বাংলায় কথা বলি,বাংলায় লিখন লিখি, বাংলায় চিন্তা করি, বাংলায় স্বপ্ন দেখি। আমার অস্তিত্ব জুড়ে বাংলা ভাষা, বাংলাদেশ।
প্রশ্নপত্র ছাপাখানায় পাঠানোর আগে একবার দেখা উচিত। কম্পোজ করার পর প্রুফ দেখা উচিত। এসবের কিছুই তো মনে করা হয়নি।
তাই প্রিলিমিনারী পরীক্ষায় জগাখিচুরী অবস্থা হয়ে গেছে। এখন কাজ যেটা করা হবে তা হলো--- সবাইকে ভুল প্রশ্নগুলোর জন্য গণহারে নম্বর প্রদান করা। সবাই বোনাস নম্বর পাবে এই আর কি।
পরীক্ষার্থী কামরুল হাসান, তারাজুল ইসলামসহ কয়েকজন বলেন, ‘বিসিএসের মতো একটি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে এত ভুল কীভাবে হয়? প্রশ্নপত্র প্রণয়নের পর কেউ কি তা দেখেননি? এই ভুলের দায় কে নেবে?’
বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের (বিপিএসসি) পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) আ ই ম নেছার উদ্দিন বলেন, পরীক্ষা চলাকালে কয়েকটি কেন্দ্র থেকে দু-একটি ভুলের ব্যাপারে তাঁদের জানানো হয়। তাঁরা এ ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক সমাধান দিয়ে দেন।
তবে এত ভুলের কথা তাঁদের জানা ছিল না। আদৌ সেগুলো ভুল কি না, রোববার কমিশনে তা জানানো হবে।
পিএসসির চেয়ারম্যান সা’দত হুসেইন বলেন, ‘অনেক বড় বড় মানুষ প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও যাচাই করেছেন। আমি আগে প্রশ্নপত্র দেখিনি। কাজেই এ বিষয়ে বলা সম্ভব নয়।
’ সমাধান কী হবে জানতে চাইলে পিএসসির চেয়ারম্যান বলেন, অতীতেও দু-একটি ভুল হয়েছে। ১০০ নম্বরের প্রশ্নে দুটি ভুল থাকলে সে ক্ষেত্রে ৯৮ নম্বর ধরে একজন প্রার্থী যা পেয়েছেন, সেটিকে ১০০-তে উন্নীত করা হয়েছে। এবারও প্রার্থীদের যাতে কোনো ক্ষতি না হয়, তা বিবেচনায় রেখে সমাধান বের করা হবে। কাল রোববার কমিশনের সব সদস্যকে নিয়ে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
চলতি বছরের ৯ মার্চ ৩০তম বিসিএস পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
এবার সাধারণ ক্যাডারে ৮৩১টি, প্রফেশনাল ক্যাডারে এক হাজার ৬৮৫টি এবং বিষয়ভিত্তিক ক্যাডারে ৫৬টি পদ রয়েছে। প্রায় দেড় লাখ পরীক্ষার্থী এ পরীক্ষায় অংশ নেন।
আলেকজান্ডার বলেছিলেন,"সেলুকাস, কি বিচিত্র এই দেশ!" তিনি হাজার বছর আগে কি করে জানলেন এই দেশের বিত্রিতা!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।