সমাজকে বদলানোর জন্য নিজেকে আগে বদলানো প্রয়োজন। আসুন আমরা সবাই বদলে যাই সত্যের আলোয়।
সুত্রঃ গণভবনের সামনের রাস্তা থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা মহিলার পরিচয় পাওয়া গেছে। তার নাম আজমেরী বেগম (২৬)। হাসপাতালে জ্ঞান ফেরার পর তিনি জানান, স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে অপহরণ করে নির্মম নির্যাতন করে।
মারা গেছে ভেবে তাকে রাস্তায় ফেলে রাখে। সোমবার রাতে তাকে গণভবনের সামনের রাস্তা থেকে আশপাশের লোকজন অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
আহত আজমেরী জানান, ছয় বছর তিনি সৌদি আরবে ছিলেন। দুই বছর আগে দেশে ফেরেন। বিদেশে থেকে কষ্টার্জিত টাকা তিনি কামরাঙ্গিরচর এলাকায় জমি কিনতে চান।
এ সময় জমির দালাল রুবেলের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। একপর্যায়ে তারা প্রেম করে বিয়ে করেন। বিয়ের কিছুদিন পরই রুবেলের আসল পরিচয় বেরিয়ে আসে। রুবেল তার কাছ থেকে কৌশলে ৬ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। এরপরও সে টাকা চাইতে থাকে স্ত্রীর কাছে।
কিন্তু তার প্রতারণা বুঝতে পেরে আজমেরী আর টাকা দিতে রাজি হননি। এ কারণে বিভিন্ন সময় তার ওপর অমানুষিক নির্যাতন করত রুবেল ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন। কিছুদিন আগে আজমেরীকে নিয়ে রুবেল হাজারীবাগে শ্বশুরবাড়িতে নিয়ে রাখে। সোমবার সকালে শাশুড়ি খোরশেদা বেগম সুফিয়া, ননদ রুমা, ভাসুর মানিক ও রুবেল তাকে অমানুষিক নির্যাতন চালায়। আজমেরী বাসা থেকে বের হয়ে চকবাজার থানায় অভিযোগ দিতে যাচ্ছিলেন।
এ সময় তাকে রাস্তা থেকে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নেয়া হয়। মাইক্রোবাসের ভেতরে আজমেরীর মুখে বিষ ঢেলে দিয়ে তাকে মারধর করে। এতে তিনি অচেতন হয়ে পড়লে বিভিন্ন স্থানে ঘুরিয়ে রাতে মৃত ভেবে তারা রাস্তায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
সুত্রঃ
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।