লেখা লেখি সহজ কথা নয়। অনেকবার চেষ্টা করেছি কিন্তু যতবারই চেষ্টা করেছি ততবারই ফেল মেরেছি। কিন্তু হাল ছাড়িনি। এই ব্লগ ফোরামে এসে সাইন ইন করতে এসে প্রথমেই একটা ধাক্কা খেলাম সেটা হল আমি যে আই ডি নিয়ে নেট এ ঘোরা ফেরা করি সেই আই ডি টা অলরেডি টেকেন বাই সামওয়ান এ
এই লেখা পড়ার পর হয়ত অনেকেই মাইনাস দেবেন বিচিত্র কিছু না। কিন্তু কলম যখন তুলে ধরেছি তখন ত আর ভয় পেলে চলবে না।
আমাদের জাতীয় লোকদের মানে যাদের গলাবাজি আর পেশিশক্তি অভাব রয়েছে, অভাব রয়েছে ব্ড় বড় পজিশনে মামা কাকার তাদের জন্য কলম ছাড়া আর কোন অস্ত্র আছে কি না আমি জানিনা। ওফ হো এখন ত কলম বলা যাবে না এখন ত আমি কম্পিউটারের কি বোর্ডে লিখি। খিকয!! যাই হোক আপনাদের সবারই মনে আছে চার দলীয় জোট সরকারের আমলে কিছু কিছু ইউনিভার্সিটি নিম্ন মানের কারনে বন্ধ করে দেয়া হয়। প্রথমে কিছু কিছু ইউনিভার্সিটি ব্ল্যাক লিস্টেড করা হয়। তার পর সেখান থেকে রাজনৈতিক তদবীর করে ও টাকা পয়সা ঢেলে কিছু ইউনিভার্সিটি পার পেয়ে যায়।
কিন্তু দুর্ভাগ্য কেন জানি আমাদের ইউনিক(দি ইউনিভার্সিটি অফ কুমিল্লা) যার দুটো ক্যাম্পাস ছিল। একটা ছিল ঢাকার ধানমন্ডিতে আরেকটা ছিল কুমিল্লার হাউজিং এস্টেট এ। এই ইউনিভার্সিটি ক্লোজ করে দেয়া হয়। আমাদের ইউনিভার্সিটির ভি সি ছিল শ্রদ্ধেয় শামসুল হকা (ঢাকা ইউনিভার্সিটির প্রাক্তন ভিসি) যিনি আমার বাবার সরাসরি শিক্ষক ছিলেন। মুলতঃ তাকে দেখেই বাবা আমাকে তার শিক্ষক জীবনের সমস্ত পুজি বাজি রেখে সেই ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি করান, আরেকটা কারন ও ছিল সেটা হচ্ছে কুমিল্লাতে থাকলে তার চোখের সামনে থাকব।
নষ্ট হয়ে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। একটা ইউনিভার্সিটি ভাল না খারাপ তার মান বুঝা যাবে সেখান থেকে পাশ করে বের হয়ে আসা ছাত্রদের কোয়ালিটির উপর। সমস্ত কতৃপক্ষকে অনুরোধ করব আপনারা খোজ খবর নিয়ে দেখুন অন্যান্য প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির ছাত্ররা পাস করে বের হয়ে কি করছে আর আমাদের ছাত্ররা কি করছে? বাজি রেখে বলতে পারব আমরা সংখ্যায় কম হতে পারি কিন্তু সাফল্যে অনেক ইউনির ছাত্রদের ছাড়িয়ে গেছি। নকল করে পাশ করিনি তবু হাতে মুল সার্টিফিকেট হাতে নেই। অনেক কিছু শিখে ও আমরা ইউনিভার্সিটির কারনে পিছিয়ে গেছি।
যখন ইউনিভার্সিটি ক্লোজ করা হল। তখন কি আমাদের কথা একবার ও চিন্তা করেনি সরকার। মাননীয় সরকার আপনাদের অনুমোদন দেয়া আছে দেখেই আমরা কোন ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হই। কিন্তু তারপর যখন ইউনিভার্সিটি ক্লোজ করা হয় তখন আমাদের কোনো গতির ব্যবস্থা করা হয়না। এমন কি আমাদের মার্কশীট এবং ফলাফলের কাগজগুলোর কোনো কপি ইউ জি সি র কাছে নেই।
যেই লোক আমাদের রেজাল্ট শীট তৈরী করত সে সবগুলো জিনিস যক্ষের ধনের মত আকড়ে ধরে বসে আছে তার বাড়িতে। প্রায় সময় ফোনে কথা হলে উনি বলেন তোমরা ত এখন চাকুরী কর। তোমরা কিছু একটা কর এইটা নিয়ে। এতগুলো ছেলে মেয়ের কাগজ পত্র নিয়ে আমি খুব টেনশনে আছি। তাজুল ভাই আপনি একজন সাধারন মানুষ হয়ে আমাদের জন্য যে ভাবনাটা ভাবলেন এই ভাবনাটা বিগত সরকার ভাবেনি এবং এই সরকার ও ভাবছে না।
কিছু সংখ্যক অসাধু ছাত্র ছাত্রী ভুয়া কাগজ বানিয়ে আমাদের ইউনিভার্সিটিকে বদনাম করছে। আমাদেরকে কিছু করতে বলছেন কিই বা করতে পারি আমরা? অধিকাংশ ছাত্র ছাত্রী এখন দেশের বাইরে। যারা দেশে আছে তারা ইউনাইটেড হচ্ছে না। কারন অধিকাংশ ছাত্র ছাত্রী তাদের মাষ্টার্স কমপ্লিট করেছে ঢাকা ইউনিভার্সিটি থেকে। ভাল পজিশনে চাকুরী করছে।
সুতরাং ব্যপারটা ধামাচাপা পড়েই আছে। আমি জানি না এই সাইট এ কোনো সরকারী মন্ত্রী আমলারা ঢুকেন কিনা! এই সাইটের মাধ্যমে আমি তাদের কানে দিতে চাই এই ভাবে কয়েকশ ছাত্রকে আর কত দিন বুকের কষ্ট চেপে জীবন ধারন করতে হবে? ইউ জি সির প্রতি আবেদন রইল যে ছাত্র ছাত্রীদের কাগজ পত্র গুলো সংরক্ষন করুন। এইগুলো আমদের ভবিষ্যত!! আমাদের মামা কাকা নেই। কিন্তু মনুষ্যত্ব আছে। আছে মাথা উচু করে বাচার স্বপ্ন! এইভাবে অপমানের বোঝা ঘাড়ে নিয়ে আর কতদিন পথ চলতে হবে? অতি সত্বর মুল সার্টিফিকেট দেয়ার ব্যবস্থা করুন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।