আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নিয়ন্ত্রণহীন নিত্যপণ্যের বাজার ।

পাওয়ার অব পিপল স্ট্রংগার দেন দি পিপল ইন পাওয়ার। http://mhcairo.blogspot.com/

পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার। চাল, ডাল, আটা, ময়দা, চিনি, ভোজ্যতেল, পেঁয়াজ, মরিচ, হলুদ, রসুন, মাছ, মাংস, ডিম সবকিছুর চড়া মূল্যের কাছে অসহায় সাধারণ ক্রেতা-ভোক্তারা। দুঃসহ লোডশেডিংয়ের পাশাপাশি পানি সঙ্কট, যানজটের সঙ্গে বাজারের এ আগুনে মানুষ দিশেহারা। রমজানের আগমন নিত্যপণ্যের বাজারকে আরেক দফা অস্থির করে তুলেছে।

চাল, আটা, ভোজ্যতেলসহ অধিকাংশ নিত্যপণ্যের দাম গত রমজানের চেয়ে অনেক বেড়ে গেছে। মোটা চাল কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা, আটা কেজিতে ৭ টাকা, তেল কেজিতে বেড়েছে ৫ থেকে ৮ টাকা। কাঁচা মরিচের দাম হঠাত্ করেই প্রায় দ্বিগুণ হয়ে বাজার ও মানভেদে গতকাল দেড়শ’ থেকে পৌনে ২শ’ টাকা কেজি পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে। গত দু’টি সরকারের তুলনায় বর্তমান সরকারের আমলে নিত্যপ্রয়োজনীয় অনেক পণ্যের দাম দুই থেকে তিনগুণ হয়ে গেছে। রমজানকে সামনে রেখে ‘দাম না বাড়ানোর’ ব্যবসায়ীদের আশ্বাস আর বাণিজ্যমন্ত্রীর কঠোর হুশিয়ারিতে আশ্বস্ত হতে পারছেন না ক্রেতারা।

বাজারের সঙ্গে সরকারের বেঁধে দেয়া দামের কোনো মিল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ-টিসিবি’র হিসাব অনুযায়ী গতকাল মোটা চালের কেজি ছিল ৩২ টাকা। ঠিক এক বছর আগে এ চাল ছিল ২২ টাকা। যে সরু চাল গতকাল ৪৫ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে, এক বছর আগে তা ছিল ৪০ টাকা। আটার দাম বেড়েই চলেছে জানিয়ে টিসিবি বলেছে, গতকাল যে আটা ২৭ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে, এক বছর আগে সেটা ছিল ২০ টাকা।

গত বছর ১১ আগস্টে হলুদের কেজি ছিল ১২০ টাকা; সেটি প্রায় আড়াইশ’ ভাগ বৃদ্ধি পেয়ে গতকাল বিক্রি হয়েছে ২৮০ টাকা কেজি। গত বছরের ৭০ টাকার রসুন গতকাল ছিল ১৬০ টাকা। খোলা সয়াবিন, পামওয়েল ও চিনির দামও কেজিতে তিন থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। সরকারি এ হিসাবের চেয়ে প্রকৃত বাজার দর বরাবরের মতো গতকালও বেশি ছিল। বিভিন্ন মানের মসুুর ডালের দাম মোটামুটি গত বছরের মতোই আছে।

পেঁয়াজ, ছোলা ও ডিমের দামে তেমন পরিবর্তন হয়নি। কোনো কোনো ক্ষেত্রে গত বছরের রোজার তুলনায় এবার কম। বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা সংলগ্ন ভাই ভাই মার্কেটে সুমি স্টোরে গতকাল এক কেজি মোটা চাল বিক্রি হয়েছে ৩৩ টাকা, নাজিরশাইল ৪৮ টাকা। খোলা সয়াবিনের লিটার ৮০ টাকা, বোতলজাত এক লিটার রূপচাঁদা ব্র্যান্ড সয়াবিন ৯৫ টাকা, মসুর ডাল মোটা (তুরস্ক) ৮০ টাকা, দেশি ১১০ টাকা, চিনি খোলা ৫০ টাকা, চিনি প্যাকেট (ফ্রেশ) ৫২ টাকা, খোলা আটা ২৫ টাকা (আগের দাম), রসুন ১৫০ টাকা, রসুন (একদানা) ১৮০ টাকা, ছোলা ৪৫ ও ৪৮, আলু ১৫, ডিম ২৪ টাকা হালি, লবণ মানভেদে ১৪ থেকে ২০ টাকা কেজি। এছাড়া একই বাজারে ব্রয়লার মুরগি ছিল ১৪৫ কেজি, গরুর মাংস ২৫০ টাকা।

তবে বেগুনসহ কাঁচা বাজারে সবজির দাম মোটামটি স্থিতিশীল রয়েছে। বিভিন্ন বাজার অনুসন্ধান করে দেখা গেছে, গতকাল সবচেয়ে নিম্নমানের এক কেজি মোটা চাল ৩২ থেকে ৩৩ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ওএমএস চালুর পর নতুন করে মোটা চালের দাম বাড়েনি। তবে কমেওনি। আটার দাম কেজিতে তিন থেকে ৪ টাকা বেড়ে গতকাল বিক্রি হয়েছে ২৭ থেকে ২৮ টাকা, ময়দা ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা, চিনি ৫২ টাকা, ভোজ্যতেল ৮৫ টাকা, ডাল ১০৭ থেকে ১১০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা।

রমজানকে সামনে রেখে সরকারই গরুর মাংসের দাম নির্ধারণ করেছে ২৫০ টাকা কেজি। একবার কোনো একটি পণ্যের দাম বেড়ে গেলে সহজে আর কমছে না। তবে দাম না কমলেও সরকার বলছে বাজার স্থিতিশীল। আর এ সুযোগটি লুফে নিচ্ছে একশ্রেণীর সিন্ডিকেট ব্যবসায়ী। সরেজমিন বাজার অনুসন্ধান এবং টিসিবি’র বাজার দর অনুসন্ধান ও গবেষণা সেল সূত্রে জানা গেছে, গত এক মাস ধরে রমজান উপলক্ষে নিত্যপণ্যের দাম না বাড়ানোর যে প্রতিশ্রুতি ব্যবসায়ীরা সরকারকে দিয়েছিলেন, তা এরই মধ্যে ভঙ্গ হয়েছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকেও বাজার নিয়ন্ত্রণে যে কঠোর হুঁশিয়ারির কথা বলা হচ্ছিল, সেটিও কোনো কাজে আসেনি; বরং নিত্যপণ্যের দাম বেড়েই চলেছে। চাল : টিসিবির বাজার দর অনুসন্ধান ও গবেষণা সেল থেকে পাওয়া পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, বাজারে এখন সবচেয়ে মোটা চাল (নিম্নমানের) বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩২ টাকা কেজি। তবে রাজধানীর পলাশী বাজারের চাল বিক্রেতা আমির হোসেন গতকাল আমার দেশকে জানান, মোটা চাল গতকাল খুচরা ৩৩ টাকায় বিক্রি হয়েছে। মোটা চালের প্রধান ক্রেতা সাধারণ দিনমজুর ও নিম্ন আয়ের মানুষ। টিসিবির হিসাব অনুযায়ী, ২০০৬ সালে বাজারে মোটা চাল পাওয়া যেত ১৭ টাকা কেজি দরে।

ড. ফখরুদ্দীনের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের শেষ দিনে ২০০৯ সালের ৫ জানুয়ারি মোটা চাল ছিল ২৭ টাকা কেজি। ২০০৬ সালে বাজারে এক কেজি সরু চাল বিক্রি হয়েছে ২২ থেকে ২৬ টাকা দরে। তবে গতকাল রাজধানীর খুচরা বাজারে সরু চাল বিক্রি হয় ৪৬ থেকে ৪৮ টাকা কেজি দরে। অবশ্য টিসিবি বলছে সরু চাল এখন ৪৫ টাকা কেজি। অর্থনীতিবিদ এবং ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক মাহবুব হোসেনের মতে, দেশে চালের কোনো সঙ্কট না থাকলেও বিশ্ববাজারে দাম কিছুটা বাড়ার সুযোগে ব্যবসায়ীরা অভ্যন্তরীণ বাজারে দাম বাড়াতে পারেন।

ফলে সরকারকে এখন থেকেই পরিকল্পনা নিয়ে সাবধানে এগুতে হবে। আন্তর্জাতিক বাজারে গমের দাম বর্তমানে চালের তিন ভাগের এক ভাগ—এ তথ্য উল্লেখ করে মাহবুব হোসেন বলেন, রাশিয়া থেকে গম আমদানি বন্ধ হওয়ায় সরকারের উচিত জরুরি ভিত্তিতে সাত থেকে আট লাখ টন গম বিকল্প বাজার থেকে কিনে তা সরকারি প্রকল্পের মাধ্যমে দ্রুত বণ্টনের ব্যবস্থা করা। আটা-ময়দা : মৌলভীবাজারের গম ব্যবসায়ী রুহুল আমিন বলেন, ‘রমজানে গম ও আটা-ময়দার দাম সাধারণত কমে যায়। কিন্তু এ বছর বাড়ছে। ৩০ বছরের ব্যবসা জীবনে আমি এমন ঘটনা কখনও দেখিনি।

’ টিসিবি জানিয়েছে, গত কয়েক দিন ধরেই বাজারে আটা-ময়দার দর বাড়ছে। গতকাল খুচরা বাজারে খোলা আটা বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ২৭ থেকে ২৮ টাকা দরে। প্যাকেট আটা বিক্রি হয় ২৮ থেকে ২৯ টাকা দরে। প্রতি কেজি ময়দা বিক্রি হয় ৩৪ থেকে ৩৫ টাকা কেজি দরে। টিসিবির হিসাবে ২০০৬ সালে আটার কেজি ছিল ১৮ টাকা এবং ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে ২৩ টাকা।

বাংলাদেশ আটা-ময়দা মিল মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জের লক্ষা ফ্লাওয়ার মিলসের মালিক এস কে ওয়াজেদ আলী বাবুল আমার দেশ’কে জানান, গত ডিসেম্বরে বিশ্ববাজারে গমের দাম একলাফে অর্ধেকে নেমে আসে। এতে স্থানীয় আমদানিকারকরা লোকসানের মুখে পড়েন। এ কারণে কয়েক মাস ধরে নারায়ণগঞ্জের বেশিরভাগ আটা-ময়দার মিল বন্ধ রয়েছে। চাহিদা কমে যাওয়ায় মিলও বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে চালু মিলগুলো থেকে এখন পাইকারি দামে আটা বিক্রি হচ্ছে ১৮ টাকা কেজিতে এবং ময়দা ২২-২৩ টাকায়।

কিন্তু রাশিয়া থেকে গম আমদানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় হঠাত্ বাজার চড়া হয়ে গেছে। চিনি : চিনির মূল্য গত এক মাসে কয়েক দফা বেড়ে বর্তমানে স্থিতিশীল রয়েছে। তবে বাড়তি দামেই চিনি বিক্রি হচ্ছে। টিসিবি জানায়, গতকাল খুচরা বাজারে প্রতি কেজি চিনির দর ছিল ৫০ টাকা। তবে বাজার ঘুরে দেখা গেছে, চিনি ৫১ থেকে ৫২ টাকা দরে কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের।

গত এক মাসে চিনির দাম বেড়েছে ১৩ শতাংশ। চিনি ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, গত এক সপ্তাহ ধরে চিনির বাজার স্থিতিশীল। নতুন করে দাম বাড়ার কোনো লক্ষণ নেই। টিসিবির দেয়া তথ্য অনুযায়ী ২০০৬ সালে চিনির কজি ছিল ৩৭ টাকা। ড. ফখরুদ্দীনের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের শেষ দিনে ২০০৯ সালের ৫ জানুয়ারি ছিল ৩০ টাকা।

ভোজ্যতেল : হঠাত্ করেই ভোজ্যতেলের বাজার অস্থিতিশীল হয়ে পড়েছে। গত কয়েক দিন ধরেই সয়াবিন ও পাম অয়েলের বাজার ঊর্ধ্বমুখী বলে জানিয়েছে টিসিবি। টিসিবি জানায়, গত মঙ্গলবার থেকে তেলের বাজার কিছুটা চড়া হতে থাকে। দু’দিনের ব্যবধানে সয়াবিন ও পাম অয়েলের দাম লিটারপ্রতি ২ থেকে ৩ টাকা পর্যন্ত বেড়ে গেছে বলে জানিয়েছে টিসিবির বাজার দর অনুসন্ধান ও গবেষণা সেল। গতকাল প্রতি কেজি লুজ সয়াবিন বিক্রি হয় ৮২ থেকে ৮৪ টাকা দরে।

খোলা পাম তেল বিক্রি হয় ৭৫ থেকে ৭৭ টাকা দরে। তবে বোতলজাত সয়াবিন তেলের বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, একেক দোকানি একেক দরে বিক্রি করছেন। বেশিরভাগ কোম্পানির ব্র্যান্ডের বোতলজাত তেলে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য মানা হয়নি। এক লিটারের বোতলজাত রূপচাঁদা তেল গতকাল বিক্রি হয়েছে ৯৫ টাকা কেজিতে। ২ লিটারের তীর মার্কা তেল বিক্রি হয়েছে ১৭২ টাকা।

সে হিসাবে প্রতিকেজির দাম পড়েছে ৮৬ টাকা। ২০০৮ সালে খোলা সয়াবিন ছিল ৪৮ টাকা ও পামওয়েল ৩৯ টাকা। ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে খোলা সয়াবিন ৯০ টাকা ও খোলা পামওয়েল ছিল ৪৮ টাকা কেজি। মাছ : গত এক বছরের ব্যবধানে বাজারে রুই মাছের দর বেড়েছে ২৯ দশমিক ৪১ শতাংশ। গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে প্রতিকেজি রুই মাছের দর ছিল ২০০ থেকে আড়াইশ’ টাকা।

ইলিশ ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি। টিসিবি জানিয়েছে, ইলিশের দর এক বছরে বেড়েছে ২৪ শতাংশ। মাংস : টিসিবির বাজারদর পরিসংখ্যানে দেখা যায়, বাজারে বর্তমানে এক কেজি গরুর মাংসের দাম ২৬০ টাকা। তবে গতকাল কারওয়ান বাজারে গিয়ে জানা গেছে, গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ২৭৫ থেকে ২৮৫ টাকা কেজি দরে। টিসিবি জানায়, গত এক বছরে গরুর মাংসের দাম বেড়েছে ১৯ শতাংশ।

কারওয়ান বাজারে গতকাল খাসির মাংস বিক্রি হয়েছে ৩৭৫ টাকা কেজি দরে। তবে টিসিবি জানিয়েছে, গতকাল রাজধানীর খুচরা বাজারে খাসির মাংস বিক্রি হয়েছে ৩৬০ টাকা কেজি দরে। মুরগি : বাজারে এখন প্রতিকেজি ব্রয়লার (ফার্মের) মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা দরে। আর দেশি মুরগি ২৬০ টাকা কেজি দরে। মুরগির দাম গত এক মাসে প্রায় ৫ শতাংশ বেড়েছে।

যা এক বছরে বেড়েছে ২০ শতাংশ। তবে টিসিবি জানিয়েছে, ব্রয়লার মুরগি এখন ১৪৫ টাকা কেজি এবং দেশি মুরগি ২৫০ টাকা। আদা-রসুন : রমজান মাসে আদার চাহিদা কিছুটা বেড়ে যায়। এ কারণে গত এক মাস ধরেই চড়া আদার বাজার। বাজার ঘুরে জানা গেছে, এখন প্রতিকেজি দেশি আদা বিক্রি হচ্ছে ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা দরে।

আর আমদানিকৃত আদা বিক্রি হচ্ছে ১০৫ থেকে ১১০ টাকা কেজি দরে। টিসিবি জানায়, গত এক বছরে আদার দাম বেড়েছে ৬৯ শতাংশ। রোজার বাজারে রসুনের চাহিদা খুব একটা বাড়ে না বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তবে রসুনের বাজার এবার চড়া। টিসিবি জানায়, বর্তমানে প্রতিকেজি দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা দরে।

আমদানিকৃত রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ টাকায়। গত এক বছরে রসুনের দাম বেড়েছে ৮২ শতাংশ। হলুদ-মরিচ : গত এক বছরের ব্যবধানে হলুদের দাম বেড়েছে ১৪১ শতাংশ। গতবছর এ সময়ে বাজারে প্রতিকেজি হলুদের দাম ছিল ১২০ টাকা; যা গতকাল বিক্রি হয় ২৮০ থেকে ২৯০ টাকা কেজি দরে। শুকনো মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি দরে।

ডাল : রহমতগঞ্জের ডাল ব্যবসায়ী ও বাংলাদেশ ডাল ব্যবসায়ী সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি হাজী নেসার উদ্দিন জানিয়েছেন, গতকাল পাইকারি বাজারে প্রতিকেজি দেশি মসুর ডাল বিক্রি হয়েছে ৮৫ থেকে ৯০ টাকা কেজি দরে; যা খুচরা বাজারে ৯০ থেকে ৯৫ টাকা হতে পারে। অস্ট্রেলিয়ার ক্যাঙ্গারু ব্র্যান্ডের মসুর ডাল বিক্রি হয় ৯২ থেকে ৯৪ টাকা কেজি দরে। খুচরা বাজারে এ ডাল ৯৪ থেকে ৯৬ টাকা হতে পারে। নেপালি মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৯২ থেকে ৯৩ টাকা কেজি দরে। বাস্তবে গতকাল বাজারে ১০৫ থেকে ১১০ টাকা কেজি দরে দেশি নেপালি মসুর ডাল বিক্রি হয়েছে।

টিসিবির বাজারদর পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, গতকাল নেপালি মসুর ডাল খুচরা প্রতিকেজি ৯৮ থেকে ১০৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। অথচ ২০০৬ সালে প্রতিকেজি মসুর ডাল বিক্রি হয়েছে ৪৫ টাকা দরে। ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে ছিল ১০৫ টাকা কেজি। ডালের বাজার গত কয়েক বছর ধরেই চড়া বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীদের আশ্বাস কাজে আসছে না : নিত্যপণ্যের আমদানিকারক ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত এক মাস ধরেই দফায় দফায় বৈঠক করছে।

এসব বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য বাজার স্থিতিশীল রাখা। বৈঠক থেকে ব্যবসায়ীরাও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন পণ্যের দাম বাড়ানো হবে না। তবে এসব প্রতিশ্রুতি এরই মধ্যে ভঙ্গ হয়েছে। রোজা সামনে রেখে গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই দফায় দফায় বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম। কপি পোষ্ট।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।