ভুল করেছি,প্রায়শ্চিত্য করবো না, তা তো হয় না বাৎসরিক খেলাধুলার অনুষ্ঠান উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় অথরিটি ফরেন স্টুডেন্টদের অনুরোধ করেছে, প্রত্যেক দেশ থেকে একজন করে নিজ নিজ দেশের ট্রেডিশনাল ড্রেস পড়ে স্টেডিয়াম প্রদক্ষিন করতে হবে কুচকাওয়াজের তালে তালে. মুই তো বিপদে পড়িনু, আমার নাই লুঙ্গি! এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আমি একাই বাংলাদেশী, এখন আর কি করা... এই সিটিতেই অন্য একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজনরে জিগাইলাম.. ভাই লুঙ্গি আছে! কইল আছে, আহ.. জীবনডা বাঁচাইলেন. অতঃপর ফতুয়া আর লুঙ্গি পড়ে রুম থেকে বের হওয়ার সময় পড়লাম বিপদে, কোন পকেট নাই. চাবি, ওয়ালেট, মোবাইল কিভাবে নেই! তখন লুঙ্গির নিচে থ্রি quarter প্যান্ট পড়লাম মেরিকান আর অস্ট্রেলিয়ানদের দেখলাম, ওরা অনেক উন্নত দেশ হলেও একচুয়ালি ওদের কোন ঐতিহ্যগত পোশাক নাই. সামরিক কুচকাওয়াচের ফাইটার প্লেনের আদলে এই ইউনির ছাত্ররাই ৩টা খেলনা প্লেন বানাইছে, পেট্রোল চালিত রিমোট কন্ট্রোল সিস্টেমের প্লেন ৩টি স্টেডিয়াম জুড়ে ৩টি ভিন্ন রঙ্গের গ্যাস ছেড়ে মোহনীয় আবেশ তৈরী করলো, এছাড়াও মশাল জ্বালানোর সময় এ্যাপাচে হেলিকপ্টারের আদলে করা পেট্রোল চালিত রিমোট কন্ট্রোল সিস্টেমের ২টি কপ্টার রং ছুড়তে ছুড়তে torch কে চক্কর দিল. আমেরিকার মত চীনেরও নিজস্ব বানানো বোমারু বিমান আছে,একে বলে (চিয়েন আর-শি) 歼 20/ j-20, এছাড়া M-16 / AK-47 এর মত চীনের নিজস্ব বন্দুকের মডেল 81 杠 (পা-ইয়াও কাং). একটা জিনিস এতদিনে শিখলাম, দেশের বাইরে গেলে অবশ্যই লগে কয়েক পিচ ঐতিহ্যগত পোশাক এবং কচকচা বাংলা টাকা নেওয়া উচিত, অনেক ফরেনারের শখ ভিন দেশের মুদ্রা সংগ্রহ করা. আমাকে প্রায়ই লজ্জিত হতে হয় কারন আসার সময় আমি একটা বাংলা টাকাও নিয়ে আসি নাই.
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।