ইসলামী শরীয়তের একটি অন্যতম উসূল হলো হক্ব বা সত্য জানা থাকা সত্ত্বেও যে বা যারা তা চুপিয়ে রাখে তারা হলো বোবা শয়তান। আর এমন বোবা শয়তানের প্রাদুর্ভাবে দেশ-বিদেশে শয়তানী কর্মকান্ডের কোনো কমতি নেই। নতুনবর্ষ শুরুর আগে, নেতা-নেত্রীদের জন্ম-মৃত্যুবার্ষিকী আসার আগে, এমনকি চৈত্র, বৈশাখ, ফাল্গুন আসার আগে সেগুলো হাইলাইট করে সপ্তাহ মাস পূর্ব থেকে পত্র-পত্রিকা মিডিয়া, বিভিন্ন দল-উপদল, ক্লাব, অনুষ্ঠানমালা, প্রবন্ধ-নিবন্ধের আয়োজন করে। এমনকি কথিত অমুক গেমস, তমুক গেমস, বিশ্ব গেমস সেগুলো নিয়েও ছয় মাস নয় মাস পূর্ব থেকে লেখালেখি-প্রচারণা শুরু হয়ে যায়। অথচ মুসলমানগণ উনাদেরকে যিনি মুসলমানিত্ব দিলেন, পবিত্র ঈমান দিলেন, পবিত্র দ্বীন ইসলাম দিলেন, পবিত্র জান্নাত দিলেন, রেযামন্দি দিলেন, যিনি মহান আল্লাহ পাক উনার মুহব্বত-মা’রিফাত দিলেন সেই হযরত নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, হযরত রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র সুমহান বিলাদত শরীফ ও বিছাল শরীফ উনার মাস পবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফও যুগ যুগ ধরে আসে যায়- কিন্তু এটার যে আলাদা তাৎপর্য, খুছূছিয়ত, বৈশিষ্ট্য, মর্যদা-মর্তবা, ছাকীনা, রহমত আছে, সেই সম্পর্কে পত্র-পত্রিকা মিডিয়াগুলো কিংবা ওয়ায়েজীন বক্তাগণ কিছুই লেখে না, আলোচনা করে না। এখন প্রশ্ন হলো- কেন মিডিয়াগুলো পবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফকে আহলান-সাহলান স্বাগত জানাতে বোবা শয়তানের ভূমিকায় অবতীর্ণ?
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।