nothing special
পৃথিবী। ১০,০০০ বছর পূর্বে....…...আমাদের প্রাচীন পূর্বপুরুষরা আড়াই মিলিয়ন বছর ধরে গুহায় বসবাস করছিলেন। পাথরে পাথর ঘষে সময় অতিবাহিত করছিলেন। তারপর, হটাত করে সবকিছু পাল্টে গেল। এবং সারা পৃথিবীতে মানুষ আতিকায় সব দৈত্যাকৃতির ভাস্কর্য তৈরি করা শুরু করলো।
(যেমনঃ ) কিন্তু কিভাবে এবং কেন? এটা মানবের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় রহস্য। কিন্তু সবার জন্য নয়।
Chariots Of Gods গ্রন্থের লেখক Eric Von Danikan বলেন, - হাজার হাজার বছর আগে, যখন আমাদের পূর্বপুরুষরা ছিলেন প্রাচীন স্টোন এইজ মানুষ, তখন ভিনগ্রহের উন্নত বুদ্ধিমত্তার প্রাণীরা পৃথিবীতে এসেছিল।
একজন ইউফোলোজিস্ট বলেছেন- ‘প্রাচীন মানুষের এই ভাস্কর্য বানানোর না ছিল সেই বুদ্ধিমত্তা, না ছিল সেই প্রযুক্তি। তাই এটা তাদের দ্বারা অসম্ভব।
‘
সারা পৃথিবী জুরে আছে এমন বিশাল বিশাল পাথরের ভাস্কর্য। প্রায় সবাই জানে, তারা আমাদের প্রাচীন পূর্বপুরুষদের দ্বারা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু যদি এমন হয়, তাদের সবার ধারনা ভুল?
সাধারন ইতিহাসের বইয়ের মতে, পিরামিড এবং স্টোনহেঞ্জ এর মতো কীর্তিগুলো
মানব প্রকৌশলের সাফল্য। যা আমাদের সভ্যতার সূচনাকে চিহ্নিত করে রেখেছে।
কিন্তু আদৌ কি তাই? মানুষ পৃথিবীতে আছে কমপক্ষে ১০০ হাজার বছরের মতো।
আর মাত্র কয়েক হাজার বছর আগে তারা গুহা থেকে বের হয়ে এসেই এত বড় বড় ভাস্কর্য বানিয়ে ফেললো? তাই এখানে রহস্য থেকে যায়, কিভাবে তারা এতো বড় বড় পাথরের ভাস্কর্য বানালো এবং কেন? বিজ্ঞানীরা এটা নিয়ে ধাঁধার মধ্যে আছে। আজ পর্যন্ত এটার কোণ ব্যাখ্যা বিজ্ঞানীরা দিতে পারেনি।
ইউফোলজিস্টরা বিশ্বাস করেন, অতীতে এলিয়েনরা পৃথিবীতে তাদের Super Advanced Technology নিয়ে এসেছিল এবং পিরামিডের মতো অন্যান্য ভাস্কর্যগুলো বানিয়ে আমাদের
অতীত সভ্যতার দ্বার খুলে বর্তমান সভ্যতার জন্য একটি চিন্তার বীজ বপন করে রেখে গিয়েছিল।
প্রাচীন এই ভাস্কর্যগুলোর অনেকগুলোর মধ্যে একেকটা পাথরের ওজন ৫০-৭০ টনেরও বেশি। এবং বেসির ভাগ ক্ষেত্রে এদের আনা হয়েছে এক থেকে দেড়শ মাইল দূর থেকে।
কোণ কোন ক্ষেত্রে চার-সারে চারশো মাইল দূর থেকে। টেকনাফ থেকে তেতুলিয়ার দূরত্বও চারশো মাইল না। প্রশ্ন হচ্ছে, প্রাচীন মানুষরা যারা কোণ Howard University গ্র্যাজুয়েট না, তাদের মাথায় এমন চিন্তা আসলো কিভাবে? আর কোণ প্রযুক্তির মাধ্যমে তারা এই অসাধ্য সাধন করলো? আর কেনইবা?
ইংল্যান্ডের Stonehenge এর কথাই ধরি। কিভাবে Bronze Age ব্রিটিশরা ৫ টনেরও বেশি ওজনের একেকটা পাথর ২৭০ মাইল দূর থেকে নিয়ে আসলো? তারপর আসে সবচেয়ে বড় ধাঁধা। মিসরের পিরামিড।
The biggest one required 2 and half million box of stones. যা বানাতে মাত্র বিশ বছর সময় লেগেছে। যা জ্যামিতিক ভাবে চিন্তা করলে আশ্চর্য হতে হয়। তারপর আসে পিরামিডের মমি। যা আজকে জানিয়ারি ৩০, ২০১৩ তে পৃথিবীর সবচে বড় বড় ক্যামিস্টের পক্ষেও সম্ভব না কোণ প্রযুক্তি ছাড়া একটা মৃতদেহকে হাজার হাজার বছর সংরক্ষন করা। আধুনিক যুগে ফ্রিজের ভিতরে বিজ্ঞানীরা মৃতদেহ সংরক্ষন করে।
কিন্তু যদি বিদ্যুৎ না থাকে, তাহলে সেটা কয়েকদিন থাকবে, পরে পচে যাবে। আর পিরামিড, যেটা আধুনিক বিশ্বের অর্থাৎ আজকের দিনের যে i-technology-র পৃথিবীর, সমস্ত পৃথিবীর সমস্ত ভারি-ভারি যন্ত্রপাতি দিয়েও হয়ত এমন একটা পিরামিড তৈরি করতে পারবেনা। আর যদিও পারে, তা ২০ বছরে সম্ভব হবেনা। তাও যদি বা সম্ভব হয়, সেই সৃষ্টি হবে পূর্ববর্তী পিরামিডের নকল। কিন্তু তারা তো আমাদের নকল করে বানায় নি।
তারা একটা অভিনব সৃষ্টি করেছে। তাছারাও বাগদাদে পাওয়া গেছে এক ধরনের পট/ছোট মাটির মাত্র, যা কিনা আধুনিক যুগের ব্যাটারির অবিকল। শুধুমাত্র ভিনেগার ঢেলে এক বিজ্ঞানী তাতে উৎপাদন করেছেন ২০ ভোল্ট কারেন্ট। আর পিরামিডের ভিতরে দেয়ালের গায়ে আঁকা আছে হেলিকপ্টার। কিন্তু এই মহান জ্ঞ্যান সেই গুহা থেকে সদ্য আগত অসভ্য মানুষদের মাথায় কিভাবে আসলো? তিন হাজার বছর আগের মানুষ এই জ্ঞ্যান কোথা থেকে পেল?
তার এক মাত্র উত্তর এটাই হয়ত হতে পারে।
এলিয়েন ভিজিটেসন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।