আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ত্বক বুড়িয়ে যাওয়ার পাঁচটি লক্ষণ ও প্রতিকার

বয়সের সঙ্গে সঙ্গে তারুণ্য ধরে রাখার লড়াইটা আজকের নয়। মেরিলিন মনরোর নামটি শোবিজ জগতের কারোরই বোধহয় অজানা নয়। বৃদ্ধ বয়সেও তার টানা চিকচিকে ত্বক অনেকেরই ঈর্ষার খোরাক জোগাত। আবার বয়স ৩০ পার না হতেই অনেককেই বুড়িয়ে যেতে দেখা যায়। অনেকে এ নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় মাথার চুল পাকিয়ে ফেললেও মেলে না সমাধান।

ত্বক বুড়িয়ে যাওয়ার পেছনে বয়স একটা বড় ফ্যাক্টর। বয়সকে সময়ের ফ্রেমে বাঁধা না গেলেও কিছু নিয়ম-কানুন আর খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তনে ত্বকের তারুণ্যকে কিন্তু ঠিকই ধরে রাখা যায় অনেকদিন।

শুধুমাত্র বয়সের কারণেই যে ত্বক বুড়িয়ে যায় তা নয়। ত্বকের তারুণ্য হারিয়ে যাওয়ার পেছনে থাকে অনেক কারণ। রুদ্র আবহাওয়া, ত্বকের সঠিক যত্ন না নেওয়া, সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনী রশ্মি, সঠিক খাদ্যাভ্যাসের অভাব, নিজের কিছু বাজে অভ্যাস, অতিরিক্ত চা/কফি পান, ধূমপান এবং মদ্যপানের অভ্যাসের কারণে খুব সহজেই তারুণ্য হারায় ত্বক।

ত্বকে দেখা দেয় অকাল বার্ধক্য।

ত্বকের এই অল্প বয়সেই তারুণ্য হারানো প্রতিরোধ এবং প্রতিকার করা যেতে পারে খুব সহজেই। তবে আগে জানতে হবে ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়ার লক্ষণগুলোকে। এতে করে যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা গেলেই প্রতিকারের ব্যবস্থা নিলে অল্প বয়সে ত্বককে তারুণ্য হারানোর হাত থেকে রক্ষা করা যেতে পারে। তাহলে জেনে নিন সেই লক্ষণগুলোকে যাতে আপনি বুঝতে পারেন ত্বক হারাচ্ছে তার বয়স।

ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া

ত্বকের তারুণ্য হারাবার প্রথম ও প্রধান লক্ষণ হচ্ছে ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া। শুষ্ক ত্বক প্রাণহীন লাগে দেখতে। ত্বকে থাকে না দীপ্তি। শুষ্ক ত্বকে খুব দ্রুতই চোখের পাশে রিঙ্কেল দেখা দেয়। তাই ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া শুরু করলেই নিতে হবে বিশেষ পদক্ষেপ।

প্রচুর পরিমাণ পানি পান করতে হবে। ময়েসচারাইজার ব্যবহার করতে হবে নিয়মিত। বেশি বেশি খেতে হবে ভিটামিন ই ও ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবার।

কালো ছোপ

ত্বক তারুণ্য হারাতে শুরু করলে ত্বকের ওপরে পড়ে কালো কালো ছোপ। বিশেষ করে মুখের দুই পাশে, গালে এবং কপালে এই ধরণের ছোপ ছোপ দাগ দেখা যায়।

কালো কালো ছোপ পড়ার প্রধান কারণ সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মি। এক্ষেত্রে অবশ্যই সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। ২০++ এসপিএফ মাত্রার সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উত্তম। কালো ছোপ দূর করার জন্য ফেসিয়াল করা শুরু করা উচিৎ। চাইলে ব্লিচও করতে পারেন।

চামড়া ঝুলে পড়া

ত্বকে বয়সের ছাপের আরেকটি লক্ষণ হচ্ছে চামড়ার ইলাস্টিসিটি হারানো। ত্বকের নিচের শিরা উপশিরায় রক্ত সঞ্চালন কমে আসলে ত্বক তার ইলাস্টিসিটি হারায়। ফলে চামড়া ঝুলে যায়। ত্বকের ইলাস্টিসিটি ফিরিয়ে আনার জন্য রক্ত সঞ্চালন অতি জরুরী। মুখে কিছুটা বিউটি অয়েল দিয়ে ম্যাসাজ করলে ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বাড়ে।

প্রচুর পরিমানে পানি পান করতে হবে। হারবাল চা পান করুন। ব্রকলি ও গাজর ত্বকের ইলাস্টিসিটি বাড়াতে সাহায্য করবে।

লাইন এবং রিঙ্কেল

বয়সের কারণে ত্বকের লাইন এবং রিঙ্কেল দেখা যায়। কিন্তু লাইন এবং রিঙ্কেলের জন্য দায়ী ধূমপান ও মদ্যপান।

চোখের আশে পাশে, কপালে, মুখের চারদিকে বয়সের কারণে লাইন এবং রিঙ্কেল দেখা যায়। ত্বকের তারুণ্য হারানোর জন্য এগুলো অনেক বেশি দায়ী।

এ থেকে পরিত্রান পেতে অতি সত্বর ধূমপান ও মদ্যপান ত্যাগ করুণ। ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ খাবার খান। মাছ, সবুজ শাকসবজি খাবেন।

ত্বকে নিয়মিত সানস্ক্রিন ও ময়েসচারাইজার লাগাবেন।

ত্বকে ছোট ছোট গর্ত তৈরি হওয়া

ত্বক বুড়িয়ে যাওয়ার কারণে ত্বকে ছোট ছোট গর্ত তৈরি হয়। একে ওপেন পোরস বলে। বিশেষ করে নাক ও নাকের পাশের ত্বকে এই ধরণের গর্ত দেখা যায়।

টমেটোর রস, মুলতানি মাটি প্রলেপ, ডিমের সাদা অংশ এ সবই ত্বকে ছোট ছোট গর্ত বন্ধ করতে সাহায্য করে।

ত্বকের এই ধরণের জন্য ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবারও অনেক বেশি কার্যকরী। হলুদ ফলমূল এবং পানি খাওয়া খুব জরুরী।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।