক্লাব আর্সেনাল এলএফসি। ক্লাবটি বর্তমানে এফএ ওমেন্‌স প্রিমিয়ার লীগ, উয়েফা ওমেন্‌স কাপ শিরোপাধারী। অফিসিয়ালি মূল ক্লাবের থেকে মহিলা ক্লাব আলাদা হলেও মূল ক্লাবের বর্তমান পরিচালক একই সাথে মহিলা ক্লাবটিও পরিচালনার দ্বায়িত্ব পালন করছেন। আর্সেনাল এলএফসি বছরে একদিন এমিরেট্‌স স্টেডিয়ামে খেলার সুযোগ পায়।

বছরের বাকি সময়ে তারা নিজেদের খেলার জন্য বোরহ্যাম উড ফুটবল ক্লাবের মাঠ ব্যবহার করে থাকে। পরিসংখ্যান এবং রেকর্ড সর্বোচ্চ উপস্থিতি ডেভিড ও'লিয়ারি প্রথম একাদশের হয়ে ১৯৭৫ থেকে ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত মোট ৭২২টি খেলায় অংশ নিয়েছেন যা ক্লাব সর্বোচ্চ। দ্বিতীয় স্থানে আছেন সাবেক অধিনায়ক টনি অ্যডামস। তার উপস্থিতির সংখ্যা ৬৬৯। যেকোন গোলরক্ষকের মধ্যে সর্বোচ্চ উপস্থিতির রেকর্ড ৫৬৩ টি ম্যাচ খেলা ডেভিড সিম্যানের।

গোল সংখ্যা ১৯৯৯ সাল থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত ২২৬টি গোল করে থিয়েরি অঁরি আর্সেনালের সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ডধারী। তিনি ২০০৫-এর অক্টোবরে পূর্ববর্তী রেকর্ডধারী ইয়ান রাইট্‌স (১৮৫টি গোল)-কে অতিক্রম করেন। রাইট্‌সের আগ পর্যন্ত এই রেকর্ডের মালিক ছিলেন ক্লিফ ব্যাস্টিন (১৭৮টি গোল)। ১৯৯৭-এর সেপ্টেম্বরে তিনি ক্লিফ ব্যাস্টিনের ১৯৩৯ থেকে ধরে রাখা রের্কড ভাঙতে সমর্থ হন। এছাড়া শুধুমাত্র প্রিমিয়ার লীগে সর্বোচ্চ গোলের মালিক থিয়েরি অঁরি- ১৭৪টি গোল।

২০০৬ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই রেকর্ডের মালিক ছিলেন ক্লিফ ব্যাস্টিন। দর্শক উপস্থিতি নিজেদের মাঠে আর্সেনালের সর্বোচ্চ দর্শক উপস্থিতির রেকর্ড ২৫ নভেম্বর, ১৯৯৮ সালে ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে। আরসি লেন্সের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস লীগের এ খেলায় মোট ৭৩,৭০৭ জন দর্শক উপস্থিত ছিল। উল্লেখ্য, সেই সময় হাইবারিতে আসন স্বল্পতার কারণে আর্সেনাল চ্যাম্পিয়ন্‌স লীগের খেলাগুলোর জন্য ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামটি ব্যবহার করত। এছাড়া হাইবারিতে সর্বোচ্চ উপস্থিতি সান্ডারল্যান্ডের বিপক্ষে ৯ মার্চ, ১৯৩৫ সালে।

(০-০) গোলের এই খেলায় মোট দর্শক সংখ্যা ছিল ৭৩,২৯৫ জন। এছাড়া বর্তমান এমিরেট্‌স স্টেডিয়ামের রেকর্ড ৬০,১৬১ জন, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে ৩ নভেম্বর, ২০০৭ সালে। অপরাজিত ২০০৩ সালের মে মাস থেকে ২০০৪ সালের অক্টোবর পর্যন্ত মোট ৪৯ বার অপরাজিত থাকার রের্কড; যা প্রিমিয়ার লীগের সর্বোচ্চ। ৪৯ টি খেলার মধ্যে ছিল ২০০৩-০৪ সালের লীগের ৩৮টি খেলা। অপরাজিত থেকে প্রিমিয়ার লীগ শিরোপা জেতার এই রেকর্ডের আরেক অংশীদার প্রেস্টন নর্থ এন্ড এফসি।

যদিও ১৯৮৮-৮৯ সালে তারা মাত্র ২২ টি খেলার মাধ্যমে এই রেকর্ড করে। এছাড়াও ২০০৫-০৬ মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লীগে মোট ১০ ম্যাচ গোল না খেয়ে আর্সেনাল আরেকটি রেকর্ড স্থাপন করে। প্রতিযোগিতায় আর্সেনাল মোট ৯৯৫ মিনিট প্রতিপক্ষকে গোল করা থেকে বিরত রাখতে পেরেছিল। এই রেকর্ডের সমাপ্তি ঘটে বার্সেলোনার সাথে ফাইনালে ৭৬তম মিনিটে ইতোর করা সমতাসূচক গোলের মাধ্যমে। সন্মাননা * প্রথম বিভাগ এবং প্রিমিয়ার লীগ[৩৯] জয়ী (১৩): ১৯৩০-৩১, ১৯৩২-৩৩, ১৯৩৩-৩৪, ১৯৩৪-৩৫, ১৯৩৭-৩৮, ১৯৪৭-৪৮, ১৯৫২-৫৩, ১৯৭০-৭১, ১৯৮৮-৮৯, ১৯৯০-৯১, ১৯৯৭-৯৮, ২০০১-০২, ২০০৩-০৪ রানার্স-আপ (৮): " ১৯২৫-২৬, ১৯৩১-৩২, ১৯৭২-৭৩, ১৯৯৮-৯৯, ১৯৯৯-২০০০, ২০০০-০১, ২০০২-০৩ * দ্বিতীয় বিভাগ[৩৯] রানার্স-আপ (১): ১৯০৩-০৪ * এফএ কাপ জয়ী (১০): ১৯৩৫-৩৬, ১৯৪৯-৫০, ১৯৭০-৭১, ১৯৭৮-৭৯, ১৯৯২-৯৩, ১৯৯৭-৯৮, ২০০১-০২, ২০০২-০৩, ২০০৪-০৫ রানার্স-আপ (৭): ১৯২৬-২৭, ১৯৩১-৩২, ১৯৫১-৫২, ১৯৭১-৭২, ১৯৭৭-৭৮, ১৯৭৯-৮০, ২০০০-০১ * লীগ কাপ জয়ী (২): ১৯৮৬-৮৭, ১৯৯২-৯৩ রানার্স-আপ (৪): ১৯৬৭-৬৮, ১৯৬৮-৬৯, ১৯৮৭-৮৮, ২০০৬-০৭ * এফএ চ্যারিটি/কমিউনিটি শিল্ড[৪০] জয়ী (১২): ১৯৩০-৩১, ১৯৩৩-৩৪, ১৯৩৪-৩৫, ১৯৩৮-৩৯, ১৯৪৮-৪৯, ১৯৫৩-৫৪, ১৯৯১-৯২, ১৯৯৮-৯৯, ১৯৯৯-০০, ২০০২-০৩, ২০০৪-০৫ রানার্স-আপ (৭): ১৯৩৫-৩৬, ১৯৩৬-৩৭, ১৯৭৯-৮০, ১৯৮৯-৯০, ১৯৯৩-৯৪, ২০০৩-০৪, ২০০৫-০৬ * ইউরোপীয়ান কাপ/উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগ রানার্স-আপ (১): ২০০৫-০৬ * উয়েফা কাপ উইনার্স কাপ জয়ী (১): ১৯৯৩-৯৪ রানার্স-আপ (২): ১৯৭৯-৮০, ১৯৯৪-৯৫ * উয়েফা কাপ জয়ী (১): ১৯৬৯-৭০ রানার্স-আপ (১): ১৯৯৯-০০ * ইউরোপীয়ান সুপার কাপ রানার্স-আপ (১): ১৯৯৪ * ইংরেজ লীগে আর্সেনাল সর্বোমোট ১৩বার চ্যাম্পিয়ন হবার গৌরব অর্জন করেছে; যা ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

তাদের পরে আছে লিভারপুল এবং ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। * লন্ডনের প্রথম ক্লাব যারা উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্‌স লীগের ফাইনালে খেলেছে। তাদের দশবার এফএ কাপ বিজয় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। তাদের আগে আছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। * ১৯৯৩-এ এফএ কাপ এবং লীগ কাপ জয়।

এই দ্বৈত সাফল্যের হাত ধরা প্রথম ক্লাব আর্সেনাল। * ইতিহাসের অন্যতম ধারাবাহিক দল আর্সেনাল। চৌদ্দতম স্থানের বাইরে থেকে তারা লীগ শেষ করেছে মাত্র ৭বার। ১৯৯০-১৯৯৯ পর্যন্ত গড়ে তাদের স্থান ছিল ৮.৫। যা ওই সময়ে সর্বোচ্চ।

ইতিহাসে তারাই একমাত্র দল যারা পরপর দুইবার এফএ কাপ শিরোপা অর্জন করেছে। আর্সেনাল পূর্ণ নাম আর্সেনাল ফুটবল ক্লাব ডাকনাম দ্য গানার্স প্রতিষ্ঠা ১৮৮৬ "দিয়াল স্কয়ার" নামে মাঠ এমিরেটস্‌ স্টেডিয়াম হলোওয়ে লন্ডন ইংল্যান্ড ধারণক্ষমতা ৬০,৪৩২ চেয়ারম্যান পিটার হিল-উড ম্যানেজার আর্সেন ওয়েঙ্গার লীগ প্রিমিয়ার লীগ ২০০৭-০৮ প্রিমিয়ার লীগ, ৩য় The Official Website of Arsenal Football Club Arsenal F.C. - Wikipedia, the free encyclopedia ক্লাব পরিচিতি পর্ব ৪ (চেলসি ফুটবল ক্লাব) ক্লাব পরিচিতি পর্ব ৩ (ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড) ক্লাব পরিচিতি পর্ব ২ (বার্সেলোনা) ক্লাব পরিচিতি পরব ১ (রিয়াল মাদ্রিদ)


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।