আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রাচীন গ্রিসের গানের মানুষ অর্ফিউস

বাংলার মাটি বাংলার জল, বাংলার বায়ু, বাংলার ফল, পুন্য হউক, পুন্য হউক, পুন্য হউক, হে ভগবান। বাংলার ঘর, বাংলার হাট, বাংলার বন, বাংলার মাঠ, পুর্ন হউক, পূর্ন হউক, পূর্ন হ্‌উক, হে ভগবান। রবীন্দ্রনাথ
অর্ফিউস। প্রাচীন গ্রিসের গানের মানুষ । আলোর দেবতা অ্যাপোলোর কাছ থেকে কিশোর বয়েসে একটি বীণা (Lyre) পেয়েছিলেন অর্ফিউস।

সে বীণার ঝংকারে বনাঞ্চলের বুনো জীবজন্তু গাছপালা ও ঝর্ণাধারা হয়ে উঠত মূখর। ঝর্ণাধারার কাছেই সুন্দরী বনপরীরা নাচতে নাচতে থমকে দাঁড়াত বীণার তরঙ্গাঘাতে। তবে প্রকৃত কবির মতোই দুঃখী ছিল অর্ফিউস-এর জীবন। প্রেয়সী বনপরী সেই ইউরিডাইস কে পেয়েও ধরে রাখতে পারেননি। অত্যন্ত নৃসংশ ভাবে খুন হন প্রতিদ্বন্দী ধর্মস¤প্রদায়ের হাতে! ... তবে আমাদের কাছে অর্ফিউস প্রাচীন গ্রিসের একজন অত্যন্ত প্রতিভাবান গানের মানুষ ... যে কারণে বাংলার অর্ফিউস নজরুল গভীর শ্রদ্ধায় তার ঋদ্ধ রচনাবলীতে স্মরণ করেছেন অর্ফিউস কে ... গ্রিক পুরাণে কাব্য, সঙ্গীত, নৃত্য, ইতিহাস এবং অন্যান্য বিদ্যার সংরক্ষয়িত্রী ও উৎসাহদাত্রী নয় জন দেবীর কথা বলা হয়েছে।

এরা সবাই জিউস-কন্যা এবং এরা ‘মিউজ’ নামে পরিচিত। এদের মধ্যে বয়সে বড়ো ও উল্লেখযোগ্য মিউজ হলেন ক্যালিওপি। ক্যালিওপি শব্দের মানে কিন্নরকন্ঠী কিংবা যার কন্ঠস্বর মধুক্ষরা । ক্যালিওলি হলেন মহাকাব্য ও বাগ্মীতার দেবী। ইউরোপীয় শিল্পীর আঁকা ক্যালিওপি।

আমরা একে অন্য এক ভূমিকায় একবার দেখেছি। ... সুদর্শন তরুণ অ্যাডোনিসকে নিয়ে দেবী আফ্রোদিতি ও পাতালের রানী পার্সিফোনে-র বিরোধ বেঁধেছিল। জিউস আসলে বিচারের ভার দিয়েছিলেন মিউজ ক্যাললিওপিকে। ক্যাললিওপির সন্তান অর্ফিউস। ক্যাললিওপির অন্যায্য বিচারের ফলে অর্ফিউস এর মৃত্যু ঘটেছিল।

কী ভাবে বলি। মিউজ ক্যাললিওপি এই রায় দিয়েছিল যে পার্সিফোনে ও আফ্রোদিতি বছরের অর্ধেক সময় করে অ্যাডোনিস এর সঙ্গে থাকবে। এই রায়ের ফলে আফ্রোদিতি ক্রোধে উন্মক্ত হয়ে যায়। প্রাচীন গ্রিসে সংগীতজ্ঞ, কবি ও পুরাণকার অর্ফিউস এর মা ছিলেন এই ক্যালিওপি। বাবা? কেউ বলে অর্ফিউস এর বাবা দেবতা অ্যাপোলো।

আবার কারও কারও মতে অর্ফিউস এর বাবা থ্রাসের রাজা ওয়েআগরাস। তবে অর্ফিউস বেড়ে উঠেছিল পিতৃভূমি থ্রাসে নয়, পিমপ্লেইয়া নামে এক নগরে ; জায়গাটা অলিম্পাস পাহাড়ের কাছে। অলিম্পাস পাহাড়ের অবস্থান গ্রিসের মূল ভূখন্ডের মাঝখানে। মানচিত্রে পিমপ্লেইয়া। পিমপ্লেইয়ায় বেড়ে ওঠায় অর্ফিউস এর বাবা হিসেবে দেবতা অ্যাপোলোই স্বীকার্য হন।

কেননা পিমপ্লেইয়া জায়গাটা গ্রিক দেবতাদের ‘থান’ অলিম্পাস পাহাড়ের কাছে। অর্ফিউস তখন কিশোর। একদিন। নিমগ্ন ভঙ্গিতে অরণ্য পথ ধরে হেঁটে যাচ্ছিল। সহসা সামনে এসে দাঁড়ালেন আলোর দেবতা অ্যাপোলো ।

দেবতা কিশোরের হাতে একটি বীণা তুলে দিয়ে বললেন, এটা তোমার জন্য। আমার জন্য? হ্যাঁ। তোমার জন্য। তুমি বাজাবে। আমি তো বীণা বাজাতে জানি না দেবতা।

একবার বীণার তারে আঙুল ছুঁইয়ে দেখই না। বলে দেবতা অ্যাপোলো অদৃশ্য হলেন। বীণা (Lyre) কিশোর একটা ওক গাছের নীচে বসল। বসে কোলে বীণা তুলে নিল। তারপর বীণার তারে আঙুর বোলাল।

অপূর্ব ঝংকার তুলল। বাতাস বইল। ওকতলার শুকনো পাতারা সরসর করে গড়িয়ে গেল। কিছু ওকপাতাও ঝরল যেন। কাছেই ছিল শাদা রঙের অ্যানিমোন ফুলের গাছ।

ফুলেরা ঝুঁকল মনে হল। আর একটা ঘুঘু পাখি উড়ে এল খুব কাছে ! কেন? কিশোর অর্ফিউস অচিরেই টের পেল পিতৃদেব আলোর দেবতার আর্শীবাদ। পিমপ্লেইয়া এখন । এককালে এখানেই কোথাও কেটেছিল অর্ফিউস এর শৈশব -কৈশর ও যৌবন। অর্ফিউস তখন তরুণ।

হঠাৎই একদিন শুনল যে স্বর্নমেষের চামড়া আনতে অভিযানে যাবে কয়েক জন বীর। তারা থেসালির পূর্ব তীর থেকে আর্গো জাহাজের পাল ওড়াবে। সেই আর্গো জাহাজের নেতৃত্বে দেবে বীর জেসন । অর্ফিউস ঠিক করল সেও অভিযানে যোগ দেবে । অর্ফিউস থেসালী পৌঁছল।

লক্ষ করুন পিমপ্লেইয়ার অবস্থান অর্ফিউস বীণা বাজাল। জাহাজ ছাড়ল। আর্গো জাহাজটি তিনটি রুক্ষ দ্বীপের পাশ দিয়ে যাবে। সে দ্বীপ তিনটির নাম: সাইরেনাম। ওখানে বাস করে সাইরেনরা।

সাইরেনরা অতি মধুর সুরে গান করে। সে সুরের ঐন্দ্রজালিক মায়ায় আচ্ছন্ন হয়ে জাহাজ সাইরেনাম এর পাথুরে উপকূলে ধাক্কা খেয়ে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। যাক। আর্গো জাহাজটি ভেসে চলেছে সাইরেনাম এর পাশ দিয়ে। অর্ফিউস শুনল সাইরেনদের সুরেলা গান সেই গানের চেয়েও শ্রুতিমধুর বীণা বাজাল অর্ফিউস আর আসন্ন ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা পেল আর্গো ... যাক।

স্বর্ণমেষের অভিযান শেষে পিমপ্লেইয়া ফিরে এল অর্ফিউস । একদিন। অরণ্য পথ ধরে যাচ্ছিল অর্ফিউস । নির্জন কোথাও বসে সংগীতসাধনা করবে। যতই প্রতিভা থাকুক, পরিশ্রমের বিকল্প নেই।

অর্ফিউস পাতাময় বনসড়কে মগ্ন হয়ে হাঁটছিল। হঠাৎই চোখ গেল অপূর্ব সুন্দর এক মেয়ের দিকে। এদিকেই আসছে। থমকে দাঁড়াল। কে এ দীর্ঘলকান্তি মেয়ে? স্বপ্ন দেখছি না তো।

জিগ্যেস না করে পারল না। তুমি কে গো মেয়ে? মেয়েটি আয়ত চোখে তাকাল। হাসল। কী ঝকঝকে দাঁত। মিষ্টি কন্ঠে বলল, আমার নাম ইউরিডাইস; আমি যে বনপরী হই।

ওহ্ । বনপরী ! এই সেই ইউরিডাইস .... ওক গাছের উপদেবী (nymph) ... অর্ফিউস বলল, তোমাকে তো অনেকে দেবতা অ্যাপোলোকন্যা বলেও মনে করে ইউরিডাইস। হ্যাঁ। ইউরিডাইস মাথা ঝাঁকাল। অর্ফিউস হেসে বলল, সূর্যদেব অ্যাপোলো আমারও পিতা; বাবাই তো আমাকে এই বীণা দিয়েছেন।

এই দেখ। বলে হাতের বীণাখানি দেখাল। ওহ্ । তাহলে আমরা ভাইবোন হই- কি বল? অর্ফিউস বলল। না! না! থ্রাসের রাজা ওয়েআগরাস তোমার পিতা হন।

ইউরিডাইস কাতর স্বরে বলে। তুমি কী ভাবে জানলে? আমি যে বনপরী হই। এসো এখন আমরা বনাঞ্চলে খেলা করি। পিমপ্লেইয়া সুন্দর দেশ। আমি স¤প্রতি এদেশে এসেছি।

আমি এখন দৌড় দেব। আমায় তুমি ধরো তো দেখি। বলে ইউরিডাইস পাতাময় বনসড়কে দৌড়ে যায়। খিলখিল করে হাসে। অর্ফিউসও দৌড় দেয়।

আর তারপর পাগলী বনপরীটির প্রেমে পড়ে যায় অর্ফিউস। ক্রমে সে প্রেম গভীর এক রূপ নেয়। একে অন্যকে ছাড়া এক মুহূর্তও থাকতে পারে না। তারা মনের সুখে কখনও চারণভূমির ওপর কখনও অরণ্যসড়কে দৌড়ে বেড়ায়। ইউরিডাইস ও অর্ফিউস ।

এই অমলিন মিলনের অনেক ছবি এঁকেছেন ইউরোপীয় শিল্পীরা। একদিন অর্ফিউস তার মা মিউজ ক্যালিওপি কে সব খুলে বলল। মিউজ ক্যালিওপী বললেন, প্রণয় আর জীবন হল একে অন্যের নিঃশ্বাস। আমি তোদের বিয়ের সব ব্যবস্থা করছি। বিয়ে হল।

ধূমধাম করেই হল। অনেক খানাপিনাও হল। পিমপ্লেইয়া নগর মূখরিত হল। বিয়ের পর আবার বনপথে সুখী যুগলের ছোটাছুটি শুরু হল। ইউরিডাইস ও অর্ফিউস কে নিয়ে আঁকা আরেকটি অসাধারণ ছবি।

কিন্তু এত সুখ কি সয়? মৌমাছির দেবতা অ্যারিষ্টিউস। একদিন বনপথে যাচ্ছিল ইউরিডাইস। কামতাড়িত হয়ে দূরাত্মা অ্যারিষ্টিউস ইউরিডাইস এর পিছু নিল । ইউরিডাইস সম্ভ্রম বাঁচানোর জন্য ছুটছে। ঝোপের ভিতরে ছিল সবজে রঙের একটি বিষময় সাপ ... ওকে কাটল! সে কালে মৃতদের চলে যেতে হত পাতালপুরীতে।

কাজেই মৃত্যুর পর ইউরিডাইস কেও পাতালে চলে যেতে হল। গ্রিক পুরাণে পাতালকে বলা হত: Hades. উচ্চারণ: হেইডিস; পাতালের অধিপতি দেবতাকেও বলা হত হেইডিস। অর্ফিউস শোকার্ত হয়ে উঠল এবং সে পাতালে গেল ইউরিডাইস কে ফিরিয়ে আনতে । পাতালপুরীর অধিপতি দেবতা হেইডিস-এর মুখ গম্ভীর। কি আর করে অর্ফিউস ।

বীণা বাজিয়ে গান গাইতে লাগল। বড় বিষন্ন, বড় সুন্দর সে গান। যাক। হেইডিস-এর পাষাণ হৃদয় গলল সুরের সুললিত তরঙ্গে। তিনি সম্মত হলেন যে ... শিগগির ইউরিডাইস পাতাল থেকে ফিরে যাবে ওপরের জীবিতদের জগতে।

তবে একটা শর্ত আছে। কি শর্ত? ইউরিডাইস কে নিয়ে যাওয়ার সময় অর্ফিউস যেন পিছন দিকে না তাকায়। তাইই সই। হায়। অর্ফিউসরা যখন ওপরে পৌঁছল ...তখন...তখন ... কী ভেবে হতভাগ্য অর্ফিউস একবার পিছন ফিরে তাকাল।

ইউরিডাইস পিছলে আবার পাতালে পড়ে গেল। অর্ফিউস দুঃখ গভীর কষ্টে জর্জরিত হল। তার জীবনধারা গেল বদলে। মেয়েদের এড়িয়ে চলল। মিনাদ দেরও এড়িয়ে চলল।

তো কারার মিনাদ? দিওনিসাস ছিলেন অর্ফিউস এর সময়ে গ্রিসের সুরার দেবতা। তার অনেক নারী ভক্ত ছিল। এদেরই বলা হত মিনাদ। যা হোক। প্রাত্যহিক জীবনের কাজকর্ম থেকে বিরত থাকল অর্ফিউস ।

একা একা বনের ভিতরে গাছের তলায় বসে বীণা বাজিয়ে বিরহের গান গায়। পাখিরা এসে শোনে। গাছের পাতা কাতর হয়ে ওঠে। সহসা একদিন বিপদ এল ঘনিয়ে। অর্ফিউস গাছতলায় বসে গান গাইছিল।

ইউরিডাইস এর জন্য মন ভীষণ খারাপ। কয়েক জন মিনাদ এসে দাঁড়াল। মিনাদরা ক্ষেপে ছিল;হয়তো সুরাসক্ত ছিল; উন্মাদিনীরা অর্ফিউসকে লক্ষ করে পাথর, গাছের ডাল ছুড়ে মারতে লাগল । অর্ফিউসের বীণার সুরে আচ্ছন্ন হয়ে পাথর-গাছের ডাল অর্ফিউস কে আঘাত করল না। মিনাদরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে অর্ফিউস কে আক্রমন করে টুকরো টুকরো করে ফেলে।

মাথা নদীতে ভেসে গেল। তখনও গাইছিল। মাথাটি লেসবস দ্বীপে ভিড়ল। যা হোক। এখন গ্রিক পুরাণ থেকে অর্ফিউসের অন্তিম মুহূর্ত সম্বন্ধে পাঠ করা যাক- It is said that when Orpheus finally met his death, the birds wept on the hillside.The trees shed their leaves and the nearby streams were swollen with their own tears. Orpheus' spirit went down to the Underworld and he soon found Eurydice. Although it is a shadowy existence the two walk together for eternity without fear of another separation. কিন্তু, মিনাদরা কেন অর্ফিউস কে আক্রমন করল? এর মূল কারণ গোষ্ঠীগত রেষারেষি।

ততদিনে গ্রিস জুড়ে অর্ফিউস কে ঘিরে গড়ে উঠেছিল Orphic religious cult। আর অর্ফিউসও একমাত্র সূর্যদেব (দেবতা অ্যাপোলো ) ছাড়া আর কাউকে কুর্নিশ করতে রাজী হয়নি। সুরার দেবতা দিওনিসাস তো নয়ই। এর কি কারণ? সুরাপানে নির্মল সংগীতের আবেদন ম্লান হয়ে যায় বলে? যা হোক ততদিনে দিওনিসাস পন্থী মিনাদরা আরেকটি স¤প্রদায় গড়ে তুলেছিল। আসলে একটি স¤প্রদায়ের প্রতি আনুগত্য পোষন করে উগ্র না হয়ে ওঠা বড়ই কঠিন।

কাজেই একটি গোষ্ঠী অন্য গোষ্ঠীকে সহ্য করবেই-বা কেন? এই ছবিই যেন ইতিহাসের অনিবার্য দৃশ্য। অন্য একটি ভাষ্যে রয়েছে অর্ফিউস ছিলেন মিশরীয় পুরোহিত। ক্রিটদ্বীপে এসেছিলেন। ওখানে দিওনিসাসপন্থী পুরোহিতরা অর্ফিউস কে কেটে টুকরো টুকরো করে ফেলেছিল। মনে থাকার কথা ... সুদর্শন তরুণ অ্যাডোনিসকে নিয়ে দেবী আফ্রোদিতি ও পাতালের রানী পার্সিফোনে-র বিরোধ বেঁধেছিল।

জিউস আসলে বিচারের ভার দিয়েছিলেন মিউজ ক্যাললিওপিকে। ক্যাললিওপির সন্তান অর্ফিউস। ক্যাললিওপির অন্যায্য বিচারের ফলে অর্ফিউস এর মৃত্যু ঘটেছিল। কী ভাবে বলি। মিউজ ক্যাললিওপি এই রায় দিয়েছিল যে পার্সিফোনে ও আফ্রোদিতি বছরের অর্ধেক সময় করে অ্যাডোনিস এর সঙ্গে থাকবে।

এই রায়ের ফলে আফ্রোদিতি ক্রোধে উন্মক্ত হয়ে যায়। তাহলে পুরাণ অনুযায়ী আফ্রোদিতি ক্রোধই ছিল অর্ফিউস এর মৃত্যুর কারণ। তার মানে ক্যাললিওপির একটি সিদ্ধান্তই তার সন্তানের মৃত্যুর কারণ? গ্রিক মিথ এভাবেই বিস্ময়কর ... ছবি: ইন্টারনেট। তথ্যসূত্র: প্রতীচ্য পুরাণ: ফরহাদ খান। এবং ইন্টারনেটে অর্ফিউস-সংক্রান্ত বিভিন্ন সাইট।


 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।