সত্যই সুন্দর, সুন্দরই সত্য- জন কীট্স
বাংলাদেশের ইতিহাসে ছাত্ররাজনীতি রয়েছে এক দীর্ঘ ইতিহাস। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে উনসত্তরের গন অভ্যুত্থান, স্বাধীনতা যুদ্ধ এবং নিকট অতীতে স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে ছাত্ররাজনীতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের অনেক আগে সেই ১৯৫২ যে ছাত্ররাজনীতি এই ভূখন্ডে শুরু হয়েছিলো এবং এদেশের মানুষের ন্যায্য অধিকার আদায়ের প্রতিটি আন্দোলনে যে ছাত্ররাজনীতি এক অতীব গুরুত্বপূর্ণ এবং মহৎ ভূমিকা পালন করেছিলো সেই ছাত্ররাজনীতি এখন কলুষিত দলীয় রাজনীতির লেজুরবৃত্তিতে। ছাত্ররাজনীতির সকল আদর্শ এখন দলীয় ছত্রছায়ায় চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, ভর্তি বানিজ্য, সন্ত্রাস এবং মানুষ খুন করার মতো আলট্রা-মহৎ কার্যালী দিয়ে প্রতিস্থাপিত হয়েছে।
রাজনৈতিক দলগুলো এদেরকে পালিত কুকুরের মতো লালন-পালন করে থাকে।
এতে পালিতরা (এইসব প্রাণীগুলো) যেমন লাভবান হয় দলীয় ছত্রছায়ায় নিবিঘ্নে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালানোর গ্যারান্টি পেয়ে তেমনি প্রতিপালক রাজনৈতিক দলগুলো লাভবান হয় এদেরকে সভা-সমাবেশে লোকজন ভাড়া করা, হরতালে ভাংচুর করা, বোমাবাজি করা, গুলাগুলি করা, মানুষ হত্যা করা সর্বোপরি নির্বাচনের সময় ব্যালট বাক্স ছিনতাই এবং ভোট ডাকাতি করা -এই জাতীয় কাজে ব্যবহার করার মাধ্যমে। উভয় পক্ষই একে অপরকে দ্বারা লাভবান হওয়ায় এইসব পালিত প্রাণী এবং প্রতিপালক রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সব সময়ই একটা আমে-দুধে মিশে যাওয়ার মতো সম্পর্ক থাকে।
ছাত্ররাজনীতির এখন যে চরিত্র আমরা দেখতে পাচ্ছি তা স্বাধীনতা পূর্ববর্তী সময়ে এমন ছিলো না। স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে ধীরে ধীরে ছাত্ররাজনীতি দলীয় লেজুরবৃত্তিতে জড়াতে শুরু করে এবং নব্বইয়ের দশক থেকে তা প্রকট আকার ধারণ করতে থাকে। প্রতিটি রাজনৈতিক দলই জানে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে তারা যেসব প্রাণীদের দলীয় ছত্রছায়ায় লালন পালন করে সেই প্রাণীগুলোর জন্ম মানুষের ঘরে হলেও এরা আর মানুষ থাকেনা; এগুলো একেকটা বন্য হিংস্র পশুতে (ইংরেজিতে যাকে বলে ওয়াইল্ড অ্যানিমেল) পরিনত হয়।
কোনভাবেই এদের রাজনীতির উদ্দেশ্য দেশের জন্য কোন কল্যাণ বয়ে আনা নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যম্পাসে বিরাজমান সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের হাজারো সমস্যা সমাধান করা নয় বরং দলের পা চেটে নিজের অবস্থানটা ঠিক রেখে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, ভর্তি বানিজ্য, সন্ত্রাস করা এবং মানুষ খুন করা। যখন যে দল ক্ষমতায় থাকে সেই দলের পা চাটা হিংস্র প্রাণীগুলোই এই মহৎ কর্মগুলো সম্পাদন করে থাকে। এতে দেশের প্রচলিত থানা-পুলিশ, আইন-আদালত এই বণ্য প্রাণী গুলোর জন্য কোন সমস্যা হতে পারেনা কারণ এরা সরাসরি দল থেকে নিরাপত্তা পেয়ে থাকে।
যেসব যুবক নিজেদের জীবনের মায়া তুচ্ছ করে আত্মঘাতী বোমা ফাটায় এদেরকে আমরা আত্মঘাতী জঙ্গি বলে থাকি। তাদের এই আত্মঘাতের পেছনে একটা উদ্দেশ্য এবং আদর্শ থাকে।
যে যুবক আত্মঘাতী বোমা ফাটিয়ে মানুষ হত্যা করে তার দৃঢ় বিশ্বাস থাকে সে এই কাজের দ্বারা তার ধর্মকে সে প্রতিষ্ঠিত করছে, সুতরাং সে তার ধর্মকে প্রতিষ্ঠার জন্য নিজের জীবনকে উৎসর্গ করে থাকে- এটাই তার আদর্শ। সুতরাং একজন জঙ্গিরও একটা প্রবল বিশ্বাস এবং আদর্শ থাকে এবং সে জন্য তার জীবন উৎসর্গ করতে প্রস্তুত থাকে।
স্বভাবতই প্রশ্ন জাগে তাহলে এই ছাত্ররাজনীতিতে জরিত এইসব পালিত প্রাণীগুলোর আদর্শ কি? কেন এবং কিসের মোহে তারা এমন কুকুরের মতো আচরন করে এবং কুকুরের মতোই রাস্তাঘাটে মারামারি করে এবং বেওয়ারিশ কুকুরের মতো মারা পড়ে থাকে? সম্প্রতি এই কুকুর পালকদের একজন তাদের সাথে সাংবিধানিকভাবে কোন সম্পর্ক না থাকার অযুহাত তুলে সংশ্লিষ্ট কুকুরপালের সকল কার্যক্রমের দায়-দায়িত্ব অস্বীকার করেছে এবং কুকুর পালটিকে প্রকারান্তরে বেওয়ারিশ ঘোষণা করেছে।
আমরা দেখতে পাই প্রচলিত ছাত্ররাজনীতির যেসব দল আছে তার প্রত্যেকটিতে হরহামেশাই দু’চারটা করে লাশ পড়ে থাকে এবং সেটা ঘটছে শুধুমাত্র প্রতিপক্ষের হামলায় এমন নয় বরং নিজ সংঘটনের মধ্যে অভ্যন্তরীন কোন্দল কে কেন্দ্র করে। অবস্থা এমন যে অস্ত্র নিয়ে যে মহড়া হচ্ছে ক্যাম্পাস থেকে ক্যাম্পাসে তা যেন এক পবিত্র যুদ্ধ, ক্রুসেড।
কি এমন আদর্শ, কি এমন মহত্ব এই ছাত্র সংঘটনে আছে যে এই সব ছাত্র সংঘটনের নিজের দলের কর্মীর কর্তৃক অপর কর্মী খুন হচ্ছে? এই সংঘাত কিসের জন্য? কোন মহৎ আদর্শের জন্য? এতো অস্ত্রের যোগান কোথা হতে আসে? এগুলো কেন উদ্ধার হয়না?
হ্যাঁ আদর্শতো একটা আছে বটেই। সেটা হলো স্বার্থ, দোকানপাটে চাঁদাবাজি, পরিবহনে চাঁদাবাজি, ভর্তির সময়ে ছাত্রদের জিম্মি করে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি এবং সন্ত্রাসের মাধ্যমে শর্টকাটে অগাধ ইনকামের স্বার্থ। এই স্বার্থকে কেউ স্বেচ্ছায় ছেড়ে দিতে চায় না এবং একটা বন্য পশুর পক্ষে তো কোনভাবেই এই স্বার্থ ত্যাগ করা সম্ভব না। সুতরাং চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, ভর্তি বানিজ্য, এবং সন্ত্রাসই এই ছাত্ররাজনীতির আসল আদর্শ। এই আদর্শের জন্যই এই প্রাণীগুলোকে আমরা বিভিন্ন ক্যাম্পাসের পথে-ঘাটে কুকুরের মতো পড়ে থাকতে দেখি।
আর পালিত এই কুকুরগুলোর বিরুদ্ধে প্রতিপালক দলটি ক্ষমতায় থাকাকালীন কোন ব্যবস্থাই নেয়না এদের দ্বারা আবার তাদের নিজস্ব স্বার্থ হাসিল হয়ে থাকে।
সবচেয়ে দু:খজনক হলো যে বিষয়টি সেটা হলো অনেক ভালো রেজাল্ট নিয়ে পাস করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েও অনেক মনুষ্য সন্তান এইসব ছাত্রসংঘটন নামক পশুদের দলে যুক্ত হয়ে শেষ পর্যন্ত পশু হয়ে যায়। আর গুটি কয়েক পশুর জন্য একটি প্রতিষ্ঠানের সব সাধারণ শিক্ষার্থীর শিক্ষা জীবন হয়ে যায় অনিশ্চিত। একেকটা সংঘাতের পর অনির্র্দষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকে ক্যাম্পাসের সকল শিক্ষা কার্যক্রম। একবার ভর্তি হলে কবে পাস করে বের হতে পারবে তা কেউ বলতে পারেনা।
তাহলে কি বাংলাদেশের মহান রাজনৈতিক দলগুলো তাদের দলের লেজুর বৃত্তির ব্যবস্থা করে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে দেশ গড়ার মেধাবী কারিগর তৈরির পরিবর্তে কতগুলো বন্য পশু উৎপাদনের চারনক্ষেত্র বানিয়েছে? আমার উত্তর হলো হ্যাঁ এবং অবশ্যই। তারা জেনেশুনেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে শিক্ষা কেন্দ্র না বানিয়ে পশুচারন ক্ষেত্র বানিয়েছে। কারণ পশুদের চারণক্ষেত্রে সাধারণ ছাত্ররা এতই অসহায় যে তাদের কিছুই করার থাকেনা। অনেকেই আমার সাথে দ্বিমত পোষণ করবেন, যাদের মতের সাথে আমার মত মিলছে না তারা আমায় ক্ষমা করে দেবেন।
প্রকৃত বন্য পশু এবং রাজনৈতিক দল কর্তৃক পালিত প্রাণী(পশু)র মধ্যে পার্থক্য হলো প্রকৃত বন্য পশুরা তারচেয়ে দুর্বল শক্তির প্রাণীকে হামলা করে শিকার হিসেবে আহার করে একান্তই তার বেঁচে থাকার তাগিদে।
এই দলীয় পশুরা শুধু যে দুর্বলকে হামলা করে তা নয়, বরং দলীয় পদ নিয়ে হরহামেশাই নিজেদের মধ্যে সংঘাতে জরিয়ে পড়ে। এরা চাপাতি, চাইনিজ কুড়াল, রিভলবার, পিস্তল, হকি স্টিক, রাম দা সহ এই জাতীয় সব ধরণের অস্ত্রই ব্যবহার করে থাকে। প্রশাসনের নাকের ডগার ওপর দিন দুপুরে এইসব অস্ত্র নিয়ে মারামারি করলেও এরা কদাচিৎই গ্রেফতার হয় এবং কোন আদালতই এদেরকে শাস্তি দিতে পারেনা।
ছাত্ররাজনীতি কেন আর প্রয়োজন নেই: আমাদের দেশ কি এখনো পরাধীন? আমরা জাতি হিসেবে কি অন্য কোন দেশ থেকে স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করছি? দেশে কি এখনো কোন সামরিক শাসন চলছে? এর প্রত্যেকটির উত্তরই হচ্ছে না, না, এবং না। যেহেতু আমরা এখন স্বাধীন, আমরা কোন দেশের সাথে যুদ্ধে জরিত নই এবং দেশ পরিচালনার জন্য গত ২০ বছর ধরে কমবেশী জনগনের ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকার আসছে, তাই শিক্ষাঙ্গনে আমাদের ছাত্রদের পড়াশুনা ছাড়া অন্যকোন কাজ থাকতে পারেনা।
ছাত্ররাজনীতির নামে দলীয় লেজুরবৃত্তির মাধ্যমে বন্যপশুরূপী সন্ত্রাসী,সেঞ্চুরিয়ান ধর্ষক তৈরিতো কোন ভাবেই নয়।
আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো কি তাহলে জানেনা তারা ছাত্ররাজনীতির নামে ক্যাম্পাস থেকে কতগুলো দাগী সন্ত্রাসী তৈরি করছে? উত্তর হলো হ্যাঁ এবং তারা তা জেনে শুনেই করছে। আপনারা কি আমাকে কোন একজন রাজনৈতিক নেতার নাম বলতে পারবেন যিনি তার সন্তানকে দেশের কোন পাবলিক কেন, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়িয়েছেন? না দেশের কোন নেতাই তার সন্তানকে এদেশের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ান না, তারা তাদের সন্তানকে পাঠিয়ে দেন বিদেশে নিরাপদ আশ্রয়ে নির্বিঘ্ন পড়াশুনার জন্য। কারণ তারা জানেন তারা দেশের শিক্ষাঙ্গনগুলোর যে অবস্থা করে রেখেছেন তাতে দেশে থাকলে যেকোন সময় তাদের সন্তানও অক্কা পেতে পারে। আর এরা নিজেদের জীবনের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেন বুলেট প্রুফ গাড়ি চড়ে, পুলিশি পাহাড়া বসিয়ে।
কিন্তু আম-জনতারতো আর রাষ্ট্রীয় কোষাগারের টাকা গায়েব করার সুযোগ নেই, পয়সা না থাকায় তাদের সন্তানকে বিদেশেও পাঠানোর সুযোগ নেই, তাই তারা এই পশুচারন ক্ষেত্রেই তাদের ছেলেমেয়েকে বিদ্যার্জন করতে পাঠান। আর এই পশুদের গোলাগুলির মাঝে পড়ে সাধারণ ছাত্রদের অকালে মরে যেতে হয়।
পৃথিবীর অনেক উন্নত দেশ যাদের শিক্ষা ব্যবস্থা আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে হাজারোগুন উন্নত তাদের ক্যাম্পাসে কি ছাত্ররা রাজনীতি করে? এশিয়ায় মালেশিয়া, জাপান, সিঙ্গাপুর এমনকি ভারত নিশ্চিতভাবেই শিক্ষাব্যবস্থায় আমাদের চেয়ে অনেক এগিয়ে। এসব দেশের ছাত্ররা কি ক্যম্পাসে রাজনীতি করে? যদি তাদের মতো উ্ন্নত দেশের ছাত্রদের ক্যাম্পাসে রাজনীতির প্রয়োজন না পরে তাহলে আমাদের ছাত্রদের কেন পড়বে? ইউরোপে জার্মানী, সুইডেন, ইতালি, ফ্রান্স, ফিনল্যান্ড, ইংল্যান্ড এমনকি ইউরোপের গরিবদেশ সাইপ্রাস- এসব দেশে কি ছাত্ররা রাজনীতি করে? তাদের ছাত্রদের যদি রাজনীতির প্রয়োজন না পরে তাহলে আমাদের দেশের ছাত্রদের কেন প্রয়োজন? ক্যাম্পাসে কি তারা পড়াশুনা করতে আসে না রাজনীতি করতে? খোদ আমেরিকা যাকে গনতন্ত্রের সুতিকাগার বলা হয় সেই দেশে কি ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি আছে? তাদের মতো গনতান্ত্রিক দেশে যদি ক্যাম্পাসে ছাত্ররানীতির প্রয়োজন না পড়ে তাহলে আমাদের দেশে কেন প্রয়োজন?
আমাদের দেশের প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালগুলোতেও ক্যাম্পাসে কোন রাজনীতি নেই। একজন ছাত্র ভর্তি হয়ে যদি পড়াশুনা নিয়মিত চালিয়ে যায় তাহলে সে ঠিক সময়ে পাস করে বের যায়।
এখানেও অন্যান্য কিছু অনিয়ম, অব্যবস্থনা আছে শিক্ষার খরচ, পরিবেশ প্রভৃতি নিয়ে তবে এখানে রাজনৈতিক সংঘাতের কারণে সেশন জটের মতো ঘটনা কখনোই ঘটেনি।
আমাদের দেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে রাজনৈতিক সংঘাতের কারণে সৃষ্ট সেশন জট এবং অন্যান্য অব্যস্থাপনার কারণে একজন ছাত্রের অনার্স শেষ করতে গড়ে ছয়/সাত বছর লেগে যায় যেখানে অনার্স কোর্সের মেয়াদ হলো চার বছর। এর ভুক্তভোগী আমি নিজেসহ দেশের লক্ষ লক্ষ ছাত্রছাত্রী। এটা বছরের পর বছর ধরে চলে আসছে।
ক্যাম্পাসে ছাত্ররানীতির নামে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ছাত্রদেরকে শিক্ষা জীবনেই বিভন্ন দলে বিভক্ত করে জাতিকে একটি অবিভক্ত শক্তি হিসেবে গড়ে ওঠার পরিবর্তে অংকুরেই বিভিন্ন ধারায় বিভক্ত করছে এবং জাতিগত বিভক্তি তৈরি করছে।
এখন সময় এসেছে ভেবে দেখবার আমাদের মতো একটি উন্নয়নশীল এবং গরীব দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে আসলেই ছাত্ররানীতির আদৌ কোন প্রয়োজ আছে কিনা। সরকার এবং বিরোধীলের কাছে আমার অনুরোধ জাতিকে আপনারা বহুভাবে বিভক্ত করেছেন, অন্তত: এই একটি ক্ষে্ত্রে আপনারা আমাদেরকে ছাড় দিন, ছাত্ররানীতির মতো একটি বিষবৃক্ষকে নিষিদ্ধ করে ক্যাম্পাসে সুষ্ঠু পড়াশুনার পরিবেশ তৈরি করুন। আমি মনেকরি আইন করে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করে দিতে হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস পরিচালনার জন্য আলাদা একটি আইন করা দরকার যেখানে কর্তৃপক্ষকে ক্ষমতা দেওয়া হবে ক্যাম্পাসকে সকল প্রকার রাজনৈতিক কার্যক্রম মুক্ত রাখার জন্য। ক্যাম্পাস হবে শুধুই পড়াশুনার জন্য, ছাত্ররাজনীতির নামে বিভীষিকাময় পরিবেশ তৈরির জন্য নয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।