মূকাভিনয় শিল্পী (নিঃশব্দ কবিতার কবি ) পার্থ প্রতিম মজুমদার সংস্কৃতি বিষয়ে ফ্রান্সের সর্বোচ্চ পুরস্কারে ভূষিত
সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ফ্রান্স সরকারের শেভালিয়র (নাইট) উপাধি পেলেন বাংলাদেশের মূকাভিনয় শিল্পী পার্থ প্রতীম মজুমদার।
মাইমের জাদুকর নামে খ্যাত প্যারিসে বসবাসরত এই শিল্পী মঙ্গলবার টেলিফোনে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "আমি অভিভূত। এই পুরস্কার আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আরো উজ্জ্বল করবে। "
ফ্রান্সের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী ফ্রেডেরিক মিতেরাঁ আনুষ্ঠানিকভাবে পার্থকে 'অর্ডার ডি আর্টস এট ডি লেটার্স' এর শেভালিয়র খেতাব প্রাপ্তির কথা জানান।
শিল্প ও সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য ১৯৬৩ সাল থেকে এ উপাধি দিয়ে আসছে ফ্রান্সের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
পার্থই প্রথম বাংলাদেশি, যিনি এ সম্মান পেলেন।
১৯৫৪ সালে পাবনার কালাচাঁদপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন পার্থ প্রতীম মজুমদার। তার হাত ধরেই বাংলাদেশে পরিচিত হয়ে ওঠে মূকাভিনয়। বাংলাদেশ সরকার গত বছর এই শিল্পীকে একুশে পদকে ভূষিত করে।
মঞ্চের পাশাপাশি ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও কানাডার বিভিন্ন চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন পার্থ প্রতীম মজুমদার।
তার অভিনীত একটি ফরাসি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ২৬টি আর্ন্তজাতিক পুরস্কার পায়। প্যারিস, ফ্রাঙ্কফুর্ট, নিউ ইয়র্কসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তার মূকাভিনয়ের প্রদর্শনী হয়েছে।
ওয়েস্টোর্ন ইউনিয়ন, নাইকি, আইবিএম ও ম্যাকডোনাল্ডের মতো বিশ্বখ্যাত কোম্পনির পণ্যের প্রচারে মডেল হিসেবেও কাজ করেছেন এই বাংলাদেশি।
http://www.bdnews24.com/bangla/
প্যারিস-প্রবাসী বাংলাদেশি মূকাভিনয়শিল্পী পার্থপ্রতিম মজুমদার ফ্রান্স সরকারের দেওয়া সর্বোচ্চ পদক ‘নাইট ইন দ্য অর্ডার অব ফাইন আর্টস অ্যান্ড হিউম্যানিটিজ ’--এ ভূষিত হয়েছেন। চারুকলা এবং মানবতায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ তিনি এই পদক পেলেন।
ফ্রান্সের সংস্কৃতিমন্ত্রী ফ্রেদেরিক মিতেরাঁ ঢাকায় অবস্থানরত পার্থপ্রতিম মজুমদারকে এই পদকপ্রাপ্তির কথা জানান।
পার্থই প্রথম বাংলাদেশি যিনি ফ্রান্স সরকারের এই সর্বোচ্চ খেতাবে ভূষিত হলেন।
ফরাসী সংস্কৃতি ও তথ্য মন্ত্রণালয় অসামান্য সাহিত্য ও শিল্প-সৃজনী অথবা ফরাসী ও বিশ্ব-সংস্কৃতিতে অসামান্য অবদান রেখেছেন এমন ব্যক্তিবর্গকে এই পুরস্কারে সম্মানীত করে থাকে।
বাংলাদেশের মূকাভিনয় শিল্পে পার্থ প্রতিম মজুমদারকে একই সঙ্গে পুরোধা ও পথিকৃৎ বলে মনে করা হয়।
সর্বকালের সেরা ফরাসী মূকাভিনয় শিল্পী মার্শেল মার্সোর প্রিয় ছাত্র পার্থ বিশ্বের প্রায় সর্বত্র তার মূকাভিনয় পরিবেশন করে বাংলাদেশকে পরিচিত ও গৌরবান্বিত করেছেন।
বর্তমান পৃথিবীতে তাকে এখন মূকাভিনয়ের পুরোধা শিল্পীদের একজন বলে গণ্য করা হয়।
পার্থ ১৯৮১ সালে বাংলাদেশ থেকে ফ্রান্স সরকারের বৃত্তি নিয়ে মূকাভিনয়ের উপর পড়াশোনার জন্য ফ্রান্স যান। মার্শেল মার্সোর কাছে ১৯৮৩-৮৫ পর্যন্ত মূকাভিনয়ে দীক্ষা নেন। মার্সেল মার্সোই পুরো পৃথিবীতে মূকাভিনয়কে সেরা এক শিল্পমাধ্যম হিসেবে প্রতিষ্ঠা ও গরিমা দিয়েছেন।
এছাড়া তিনি ‘মাস্টার অব মাইম’ (ভারত); ‘মাস্টার অব দ্য ওয়ার্ল্ড’ (মালয়েশিয়া) পুরস্কার, ফ্রান্সের মলিয়ের পুরস্কারসহ বহু পুরস্কারে ভ’ষিত হয়েছেন।
এছাড়া বাংলাদেশে তিনি ‘‘একুশে পদক ২০১০’’ পেয়েছেন।
http://www.banglanews24.com
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।