ইমানের পরীক্ষা হয় সংকট কালে। ইমানের পরীক্ষা দিতে প্রস্তুত থাকুন।
আসলেই খবরটি পড়ে ব্যাপক মজা পেলাম। মানুষ তাহলে প্রতিবাদ করতে শিখেছে।
এটা কোন কথা হলো? টাকা নিবা।
মাগার বিদ্যুত দিবা না!
সারা দেশে এই ধরনের প্রতিবাদের ঝড় বয়ে যাক। শোষক শ্রেণী নিপাত যাক!
এবার আসুন আসল খবরটি পড়ি:রাজশাহী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও ও ভাঙচুর
যারা ব্রাউজ করতে চান না তাদের জন্য কপি-পেস্ট এখানে:
রাজশাহী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও ও ভাঙচুর
লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে এবং নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের দাবিতে আজ মঙ্গলবার রাজশাহীর বাগমারা, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা ও বাঞ্ছারামপুরে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কার্যালয়ে ভাঙচুর ও তালা লাগিয়ে দিয়েছেন বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা।
রাজশাহীর বাগমারা প্রতিনিধি জানান, বিদ্যুতের দাবিতে আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে রাজশাহীর বাগমারার ভবানীগঞ্জে ক্ষুব্ধ গ্রাহকেরা বিদ্যুৎ কার্যালয় ঘেরাও ও ভাঙচুর করেছেন। তাঁরা নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১-এর বাগমারা আঞ্চলিক কার্যালয়ে ভাঙচুর চালান। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে গ্রাহকেরা তাদের ওপরও চড়াও হন।
গ্রাহকদের হামলায় দুজন পুলিশ সদস্য আহত হন।
প্রত্যক্ষদর্শী, বিদ্যুৎ কার্যালয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গ্রাহকেরা সকাল সাড়ে নয়টার দিকে বিদ্যুতের বাগমারা আঞ্চলিক কার্যালয় ঘেরাও করে ভাঙচুর চালান। এ সময় তাঁরা বিদ্যুৎ কার্যালয়ের ট্রান্সফরমার, বৈদ্যুতিক মিটার, চারটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর এবং ফাইল ও কাগজপত্র তছনছ করেন। পুলিশের হস্তক্ষেপে সাড়ে ১০টার দিকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
গ্রাহকদের অভিযোগ, প্রতিদিন গড়ে ১৭-১৮ ঘণ্টা লোডশেডিং হয়।
গরমে জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। তাঁরা এর প্রতিকার চেয়ে বারবার বিদ্যুৎ কার্যালয়ে আবেদন জানালেও কোনো লাভ হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে আন্দোলন শুরু করেছেন।
বিদ্যুত্ কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) একরামুল হক জানান, এখানে সাত থেকে আট মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে, কিন্তু পাওয়া যায় মাত্র দেড় মেগাওয়াট। এই পরিমাণ বিদ্যুৎ দিয়ে গ্রাহকের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হয় না বলেই ঘন ঘন লোডশেডিং হচ্ছে।
বাগমারা থানার উপ-পরিদর্শক মাহবুব দুজন পুলিশ আহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তিনি এবং আরেক এসআই আশরাফুল ইসলাম আহত হয়েছেন।
কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি জানান, লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে এলাকাবাসী আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় পল্লী বিদ্যুতের আঞ্চলিক কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে দেন।
এলাকাবাসী জানান, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে কসবায় ব্যাপকভাবে লোডশেডিং দেখা দিয়েছে। প্রতিদিন গড়ে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা বিদ্যুত্ থাকে। এতে অতিষ্ঠ হয়ে এলাকাবাসী আজ কসবা পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে বন্ধ করে দেন।
এর আগে গত সপ্তাহে ওই অফিসের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) প্রকৌশলী মো. আলী হোসেনকে দুই ঘণ্টা অবরোধ করে রাখেন এলাকাবাসী। তিনি ওই সময় লোডশেডিং কমিয়ে আনার আশ্বাস দিলে এলাকাবাসী অবরোধ তুলে নেন।
কসবা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো. আলী হোসেন অতিরিক্ত লোডশেডিংয়ের কথা স্বীকার করে জানান, বিদ্যুৎ সরবরাহ আরও বাড়ানোর জন্য তিনি কুমিল্লায় বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগে বৈঠক করেছেন। তিনি তালা লাগানোর বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন বলে জানান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর প্রতিনিধি জানান, বিদ্যুতের দাবিতে বাঞ্ছারামপুর ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থীরা আজ বেলা একটার দিকে স্থানীয় পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কক্ষে ভাঙচুর করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাঞ্ছারামপুর ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থীরা বিদ্যুতের দাবিতে মিছিল নিয়ে উপজেলা সদরের জগন্নাথপুর গ্রামে পল্লী বিদ্যুত্ কার্যালয়ে আসেন। এলাকাবাসীও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগ দেন। তাঁরা অফিসের ভেতরে ঢুকে অফিসের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো. নাসিমুল ইসলামের কক্ষে ঢুকে টেবিল ও বেশকিছু আসবাবপত্র ভাঙচুর করেন। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
নাসিমুল ইসলাম বলেন, ‘আমার সঙ্গে কথা বলার জন্য কয়েকজন অফিসের মধ্যে আসেন।
তাঁরা আমাকে কার্যালয়ের বাইরে যেতে বলেন। আমি বাইরে না গেলে তাঁরা ভাঙচুর ও গালিগালাজ করেন। ’
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।