প্রায় প্রতিদিনই ছাত্রলীগের কোনো না কোনো মহৎ কর্মকান্ডের বর্ণণা পড়ে পড়ে আমাদের ভোরগুলো সকালে পরিনত হয়। পত্রপত্রিকা জুড়ে দেশের ঐতিহ্যবাহী এই ছাত্র সংগঠনের দোষকীর্তণ। প্রথম দিকে একটু অবাক এবং হতাশ হলেও এখন আর সেসব লাগেনা। ক্ষমতা তাদের, একটু আকটু দুষ্টুমীতো করবেই। বয়স যতই হোক ছাত্রতো! ছাত্র অবস্থায় আমরা কি কম দুষ্টুমী করেছি?
শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশের যোদ্ধারা হয়তো অন্য বিষয়-আশয় ভুলে নেত্রীর আহবানে যুদ্ধটাকেই মুল ধরে এগিয়ে যাচ্ছে।
যাক, সেসব তাদের ব্যাপার। আমাদের তো আর কিছু না। আমাদের যা একটু শান্তির প্রত্যাশা ছিল সেটা আর হলোনা। এটা অবশ্য কখোনোই হয়না।
এখন না হয় ছাত্রলীগ।
ভবিষ্যতেও হয়তো আবার ছাত্রদল একই কাজ করবে।
দল অথবা লীগ। তাদের বড় পরিচয়, ছাত্র।
তাদের এইসব মারামারির দিন কবে যে শেষ হবে? যে ছাত্ররা লেখাপড়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আসে। কেন যে তাদের মধ্যে দলীয় লেজুর বৃত্তির এই প্রবণতা ঢোকে? আর যদি ঢুকলই তবে কেন তারা হল দখল, চাঁদাবাজী, কর্তৃত্বপ্রতিষ্ঠার এই লড়াইয়ে নামে?
কে জানে?
মাঝে কিছু অদ্ভুত কল্পনা আমার মাথায় ঘুরপাক খায়।
ইস! যদি পত্রিকার নিউজগুলি এমন হতো?
হল দখল নয়, নিউজটা যদি এমন হতো...
বিশ্ববিদ্যালয়ে স্যারদের মন দখলে মরিয়া ছাত্রলীগ
যদি, চাঁদা দাবীর নিউজ এমন হতো...
ছাত্রলীগের ভালো নোটের দাবীর মুখে সাধারণ ছাত্ররা
যদি, ক্যাম্পাসে কর্তৃত্বপ্রতিষ্ঠার নিউজ এমন হতো...
মেধাতালিকায় নিজেদের কতৃর্ত¡প্রতিষ্ঠা নিয়ে মুখোমুখি ছাত্রলীগের মফিজ এবং ইউনুস গ্রুপ
হায়! যদি হতো!!! আহা! কি ভালোই না হতো!
এইসব রাজীবদের মৃত মুখ দেখতে আর ভালো লাগেনা। যে হাসপাতালে তাদের রোগীদের মৃত্যু ঠেকাতে কাজ করার কথা। সেই হাসপাতালে তাদের পড়ে থাকা মৃতদেহ পরোক্ষভাবে আমাদের সুন্দর আগামী এবং সুন্দর আগামীর স্বপ্নের মৃত্যুই নির্দেশ করে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।