সন্তানের শরীরে বার্ধক্যের বিভিন্ন চিহ্ন কত দ্রুত দেখা দেবে, তা নির্ধারণে মায়ের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়ার জন্য দায়ী একটি বিশেষ জিন কেবল মায়ের কাছ থেকেই সন্তানের শরীরে প্রবাহিত হয়ে জিনগত পরিবর্তন ঘটায়। সুইডেন ও জার্মানির একদল গবেষক এ দাবি করেছেন।
গবেষকেরা ইঁদুরের ওপর বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়েছেন। স্টকহোমের ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউট এবং কোলনের ম্যাক্স প্ল্যাংক ইনস্টিটিউট অব অ্যাজিংয়ের অধ্যাপক নিলস-গোরান লারসন বলেন, মায়ের কাছ থেকে পরবর্তী প্রজন্মে প্রবাহিত বিশেষ ডিএনএ বার্ধক্য ত্বরান্বিত করতে পারে।
দেহকোষের মাইটোকন্ড্রিয়ায় ডিএনএ যদি মায়ের কাছ থেকে আসে, তাহলেই দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়ার ব্যাপারটি ঘটে।
নেচার সাময়িকীতে এ গবেষণার বিস্তারিত বিবরণ প্রকাশিত হয়েছে। তবে বার্ধক্য ত্বরান্বিত হওয়ার কারণ নির্ধারণে এ গবেষণাই চূড়ান্ত নয়। অধ্যাপক লারসন বলেন, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়ার জন্য কেবল একটি প্রক্রিয়া দায়ী হতে পারে না। তবে তাঁরা অকাল বার্ধক্যের জন্য দায়ী একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান নিয়ে কাজ করছেন।
লারসনের সহযোগী গবেষক বেরি হফার বলেন, মানুষের বার্ধক্য বিলম্বিত করার উপায় বের করতে তাঁদের এ গবেষণা সহায়ক হতে পারে। ইনডিপেনডেন্ট। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।