আমার চোখে ঠোটে গালে তুমি লেগে আছো !!
নির্বাচন নিয়ে কত লেখাই না পড়তেছি । বিএনপি আওয়ামীলীগ আম জনতা সবার লেখাই পড়তাছি বেশ মজা লাগতাছে । তবে কারও কারো লেখা পড়ে বেশ কৌতুক বোধ হচ্ছে !
এক টাইপের লেখা দেখে মনে হচ্ছে যারা এই নির্বাচনের বিপক্ষে তারা সব রাজাকার কিংবা বিএনপির পক্ষে ! একজন হিসাব দেখাইলো মুক্তিযুদ্ধের সময় লোকসংখ্যা ছিল সাত কোটি এক তার ভিতর দুই আড়াইলাখের মত মুক্তি যুদ্ধে সক্তিয় ভাবে অংশ গ্রহন করেছে ! আরও বেশ কিছু হিসাব দেখাইলো । এই ভোট কে আবার কেউ কেউ যদ্ধের সাথে মিলাইতাছেন । আরও কেউ দেখলাম আরও কত ভাবে এই নির্বাচন কে বৈধ করার চেষ্টা করতেছে !
করবেই যাদের যেই টা কাজ ?
আচ্ছা নিজেদের কাছে প্রশ্ন করে দেখেন তো আসলেই কি এটা কোন নির্বাচন হয়েছে ? তারপর সব থেকে হাস্যকর যেটা লাগতেছে সেটা হল আপনি যদি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি হন তাহলে এই ভোট কে বৈধতা দিতে হবে !
চিল ম্যান ?
এই একটা জিনিস নিয়া আর কত ব্যাবসা করবেন ?
আপনাদের কারনে মানুষ জন আমাদের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কিছু বলার সাহস পায় ! কেবল আপনারা যারা এটা নিয়ে ব্যাবসা করেন তাদএর জন্য !
একটা কথা বলেন তো ! কেবল কিছু পাকি জারজ বাদ দিয়ে দেশের এমন একটা মানুষ কি পাওয়া যাবে যারা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে কথা বলে ?
পাবেন খুজে ?
প্রত্যেকটা সাধারন মানুষ যাদের সংখ্যাই বেশি এই দেশে তারা সবাই আমাদের মুক্তিযুদ্ধকে বুকে নিয়ে থাকে !
তার মানে কি ? এরা যদি এই নির্বাচন কে বৈধ বলে মেনে না নেয় তারা রাজাকারের পক্ষে চলে গেল ?
আপনারা মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফাইড পক্ষের শক্তি তার মানে হল আপনারা যা করবেন তাই ঠিক ? নিজের মনের কাছে প্রশ্ন করে দেখেন !
আপনার নিজের মন বলছি ! দলকানার মন বলি নাই !
যদি এমন হয়ে থাকে তাহলে সামনে এমন দিন আসতে বাকি নাই যেখানে আপনাদের দলের লোক খুন করবে তারপর আপনার জোর গলায় বলবেন আমরা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি আপন যদি এই খুনের বিচার চান তাহলে আপনি রাজাকার ! আসবে ! অবশ্যই এমন দিন আসবে বলে দিলাম !
এই কথা সত্য আপনারা রজাকারের বিচার করছেন ! এই কথাও সত্যও যে আপনাদের আমলে দেশে অন্য যে কোন সরকারের আমলের চেয়েও দেশি বেশি উন্নয়েন হয়েছে এই কথাও সত্য যে দেশের উন্নয়ের জন্য কিংবা রাজাকারের বিচার কার্য চালিয়ে আপনাদের আবার ক্ষমতায় আনা জরূরি তার মানে কি এই এই ঝুড়িবীহিন হাস্যকর নির্বাচন করতে হবে ? যেখানে ১৫৩ টা আসনের ফল নির্বাচনের আগেই ফল নির্ধারন হয়ে গেছে সেটা কে নির্বাচন আপনি বলতে পারেন আমরা অন্তত আমি বলতে পারি না ।
আমার ব্যাপারে যা ইচ্ছে ভাবতে পারেন আমার কিছু যায় আছে না । রাজাকারের ফাঁসির ব্যবস্থা করার জন্য সারা জীবন আপনাদের প্রতি সমর্থন থাকবে, সারা জীবন দেশের মানুষ আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ থাকবে তার মানে কিন্তু এই না যে আপনারা যা করবেন, যে অন্যায়ই করবেন তাতেই সবাই সমর্থন দিবে ।
এবার আসি আরেক দলের কথায় ! বড় হাস্যকর সেই দল ! আমি ২৫ বছরের দেখা জীবনে এর থেকে বড় হাস্যকর দল আমি দেখি নি ! এই দলের বড় নেতে বিদেশে বসে দেশের মানুষকে বার্তা পাঠায় আন্দোলন করতে । নিজে নিরাপদে থেকে কর্মীদের কে বলে যাও পুলিশের গুলি খাও ! যাও দেশের জন্য মর । তারপর তার যে ডেপুটি গুলা আছে তারাও কম যায় না ।
তারাও অজ্ঞাত স্থান থেকে ভিডিও বার্তা পাঠাও ! ভিডিও বার্তায় বলে তোমরা পুলিশের গুলি সামলাও আমি সরকারের ভাইরাস এটাক ঠেকাইতেছি । এই হল আন্দোলন । আরেক শ্রেনী আছে তারাও গেছে একদম বড় নেতা এবং ডেপুটি নেতার চরিত্রে । এদের বেশির ভাগ আন্দোলন করে ফেসবুকে । পুলিশ তাদের উপর গুলি চালায় এরা ফেবুকে স্টাটাস দেয় ।
পুলিশ তাদের ধরে নিয়ে যায় এরা ফেসবুকে আন্দোলনের ডাক দেয় । এমন কি যখন এদের নেত্রীকে বন্দী করে রাখে তখনও ...... তখনও এরা ফেসবুকে স্টাটাস দেয় । একটা কথা বলি যদি আপনাদের বিরোধীপক্ষের নেত্রীকে এভাবে আপনারা আটকে রাখতেন তাহলে তারা কি করতো একবার ভেবে দেখেছেন ? আপনারা তো ভাববেন না আপনারা তো স্টেটাসের উপ্রে আছেন । স্টাটাস দিয়েই সরকার পতন করাই ফেলাবেন ! এর পর দেখবেন সরকার ক্ষমতায় বসে যবে আপনারা এই স্টাটাসই দিয়ে যাবেন । সত্যি বলতেছি ।
সরকার জোর করে ক্ষমতায় বসবে আপনাদের নেতা বিদেশ ভিডিও বার্তা পাঠাবে । ডেপুটিরা গোপন স্থান থেকে ভিডিও পাঠাবে । আর আপনারা দিবেন স্টাটাস !
আর আপনাদের হয়ে, আপনাদের নাম করে জ্বলাও পোড়াও করবে কিছু পাকি কুকুরের দল ।
আজকে আরেকজনের স্টাটাস দেখলাম লিখলে তাদের নেত্রীর ডাকে নাকি দেশের মানুষ ভোট কেন্দ্রে যায় নাই । মানুষ ভোট কেন্দ্রে যায় নাই সত্য কিন্তু আপনাদের নেত্রীর ডাকে ?
হা হা হা !
আপনাদের নেত্রীর ডাকে দলীয় লোক ছাড়া আর কেউ আসে বলে মনে হয় ? যদি আপনার নেত্রীর ডাকে দেশের লোক আসতো তাহলে কবেই সরকার পতন হয়ে যেত ।
শুনেন তারা যেমন জনগনের ভোটাধিকার হরন করেছে, ঠিক একইভাবে আপনারাও জনগনের নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করার সুযোগ হরন করেছে জ্বলাও পোড়াও করে ! বুঝেছেন ? তারা এই সুযোগ পেয়েছে আপনারা জ্বালাও পোড়াও করেছেন তাই মানুষ ভোট দিতে যেতে পারে নি । তাদের সাথে আপনাদের কি এমন পার্থক্য ?
না কোন পার্থক্য নেই ।
আপনাদের অনেকেই দেখি জোর গলায় বলতে পুলিশ ছাড়া নাকি আওয়ামীলীগ মাঠে টিকটেই পারবে না । কথা হয়তো সত্য ! কিন্তু তারা টিকেও যেতে পারে । ইতিহাস সেই কথাই বলে ।
কিন্তু আমি একটা কথা বলি । আপনারা জামাতকে ছাড়া মাঠে নামেন তো দেখি ! স্রেফ গায়েব হয়ে যাবেন ! আর কিছু না । গায়েব ! আপনাদের আন্দোনল টিকে আছে কেবল জামাতের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের জন্যই ! কারন আপনারা তো কেবল ফেসবুকে স্টাটাসই মারেন এই করবো সেই করবো আসল খুন খারাবী তো করে তারাই !
স্টাটাস মারা শুরু করেন !
আর শেষ টাইপ হল আম জনতা ! এরা মজাই আছে । এরা বিনোদন নিচ্ছে । এদের অবশ্য তেমন কিছু করার ক্ষমতাও নেই ।
এরা কেবল নিরব দর্শক ! তবে এবার একটা কথা কেউ বলতে পারবে না যেম তোমাদের ভোটে নির্বাচিত নেতা ! এই অপবাদটা তাদের নিতে হবে না ! এই জন্য এরা আরো মজায় আছে ! ভোট/ নির্বাচন সব কিছুতেই তারা বিনোদন নিচ্ছে ! সো চিল ! বিনোদন নেওয়া শুরু কর !
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।