আরবী নবম মাসের নাম রমাদ্বান। (রমাদ্বান) শব্দটি (রমদ্ব) শব্দ হতে উদ্ভূত। এর অর্থ জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে দেয়া। রমাদ্বান শরীফ-এর রোযা মানুষের পাপসমূহকে জ্বালিয়ে দেয়। এ থেকেই এ মাসের নামকরণ হয় রমাদ্বান।
আর (ছিয়াম) ক্রিয়ামূলটি (ছওম) শব্দমূল থেকে উদ্ভূত। অর্থ- রোযা, পানাহার ও নির্জনবাস থেকে বিরত থাকা।
মাহে রমাদ্বান শরীফ-এর ফযীলত সম্পর্কে বহু হাদীছ শরীফ বর্ণিত হয়েছে। হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “যে ব্যক্তি মাহে রমাদ্বান শরীফ-এর শুরু হতে শেষ পর্যন্ত রোযা রাখবে সে ওই দিনের মত নিষ্পাপ হবে যেদিন সে জন্মগ্রহণ করেছে। ” (মুসলিম শরীফ)
আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, “বান্দারা যদি মাহে রমাদ্বান শরীফ-এর ফযীলত সম্পর্কে জানতো তাহলে অবশ্যই তারা এ আকাঙ্খা করতো, যেন সারা বছরই মাহে রমাদ্বান শরীফ হয়।
” (ইবনে খুজাইমা)
হাদীছ শরীফ-এ আরো ইরশাদ হয়েছে, “রোযাদারের ঘুম ইবাদতের শামিল, রোযাদারের নিশ্চুপ থাকা তাছবীহ পাঠের মধ্যে পরিগণিত, রোযাদারের দোয়া নির্ঘাত কবুলযোগ্য এবং রোযাদারের আমলের ছওয়াব দ্বিগুণ-বহুগুণে বৃদ্ধি করে দেয়া হয়। ” (কানযুল উম্মাল)
হাদীছ শরীফ-এ আরো বর্ণিত রয়েছে, আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, “যে ব্যক্তি ঈমান ও ইখলাছের সাথে মাহে রমাদ্বান শরীফ-এর রোযা রাখবে তার পূর্বের গুনাহসমূহ ক্ষমা করা হবে এবং যে ব্যক্তি ঈমান ও ইখলাছের সাথে মাহে রমাদ্বান শরীফ-এর রাত্রি ইবাদতে কাটাবে তারও পূর্বের গুনাহসমূহ ক্ষমা করা হবে এবং যে ব্যক্তি ঈমান ও ইখলাছের সাথে ক্বদরের রাত্রি ইবাদতে কাটাবে তারও পূর্বকৃত গুনাহসমূহ ক্ষমা করা হবে। ” (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ)
অতএব, রহমত, মাগফিরাত ও নাজাত লাভের মহিমান্বিত মাহে রমাদ্বান শরীফ-এ দিনের বেলা রোযা রেখে আর রাতের বেলা তারাবীহ ও তাহাজ্জুদ নামায পড়ে এবং কুরআন শরীফ তিলাওয়াত করে এর হক্ব আদায় করা উচিত।
আয় আল্লাহ পাক! আমাদের সকলকে মাহে রমাদ্বান শরীফ-এর যথাযথ হক্ব আদায় করতঃ তার রহমত, বরকত, সাকীনা, মাগফিরাত ও নাজাতের পরিপূর্ণ হিস্সা দান করুন। (আমীন)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।