যে মুখ নিয়ত পালায়......। । বালক পুকুরে ঢিল ছোড়ে। ইহা তার খেলা। নিছক নির্দোষ আনন্দের খেলা।
কিন্তু পুকুরে থাকা ব্যাঙের জন্য ইহা প্রাণঘাতি।
সংখ্যাগুরু সংখ্যালঘু র ব্যাপারটা অনেকটা এরকম। সংখ্যালঘু হয়া জন্মানো এক পাপ।
কোন রাষ্ট্রের মধ্য থেকে সংখ্যালঘু গুরুর ধারনা কমানোর একটাই উপায় মানুষরে মানুষ হিশেবে দেখা। ধর্ম জাত পাত দিয়া বিভক্ত না করা।
আমার পরিচিত কিছু লোকেরা বলেন, এদেশের হিন্দুদের এক পা ভারতে। বিভিন্ন উদাহরন দেন এরা।
আমি উত্তর দিতে গিয়া এদের বলি, এই দেশ থেইক্যা একটা হিন্দুও যদি ইন্ডিয়া যায় এইটা হল পুরা বাংলাদেশের দোষ। হিন্দুর দোষ না। এই দেশ রে একজন হিন্দু নিরাপদ মনে করতেছে না কারন দেশ তারে বুঝাইতে ব্যর্থ।
কেউ মনের আনন্দে দেশ ত্যাগ করে না।
একটা ভয় আছে তাদের। দেশের হিন্দুদের এইটা নিজের দেশ বুঝানোর দায়িত্ব সংখ্যাগুরুদের। যেইটা সংখ্যাগুরুরা করতে ব্যর্থ অতীতে হইছেন বর্তমানে হচ্ছেন। ভবিষ্যতেও আমি কোন আশা দেখি না।
কয়েকদিন আগে হিন্দুদের মন্দির ভাঙা হল। আমি মুসলমান দের রাস্তায় নাইমা প্রতিবাদ করতে দেখলাম না। অথচ একটা মসজিদ ভাঙলে উরাধুরা কান্ড ঘটত।
কেউ কেউ আবার বলেন সংখ্যালঘু বলে কোন শব্দ নাই সংবিধানে, এইটা নাগরিকদের উপর আক্রমন। এইসব গালভরা কথা বইলা আবার চুপ থাকেন।
সরকার আশ্বাস দেন মন্দির ঠিক কইরা দেয়া হবে। আর মনে মনে খুশি হন এই ভোট গুলা তো পায়া গেলাম।
আমার হিন্দু বন্ধু গুলা আক্রোশ প্রকাশ কইরা স্ট্যাটাস দেয়। সেইখানে লোকজন স্বান্তনা দেন।
তারপর এরকম চলতে থাকে।
রাজনীতির গুটি হয়া থাকেন আমার দেশের হিন্দুরা। এই হল ঘটনা। সংখ্যালঘু হয়া জন্মানো পাপ যতক্ষন না মানুষ নিজে শুধুমাত্র মানুষ পরিচয়ে রাষ্ট্রে বিবেচিত হচ্ছে।
এগুলো আমাদের রাষ্ট্রের দুর্বলতা। আমাদের সমাজের।
সমাজের সকল মানুষের। এই সমাজে জন্ম নিয়া ওই মন্দির ভাঙার পাপের অংশ আমার ও আছে। আমি সেইসব পাপ বালিশের নিচে রাইখা ঘুমাই প্রতিদিন ।
(এখানে এক কপি। ) ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।